ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১২ বৈশাখ ১৪৩১, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

‘সম্প্রীতি রক্ষায় সব ধর্মের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হতে হবে’

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২১২০ ঘণ্টা, মে ১৬, ২০২২
‘সম্প্রীতি রক্ষায় সব ধর্মের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হতে হবে’

কক্সবাজার: কক্সবাজার-৩ আসনের সংসদ সদস্য সাইমুম সরওয়ার কমল বলেছেন, কোনো ধর্মেই হিংসাত্মক আচরণের কথা বলা হয়নি। প্রত্যেক ধর্মে শান্তির কথা বলা হয়েছে।

এই শান্তি বিরাজ করার জন্য ধর্মের প্রতি সবাইকে শ্রদ্ধাশীল হতে হবে। অপরের ধর্মকে সম্মান করতে হবে।

সোমবার (১৬ মে) দুপুরে কক্সবাজারের রামু ইনস্টিটিউট অব মিউজিক-এর হলরুমে এক ডায়ালগ মিটিংয়ে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।  

বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা রিসার্চ ইনিশিয়েটিভস্ বাংলাদেশ (রিইব) ‘হিংসাত্মক আচরণ প্রতিহত করার লক্ষে প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর যুবদের সামাজিক রূপান্তর প্রক্রিয়া প্রচলন করা: গণগবেষণার প্রেক্ষিতে’ শীর্ষক এ মিটিংয়ের আয়োজন করে।  

এমপি কমল আরও বলেন, রামু ছিল সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির পাদপীঠ। ২০১২ সালে কিছু দুষ্কৃতিকারী এখানকার হাজার বছরের সম্প্রীতিতে আঘাত হেনেছে। সেই অপরাধীরা আজ সবাই পরাজিত। তারা কেউ ভালো নেই।  

এছাড়া তিনি জাতি, ধর্ম, বর্ণ নির্বিশেষে সবাইকে মানুষ হিসেবে সম্মান প্রদর্শনের প্রতি গুরুত্বারোপ করেন। প্রতিটি এলাকার মেম্বার ও চেয়ারম্যানদের হিংসাত্মক আচরন প্রতিরোধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার বিষয়ে নির্দেশনা দেন।  

রিইব-এর নির্বাহী পরিচালক ড. মেঘনা গুহঠাকুরতার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন উপজেলা যুব উন্নয়ন কর্মকর্তা মো. নুরে আলম মজুমদার, উপজেলা সমবায় কর্মকর্তা মো. আবুল কালাম, জাগো নারী উন্নয়ন সংস্থার নির্বাহী পরিচালক শিউলী শর্মা প্রমুখ।  

অনুষ্ঠানে আলোচনায় অংশ নেন উদীচী শিল্পীগোষ্ঠি, রামুর সভাপতি ধনিরাম বড়ুয়া, রামু বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের সিনিয়র সহকারী শিক্ষক মংহ্লাপ্রু পিন্টু, মাছরাঙ্গা টেলিভিশনের জেলা প্রতিনিধি সুনীল বড়ুয়া, রামু খিজারী উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক সুপন বড়ুয়া শিপন, ইউপি সদস্য বিপুল বড়ুয়া, আবু মো. ইউনুছ, রিইব-এর ডকুমেন্টেশন এন্ড ট্রেইনিং অফিসার মো. আরমান হোসাইন প্রমুখ।

অনুষ্ঠানের শুরুতেই হিংসাত্মক আচরন প্রতিহত করার জন্য বিভিন্ন সচেতনতামূলক বক্তব্য সম্বলিত প্ল্যাকার্ড নিয়ে বিভিন্ন সম্প্রদায়ের যুবসমাজের অংশগ্রহনে র‌্যালী বের করা হয়। র‌্যালীটি উপজেলার বিভিন্ন স্থান ঘুরে ইনস্টিটিউট অব মিউজিকে এসে শেষ হয়।

অনুষ্ঠানে হিংসাত্মক আচরনের প্রকৃতি নিরূপন, সমস্যা চিহ্নিতকরণ ও সমাধানের পন্থা বের করার প্রক্রিয়া বের করার জন্য রিইব পরিচালিত গণগবেষণা প্রকল্পের প্রাপ্ত ফলাফল নিয়ে আলোচনা করা হয়।  

এ সময় বক্তারা, ধর্ম, জাতি ও সংস্কৃতির প্রতি সহনশীল হওয়া, সামাজিক শান্তিমূলক সহাবস্থান নিশ্চিত করা ও দেশের সার্বিক উন্নয়নে সামাজিক বিভিন্ন শ্রেণীর ভেদাভেদ দূর করার প্রতি গুরুত্বারোপ করেন। পাশাপাশি সহাবস্থান নিশ্চিত করতে বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি উদ্যোগের প্রয়োজনীয়তার কথাও তুলে ধরেন বক্তারা।

পরে অনুষ্ঠানে হিংসাত্মক আচরন প্রতিহত করার বিষয়ে সচেতনতা বিষয়ক একটি নাটিকা প্রদর্শন করা হয়।

বাংলাদেশ সময়: ২১২০ ঘণ্টা, মে ১৬, ২০২২
এসবি/এসএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
welcome-ad