ঢাকা, বুধবার, ১২ আষাঢ় ১৪৩১, ২৬ জুন ২০২৪, ১৮ জিলহজ ১৪৪৫

জাতীয়

ঘূর্ণিঝড় অশনি: ঝালকাঠিতে গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি, জনজীবন বিপর্যস্ত

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯০৮ ঘণ্টা, মে ৯, ২০২২
ঘূর্ণিঝড় অশনি: ঝালকাঠিতে গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি, জনজীবন বিপর্যস্ত

ঝালকাঠি: উপকূলীয় জেলা ঝালকাঠিতে ঘূর্ণিঝড় অশনি'র সংকেতে সোমবার (৯ মে) ভোর থেকে আবহাওয়া গুমটে ছিল। সকাল ৯টা থেকে দিনব্যাপী অবিরাম গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি হচ্ছে।

 

দুপুরের পর থেকে বৃষ্টির পরিমাণ আরও বাড়ে। মেঘাচ্ছন্ন আকাশ চারিদিকে অন্ধকার। জেলার সুগন্ধা, বিষখালী ও হলতা নদীর পানি বাড়তে শুরু করেছে। সকাল থেকে বৃষ্টি হওয়ায় খেটে খাওয়া মানুষ চরম বিপাকে পড়েছেন। খুব প্রয়োজন ছাড়া ঘর থেকে কেউ বের হচ্ছেন না। এছাড়াও পরিবার পরিজনের সঙ্গে ঈদ কাটিয়ে কর্মস্থলে ফিরে যাওয়া মানুষও চরম ভোগান্তির মধ্যে পড়েছেন।  

রিকশাচালক সোবাহান মিয়া বলেন, বৃষ্টির কারণে রাস্তায় লোকজন কম হওয়ায় আমাদের আয় কমে গেছে। দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির এই বাজারে পরিবার পরিজন নিয়ে চলতে কষ্ট হবে।  

ঝালকাঠি সরকারি মহিলা কলেজের ছাত্রী সাদিয়া আক্তার বলে, সকালে আকাশ মেঘাচ্ছন্ন দেখে কলেজে আসি। দুপুরের দিকে মুষলধারে বৃষ্টি শুরু হয়। সুগন্ধা নদীর পানিও উত্তাল হয়ে উঠেছে। কিভাবে নদী পাড়ি দিয়ে বাড়ি যাবো, খুব ভয় লাগছে।  

স্কুল ছাত্র রিয়াজ জানায়, তিন কিলোমিটার পথ অতিক্রম করে ঈদের ছুটি শেষে প্রথম স্কুল খোলার প্রথম দিনে স্কুলে আসি। বৃষ্টিতে আটকা পড়েছি। এখন ভিজে বাড়িতে যেতে হবে। বই-খাতাও ভিজে যাবে।  

নির্মাণ শ্রমিক আবুল হোসেন জানান, সকালে আবহাওয়া একটু ভালো দেখে কাজের সন্ধানে বের হইছিলাম। এরপর সকাল ৯টা থেকেই বৃষ্টি শুরু হয়েছে। কাজ পাইনি। দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির বাজারে বাড়িতে কি নিয়ে যাবো তা নিয়ে চিন্তায় আছি।  

ঝালকাঠির জেলা প্রশাসনের নেজারত ডেপুটি কালেক্টর (এনডিসি) বশির গাজী বলেন, ঘূর্ণিঝড় অশনি মোকাবিলায় ঝালকাঠি জেলার ৪৭৪টি আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত রাখা হয়েছে। এছাড়াও প্রয়োজন হলে প্রত্যেক এলাকার স্কুলভবনসহ সরকারি- বেসরকারি পাকা স্থাপনায় আশ্রয়নের ব্যবস্থা করা হবে।  

বাংলাদেশ সময়: ১৯০৭ ঘণ্টা, মে ০৯, ২০২২
আরএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।