ঢাকা, শুক্রবার, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

বাজার নিয়ন্ত্রণ নয় সরকার চায় স্থিতিশীল রাখতে: বাণিজ্যমন্ত্রী

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৩২৯ ঘণ্টা, মে ১৬, ২০২২
বাজার নিয়ন্ত্রণ নয় সরকার চায় স্থিতিশীল রাখতে: বাণিজ্যমন্ত্রী বিএসআরএফ’র সংলাপে বাণিজ্যমন্ত্রী।

ঢাকা: সরকার নিত্যপণ্যের বাজার নিয়ন্ত্রণ নয় বরং স্থিতিশীল রাখতে চায় বলে জানিয়েছেন বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি। এ ছাড়া খাদ্য পণ্যের বাজারে রাশিয়া-ইউক্রন যুদ্ধের প্রভাব পড়ায় সামনের দিকে কিছুটা সংকট রয়েছে।

এ জন্য দেশবাসীকে সাশ্রয়ী হতে আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।

সোমবার (১৬ মে) দুপুরে সচিবালয়ের গণমাধ্যমকেন্দ্রে দ্রব্যমূল্যের বর্তমান পরিস্থিতিসহ বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সার্বিক অবস্থা নিয়ে বাংলাদেশ সেক্রেটারিয়েট রিপোটার্স ফোরাম (বিএসআরএফ) আয়োজিত সংলাপে এ আহ্বান জানান মন্ত্রী।   সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তরও দেন তিনি।

ব্যবসায়ীরা সরকারকে নিয়ন্ত্রণ করে কিনা জানতে চাইলে বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, সরকারের বাজার নিয়ন্ত্রণ করা উচিত না। আমরা ব্যবসায়ী বান্ধব। আমরা আন্তর্জাতিক বাজারের দাম অনুযায়ী দাম নির্ধারণ করে দিই। সে অনুযায়ী দাম থাকলে বাজার স্থিতিশীল থাকবে। আমরা নিয়ন্ত্রণ করতে চাই না, বাজার স্থিতিশীল রাখতে চাই। সরবরাহ ও চাহিদার ওপর বাজার নির্ভরশীল। তাই চাইলেও বাজার নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব না।

টিপু মুনশি বলেন, রাশিয়া-ইউক্রনের যুদ্ধ অনেকটা প্রভাব ফেলেছে আমাদের খাদ্য পণ্যের ওপর। এজন্য সবাইকে সাশ্রয়ী হতে হবে। সামনের দিকে কিছুটা সংকট রয়েছে। ভয় পাওয়ার কিছু নেই। শ্রীলঙ্কার অবস্থা দেখে অনেকে প্রচার করছে সে অবস্থা হতে পারে। সেরকম কোনো সম্ভবনা নেই। আমরা নিজেরাই শ্রীলঙ্কাকে ঋণ দিয়েছি।

অসাধু ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা প্রসঙ্গে মন্ত্রী বলেন, আমরা প্রচুর ব্যবসায়ীকে ধরছি। সেটি ধরে ন্যায্য মূল্যে বিক্রি করছে ভোক্তা অধিকার। সেখানে অনেকের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থাও নেওয়া হয়েছে, জেলেও পাঠানো হয়েছে। তবে এমন কোনো পরিস্থিতি সৃষ্টি করতে চাই না; যাতে বাজারে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়।

আন্তর্জাতিক অবস্থা ভালো থাকলে দেশের অবস্থাও ভালো থাকে উল্লেখ করে তিনি আরও বলেন, আমারা বৈশ্বিক সমস্যার ভেতরে আছি। তেল, চিনি, ডালের দাম নিয়ে একটু সমস্যা হচ্ছে। তেলের ৯০ ভাগ আমাদের আমদানি করে আনতে হয়। আন্তর্জাতিক বাজারে দামের প্রভাব হলে আমাদের দেশেও দাম বেড়ে যায়। বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অধীনে কয়েকটি পণ্য আছে যেগুলো আমরা মনিটর করি। রমজান মাস সংযমের মাস। ব্যবসায়ীরা জানে ঈদের পর দাম বাড়বে; তারা সেই সুযোগ নিয়েছে। তবে আমাদের ভুল হয়েছে টানা দুই মাস তেলের দামটা নির্ধারণ করিনি। যদি করতাম তাহলে তারা এ সুযোগ নিতে পারত না। এ সময়ের মধ্যে আন্তর্জাতিক বাজারে তেলের দাম বেড়েছিল, তাই সেটি আগে ফিক্স (নির্ধারণ) করলে সমস্যাটা হতো না।

বাণিজ্যমন্ত্রী আরও বলেন, ঈদের আগে তেলের দাম নিয়ে অনেক কথা এসেছে। আমাদের মন্ত্রণালয় প্রতি মাসে একবার বসে ট্যারিফ কমিশন এই প্রাইজিংটা (মূল্য সৃষ্টি) করেন। সবকিছু এভারেজ করে দামটা নির্ধারণ করা হয়। আমাদের একটা বিশেষ কারণ ছিল, ঈদের মাসটাতে আমরা দাম বাড়াতে চাইনি। ব্যবসায়ীদের বলেছিলাম এ সময়টা ম্যানেজ করেন। তাই যে সময়ে দামটা ফিক্স করা হয় সেখানে কিছুটা বিলম্ব হয়। যেহেতু তারা ভেবেছিল ঈদের পর দাম বাড়বে। সেজন্য অনেকে তেল জমিয়ে রেখেছিল।

বর্ডার হাট সম্পর্কে মন্ত্রী বলেন, মমতা ব্যানার্জির সঙ্গে কথা বলেছিলাম বিষয়টি নিয়ে। আশা করছি, তিন চারটি প্রোপজাল দেব। মিজোরামে গিয়েও আলোচনা হয়েছে। ছোট রাজ্য হলেও তারা এটি খুব পজিটিভলি দেখছে। একটা হাট সাজেকের কাছাকাছি; আরেকটি ২০ থেকে ২৫ কিলোমিটার দূরে। প্রধানমন্ত্রী বলেছেন এটি দ্রুত দেখতে।

সংলাপে উপস্থিত ছিলেন বিএনআরএফ সভাপতি তপন বিশ্বাস, সাধারণ সম্পাদক মাসউদুল হক, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মেহেদী আজাদ মাসুম।

বাংলাদেশ সময় : ১৩২৮ ঘণ্টা, মে ১৬,২০২২
জিসিজি/এমজে

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।