ঢাকা, শনিবার, ২৮ বৈশাখ ১৪৩১, ১১ মে ২০২৪, ০২ জিলকদ ১৪৪৫

জাতীয়

বৃষ্টিতে জলমগ্ন সিলেট নগরী, ভোগান্তি

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬৪২ ঘণ্টা, মে ১৩, ২০২২
বৃষ্টিতে জলমগ্ন সিলেট নগরী, ভোগান্তি বৈশাখী ভারি বর্ষণে শুক্রবার ডুবেছে সিলেট নগরের রাস্তাঘাট। ছবি: মাহমুদ হোসেন

সিলেট: বর্ষার আগেই ভোগান্তি শুরু হয়ে গেছে সিলেট নগরে। বৈশাখী ভারি বর্ষণে ডুবছে রাস্তাঘাট।

ড্রেন কী সড়ক, সব তলিয়ে গিয়ে বিপজ্জনক পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে নগরজুড়ে।
  
শুক্রবার (৩০এপ্রিল) ভোর থেকে যেনো আষাঢ়ের বৃষ্টি নেমেছে বৈশাখের বিদায় লগ্নে। আকাশে মেঘের গর্জন থেমে নেই। দিনের বেলায় খানিকটা পর পর অন্ধকার হয়ে আসে আকাশ। ভারি বর্ষণ নেমে আসে ধরনীতে।  

গত কয়দিন ধরে সমানতালে হচ্ছে এমন বৃষ্টিপাত। অবিরাম বর্ষণে স্তব্ধ হয়ে পড়েছে জনজীবন। তবে শুক্রবার থাকায় অফিস-আদালত বন্ধ। এরপরও জরুরী প্রয়োজন ছাড়া কেউ ঘরের বাইরে বের হননি। জুমার নামাজ আদায় করতেও অনেককে বৃষ্টিতে ভিজে মসজিদে পৌছতে দেখা গেছে।
 
সকাল থেকে ভারি বর্ষণে টালমাটাল করে দিয়েছে মানুষের নিত্যনৈমিত্তিক কাজের সূচী। দুপুর গড়াতেই নগরের বিভিন্ন সড়ক হয়ে পড়ে জলমগ্ন। তারপরও থেমে থাকেনি নগরজীবন। পানি ডিঙিয়ে চলাছল করেছে যানবাহন। কোথাও হাটু জল পেরিয়ে নগরের বাসিন্দাদের পথ চলতে দেখা যায়।
 
দুপুর পৌনে ১টা পর্যন্ত এমন চিত্র ছিল নগরের অনেক সড়কে। যে কারণে ছড়াখাল উদ্ধারের পরও বর্ষায় জলজট নিয়ে নতুন করে ভাবনায় নগরের বাসিন্দারা।
 
বর্ষা আসার আগে জলমগ্নতা নিয়ে নগরবাসীর অনেকের ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করে বলেছেন, কোটি টাকা খবর করে ছড়াখাল উদ্ধার ও পরিচ্ছন্ন কার্যক্রম চালায় সিলেট সিটি করপোরেশন কর্তৃপক্ষ। কিন্তু এরপর বর্ষা আসার আগে এই বৃষ্টিতে জলাবদ্ধতা হলে বর্ষায় এই পরিস্থিতি আরও ভয়াবহ হতে পারে, এমনটি জানিয়েছেন নাইওরপুলের আখলাক আহমদ।
 
আবহাওয়া অধিদফতর সিলেটের আবহাওয়াবিদ সাঈদ আহমদ চৌধুরী  বাংলানিউজকে বলেন, শুক্রবার সকাল ৬টা থেকে বিকেল ৩টা পর্যন্ত ৫৮ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হয়েছে। আগের দিন বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ৬টা থেকে শুক্রবার সকাল ৬টা পর্যন্ত ৬১ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হয়েছে। তবে এ মাসে গড় বৃষ্টিপাত ৫৮১ মিলি মিটার হওয়ার কথা। সে হিসেবে ৩২ শতাংশ কম বৃষ্টি হয়েছে। এরআগে গত মাসেও ২৫ শতাংশ কম বৃষ্টিপাত হয়েছে।
 
তিনি বলেন, শুক্রবার দিনের বৃষ্টিপাত রেইন ড্রপ সাইজ অনেকটা বড় ছিল এবং ভারি বর্ষণ হয়েছে। তবে এই বৃষ্টি এবং আকাশ মেঘাচ্ছন্ন থাকা মূলত; অশনির প্রভাবে। এছাড়া উজানে ভারতের চেরাপুঞ্জিতে বৃষ্টিপাতের কারণে নদ নদীর পানি বৃদ্ধি পাচেছ।  

প্রসঙ্গত, সিলেট নগর কর্তৃপক্ষের অপরিকল্পিত উন্নয়নে পরিকল্পনাহীন খোঁড়াখুঁড়িতে উন্মুক্ত রয়েছে ড্রেন, নালা-খালগুলো। ফলে বৃষ্টি হলেই ভয়ানক পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়। মানুষজন ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করে সড়কে। এ কারণে প্রায়ই ঘটছে দুর্ঘটনা।  

 
বাংলাদেশ সময়: ১৬৪১ ঘণ্টা, মে ১৩, ২০২২
এনইউ/এসএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।