ঢাকা, শুক্রবার, ৬ বৈশাখ ১৪৩১, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

চড়া দাম, ক্রেতা নেই ইলিশের

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২১১৮ ঘণ্টা, মে ১৬, ২০২২
চড়া দাম, ক্রেতা নেই ইলিশের

চাঁদপুর: জাটকা রক্ষার নিষেধাজ্ঞা শেষে মে মাসের দুই সপ্তাহ অতিবাহিত হলেও চাঁদপুরের পদ্মা-মেঘনায় ইলিশের পাওয়া যাচ্ছে খুবই কম। তাই দাম বেশি।

স্থানীয় বাজারে ইলিশ নিয়ে ব্যবসায়ীরা বসে থাকলেও ক্রেতা নেই। ইলিশের চড়া দাম শুনে ক্রেতারা অন্য মাছ নিয়ে বাড়ি ফিরছেন।

সোমবার (১৬ মে) শহরের সবচেয়ে বড় পাইকারি বাজার পালবাজার ও নতুন বাজারে এমন দৃশ্য চোখে পড়ে।

পালবাজারের খুচরা ইলিশ বিক্রেতা খলিল গাজী বাংলানিউজকে বলেন, হরিণা ফেরিঘাট থেকে কয়েক হালি ইলিশ নিয়ে এসে বিক্রির জন্য বসে আছি। ক্রেতারা দাম শুনে চলে যায়। ২৫০ গ্রাম সাইজের রূপালি ইলিশের কেজি হাজার টাকা। সাধারণত এই ধরনের ছোট সাইজের ইলিশের কেজি সর্বোচ্চ ৩৫০ টাকা হয়। কয়েকগুন দাম বেশি হওয়ায় দাম শুনেই চলে যাচ্ছেন ক্রেতারা।

নুরে আলম নামে একজন ক্রেতা বাংলানিউজকে বলেন, ছোট সাইজের ইলিশের কেজি হাজার টাকা শুনে আর দরদাম করিনা। অন্য মাছ নিয়ে যাব।

নতুন বাজারের একাধিক খুচরা ইলিশ বিক্রেতারও একই অবস্থা। তাদের সামনেও ক্রেতা নেই। তাদের সঙ্গে আলাপ হলে জানান, মেঘনায় ইলিশের আমদানি খুবই কম। রূপালি ইলিশের চাহিদা বেশি। বেশি দামে ক্রয় করে কম দামে বিক্রি করাত সম্ভব না। যাদের চাহিদা আছে তারা বেশি দাম হলেও ক্রয় করেন। তবে ইলিশের এমন চড়া দাম আগে খুব কমই দেখা গেছে।

চাঁদপুর বড় স্টেশন মাছঘাটের ব্যবসায়ী ওমর ফারুক বাংলানিউজকে বলেন, স্থানীয় রূপালি ইলিশের আমদানি খুবই কম। প্রতিদিন গড়ে ২০ থেকে ২৫ কেজি পাওয়া যায়।

বাংলাদেশ মৎস্য গবেষণা ইনস্টিটিউট চাঁদপুরের প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা মো. হারুনর রশিদ বাংলানিউজকে বলেন, এখন ইলিশের মৌসুম না হওয়ায় জেলেদের জালে ধরা পড়ছে কম। আগামী জুলাই-আগস্টে বৃষ্টি বাড়লে নদীতে ইলিশের আনাগোনা বেড়ে যাবে। তখন জেলেদের জালে ইলিশ ধরা পড়বে। সেপ্টেম্বর-অক্টোবরে প্রচুর পরিমাণে ইলিশ পাওয়া যাবে বলে আশা করছি। তখন দামও ক্রেতাদের নাগালে চলে আসবে।

বাংলাদেশ সময়: ২১১২ ঘণ্টা, মে ১৬, ২০২২
আরএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।