ঢাকা: ভারতের পশ্চিমবঙ্গে গ্রেফতার প্রশান্ত কুমার হালদারকে (পি কে হালদার) ফেরাতে বন্দি বিনিময় চুক্তি ও ইন্টারপোলের সহযোগিতাসহ সব ধরনের মাধ্যমে চেষ্টা করা হবে।
রোববার (১৫ মে) এমন মন্তব্য করেছেন অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন।
শনিবার ভারতের কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি) পশ্চিমবঙ্গ থেকে অবৈধ সম্পদ অর্জন এবং মানি লন্ডারিংয়ের অভিযোগে বিদেশে পালিয়ে থাকা এই বাংলাদেশিকে গ্রেফতার করে।
ইডি জানায়, পি কে হালদার রেশন কার্ড, ভারতীয় ভোটার আইডি কার্ড, আয়কর দপ্তরের পরিচয়পত্র পিএএন (প্যান) এবং আধার কার্ডের মতো বিভিন্ন ভারতীয় সরকারি পরিচয়পত্র জালিয়াতি করে পশ্চিমবঙ্গের উত্তর চব্বিশ পরগনা জেলার অশোকনগরে অবস্থান করছিলেন। তিনি সেখানে পি কে শিব শংকর হালদার নামে নিজেকে পরিচয় দিতেন ও ভারতীয় নাগরিক হিসেবে দাবি করতেন।
জানা গেছে, উত্তর ২৪ পরগনা, কলকাতা এবং দক্ষিণ ২৪ পারগনার বিভিন্ন এলাকায় পি কে হালদার ও তার সহযোগীরা স্থাবর সম্পত্তি কিনেছেন। বর্তমানে সেগুলো সিলগালা করা হয়েছে।
রোববার প্রেসক্লাবে এক অনুষ্ঠানে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, পি কে হালদার বাংলাদেশের মোস্ট ওয়ান্টেড ব্যক্তি। আমরা ইন্টারপোলের মাধ্যমে তাকে চেয়েছি। শুনেছি পি কে হালদার গ্রেফতার হয়েছেন। কিন্তু তারা আমাদের এখনো অফিসিয়ালি কিছু জানায়নি। ভারত অফিসিয়ালি আমাদের জানালে তাকে ফিরিয়ে আনতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবো।
একই দিন নিজ কার্যালয়ে অ্যাটর্নি জেনারেল সাংবাদিকদের বলেন, ভারতের কেন্দ্রীয় সরকারের ইডি তাকে গ্রেফতার করেছে। এখন এর পরবর্তী প্রক্রিয়া হচ্ছে, বাংলাদেশে নিয়ে এসে তাকে বিচারের সম্মুখীন করা। আমাদের বন্দি বিনিময় চুক্তি আছে, সেটার আওতায় আনা। এছাড়া তার বিরুদ্ধে যেহেতু ইন্টারপোলের রেড অ্যালার্ট জারি করা আছে, সব ধরনের চেষ্টা করা হবে তাকে নিয়ে আসার জন্য। উদ্দেশ্যে হচ্ছে তাকে নিয়ে এসে বিচারের সম্মুখীন করা। কারণ এ টাকাটা জনগণের টাকা।
দুদকের আইনজীবী খুরশীদ আলম খান বলেন, আমাদের তথ্য-উপাত্ত আছে, সেগুলো যদি ভারতকে দিই, যেভাবে পিকে হালদারকে গ্রেফতার করেছে তাদের টিম, ঠিক সেভাবে সে গতিতে যদি কাজটি করে, আমি মনে করি ৩ থেকে ৬ মাসের বেশি লাগার কথা না।
বাংলাদেশ সময়: ১৬৩২ ঘণ্টা, মে ১৫, ২০২২
ইএস/এমজেএফ