ঢাকা, সোমবার, ৫ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১, ২০ মে ২০২৪, ১১ জিলকদ ১৪৪৫

জাতীয়

জরাজীর্ণ সব বাড়ি ভেঙে হবে ভূমিকম্প সহনীয় ভবন

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৪০১ ঘণ্টা, মে ১১, ২০২২
জরাজীর্ণ সব বাড়ি ভেঙে হবে ভূমিকম্প সহনীয় ভবন

ঢাকা: সারাদেশে ৪০০ বছরের পুরানো জরাজীর্ণ সব বাসভবন ভেঙে সেখানে ভূমিকম্প সহনীয় নতুন বাড়ি নির্মাণের পরিকল্পনা নিয়েছে সরকার। দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী মো. এনামুর রহমান এ তথ্য জানিয়েছেন।

তিনি বলেন, জাইকার অর্থায়নে এসব ভবন পুনরায় নির্মাণ করা হবে। এক্ষেত্রে জাইকা ভবন মালিকদের সুদ মুক্ত ঋণ দেবে।

বুধবার (১১ মে) দুপুরে সচিবালয়ের গণমাধ্যম কেন্দ্রে বাংলাদেশ সেক্রেটারিয়েট রিপোর্টার্স ফোরাম (বিএসআরএফ) আয়োজিত ‘দুর্যোগ মোকাবিলায় কতটা প্রস্তুত আমরা’ শীর্ষক সংলাপে তিনি একথা বলেন।

দুর্যোগ প্রতিমন্ত্রী বলেন, দেশের ৩০০ থেকে ৪০০ বছরের পুরানো আবাসিক জরাজীর্ণ ভবন ভেঙে ফেো হবে। জাপানের সহায়তায় ভূমিকম্প সহনীয় নকশায় এগুলো নতুন করে তৈরি করা হবে। নকশা এমনভাবে করা হচ্ছে যাতে করে ভবনগুলো ৭ দশমিক ৫ মাত্রার ভূমিকম্প সহনীয় হয়ে ওঠে। আর এরই মধ্যে যেগুলো তৈরি হয়েছে সেগুলো আমরা পরীক্ষা করবে। যদি কোনো দুর্বলতা থাকে তাহলে সেগুলোকে শক্তিশালী করা হবে। এখন থেকে নতুন সব ভবন নির্মাণ করতে হবে বিএমডিসি কোড অনুযায়ী।

এনামুর রহমান বলেন, এক্ষেত্রে প্রত্নতত্ব অধিদপ্তরের ঐতিহ্য ঘোষণা করা ভবনগুলোকে তালিকায় রাখা হয়নি। আমরা যেগুলোর কথা বলছি, আবাসিক ভবনের কথা। যেখানে মানুষ বাস করছে, যেগুলো হেরিটেজ হিসেবে আছে সেগুলো স্পেশিফিকলি কাজে আছে।

বজ্রপাতে প্রাণহানি কমাতে আশ্রয়কেন্দ্র ও লাইটনিং অ্যারেস্টার স্থাপনের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে জানিয়ে প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘গত বছর পর্যন্ত বজ্রপাতে প্রাণহানি কমাতে আমরা কোনো ভূমিকা পালন করতে পারিনি। এখন উদ্যোগ নিয়েছি, সিদ্ধান্ত নিয়েছি বজ্রপাতে মৃত্যু কমাতে সচেতনতামূলক প্রচারণা ও আর্লি ওয়ার্নিং সিস্টেম চালু করবে। মোবাইল অ্যাপ ৪০ মিনিট আগেই সতর্ক করতে পারবে। খোলা জায়গায় যারা থাকবেন তাদের জন্য ছোট করে লাইটনিং সেন্টার ও লাইটনিং অ্যারেস্টার স্থাপন করা হবে। ডিপিপি অনুমোদন হলে শুরু করা হবে। ইতোমধ্যে পরীক্ষামূলক ভাবে ৪০টি বসানোও হয়েছে।

বজ্রপাতে প্রাণহানি কমাতে তালগাছ লাগানোর প্রকল্পের অগ্রগতি সম্পর্কে জানতে চাইলে প্রতিমন্ত্রী বলেন, তালগাছ বড় হতে ৩০ থেকে ৪০ বছর সময় নেয়। আমি দায়িত্ব নেওয়ার পর বিচার বিশ্লেষণ করে এই প্রকল্প বাতিল করা হয়েছে। এখন অনেক আধুনিক প্রযুক্তি চলে এসেছে, আমরা সেগুলো স্থাপন করছি।

বাংলাদেশ সময়: ১৪০১ ঘণ্টা, মে ১১, ২০২২
জিসিজি/এমএমজেড

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।