ঢাকা, শুক্রবার, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৮ রমজান ১৪৪৫

জাতীয়

বানভাসি মানুষের পাশে দাঁড়াতে সিলেট যাচ্ছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট  | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০১১১ ঘণ্টা, মে ১৮, ২০২২
বানভাসি মানুষের পাশে দাঁড়াতে সিলেট যাচ্ছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন (ফাইল ছবি)

সিলেট: বন্যার পানিতে তলিয়ে যাচ্ছে সিলেট। ভোগান্তির শিকার এ জেলার লাখো মানুষ।

এ খবর ক’দিন থেকেই ঢাকায় বসে দেখছিলেন নিজ নির্বাচনী এলাকা সিলেট-১ আসন থেকে নির্বাচিত সংসদ সদস্য পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন। কিন্তু রাষ্ট্রীয় ব্যস্ততায় পড়েছিলেন রাজধানী ঢাকায়। কিন্তু তার মন হয়তো পড়েছিল সিলেটে। অবশেষে নিজ নির্বাচনী এলাকার মানুষের দুর্ভোগে পাশে দাঁড়াতে ছুটে আসছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী।  

বুধবার (১৮ মে) দুপুরের দিকে বিমানের একটি ফ্লাইটে তার সিলেটে আসার কথা রয়েছে।  

জানা গেছে, পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন সিলেট বিমানবন্দরে নেমে সেখান থেকে সরাসরি চলে যাবেন সিলেট সদর উপজেলার বন্যা দুর্গত এলাকায়। এছাড়া তিনি বন্যাকবলিত সিলেটের বিভিন্ন এলাকা পরিদর্শন করাসহ বন্যার্তদের মধ্যে ত্রাণ বিতরণ করবেন।

এরই মধ্যে পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সুপারিশে সিলেটের বন্যাকবলিত উপজেলাগুলোর বন্যার্ত মানুষের মধ্যে নগদ ১০ লাখ টাকা, ১০০ মেট্রিক টন চাল ও ৩০০ ব্যাগ শুকনো খাবার বরাদ্দ দিয়েছে ত্রাণ মন্ত্রণালয়।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী মঙ্গলবার (১৭ মে) এ সংক্রান্ত সুপারিশ দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী ডা. মো. এনামুর রহমান বরাবরে জানান। পরে ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের নির্দেশে তাৎক্ষণিকভাবে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক (ত্রাণ-১) সিলেটের জন্য এসব বরাদ্দ পাঠানোর নির্দেশ দেওয়া হয় সংশ্লিষ্টদের।

এছাড়াও সিলেট সদর উপজেলার বন্যার্ত মানুষের জন্য বিশেষ বরাদ্দের সুপারিশ করেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী।

ওই সুপারিশপত্রে তিনি বলেন- ‘আমার নির্বাচনী এলাকা সিলেট-১ সদর উপজেলাধীন ৭টি ইউনিয়নে অতিবৃষ্টি ও পাহাড়ি ঢলের কারণে পানি বৃদ্ধি অব্যাহত রয়েছে। আকস্মিক এই বন্যায় জালালাবাদ ইউনিয়ন ৯৫ ভাগ, হাটখোলা, মোগলগাঁও ইউনিয়ন ৮৫ ভাগ, কান্দিগাঁও, খাদিমনগর ইউনিয়নের ৮০ ভাগ, টুকের বাজার ৬০ ভাগ, খাদিমপাড়া ইউনিয়নের ৪০ ভাগ বাড়ি ও রাস্তাঘাট প্লাবিত হয়েছে। প্রায় ২৫ হাজার পরিবার পানিতে প্লাবিত অবস্থায় রয়েছে। ৩৩টি বন্যা আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত রাখা হয়েছে। সব ফসলের জমি পানিতে তলিয়ে গেছে।

বন্যায় সাতটি ইউনিয়নের প্রায় ২৫ হাজার পরিবার ও আনুমানিক ৭১টি গ্রাম বিধ্বস্ত অবস্থায় রয়েছে। বন্যা পরিস্থিতি মোকাবিলায় জরুরিভিত্তিতে প্রয়োনীয় খাদ্যসহ অর্থ বরাদ্দ প্রয়োজন। তাই আমার নির্বাচনী এলাকা সিলেট সদর উপজেলায় আকস্মিক বন্যা কবলিত নিরাশ্রয় বাসিন্দাদের জন্য বিশেষ বরাদ্দ দেওয়ার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার অনুরোধ।

বাংলাদেশ সময়: ০১১০ ঘণ্টা, মে ১৮, ২০২২
এনইউ/এসআরএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।