ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ৫ বৈশাখ ১৪৩১, ১৮ এপ্রিল ২০২৪, ০৮ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

খাবার জোটাতেই আয়ের অর্ধেক শেষ! 

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০১০৬ ঘণ্টা, মে ১৯, ২০২২
খাবার জোটাতেই আয়ের অর্ধেক শেষ!  ফুটপাতের দোকানে দুপুরের খাবার খাচ্ছেন নিম্নআয়ের মানুষ, ছবি: বাংলানিউজ

ঢাকা: সুরুজ আলী। সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত রিকশা চালিয়ে দুপুরে খেতে বসেছেন রাজধানীর পরীবাগ এলাকার ফুটপাত লাগোয়া দোকানে।

এক টুকরো মাংস আর ডাল-ভাত খেয়ে বিল দিয়েছেন ৮০ টাকা।  

তিনি বলেন, সারাদিন ১০-১২ ঘণ্টা রিকশা চালিয়ে আয় হয় ৭০০ থেকে ৮০০ টাকা। চা-পানি আর দুপুরের খাবার খেতেই খরচ হয় ১৫০ টাকা। আর রিকশা মালিকের জমা খরচ দিতে হয় ২৫০ টাকা। দিন শেষে ৩৫০ থেকে ৪০০ টাকার মতো বাড়ি নিতে পারি।

পরিবারে স্ত্রী ছাড়াও আছে দুই ছেলে-মেয়ে। চারজনের পরিবারে বাসাভাড়া দিতে হয় সাড়ে ছয় হাজার টাকা। আর জিনিসপত্রের দাম বাড়ায় বাড়ির বাজার খরচই লাগে মাসে সাত-আট হাজার টাকা। মাস শেষে কোনো টাকা জমাতে পারি না, ছেলে-মেয়ে লেখাপড়াও ঠিকঠাক করাতে পারি না, বলেন সুরুজ আলী।

বাজারে জিনিসপত্রের দাম বাড়ছে লাফিয়ে লাফিয়ে। কিন্তু সাধারণ মানুষের আয় বাড়ছে না, বরং মূল্যস্ফীতি বিবেচনায় নিলে আয় কমে যাচ্ছে। বাসা ভাড়া, গ্যাস বিল, বিদ্যুৎ বিল, পানির বিলের খরচ শেষে আয়ের যে টাকা থাকে, তার  পুরোটাই খরচ হয়ে যাচ্ছে খাবার জোটাতে। এ সমস্যার কথা জানিয়েছেন রাজধানীর খিলক্ষেত এলাকার একাধিক গার্মেন্ট কর্মী।  

তাদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, করোনার মধ্যে কয়েক মাস কারখানা বন্ধ ছিল। করোনার পরে বেতন বাড়েনি, কিন্তু এখন আবার সব কিছুর দাম বাড়ায় মানুষ দিশেহারা।

খিলক্ষেত কাঁচা বাজারের বিক্রেতা ফরহাদ আলী জানান, আজকে বাজারে কেজি প্রতি পটল ৪০ টাকা, বেগুন ৬০ টাকা, করলা ৪৫ টাকা, কাঁচা মরিচ ১০০ টাকা, লাউ ৫০ টাকা, ঢেঁড়স ৫০ টাকা, পেঁয়াজ ৩৫ টাকা, রসুন ৬০ টাকা, ঝিঙে ৩৫ টাকা, চিচিঙ্গা ৩৫ টাকা কেজিতে আর লেবু হালি প্রতি ২৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

অন্যদিকে মোটা চাল খুচরা বাজারে ৪৩-৪৪ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। দিন দিন বাজার এভাবে নিয়ন্ত্রণহীন হয়ে যাওয়ায় সবচেয়ে বড় সমস্যায় পড়েছেন যে নিম্নবিত্তরা। তারা মনে করছেন, বাজার নিয়ন্ত্রণে রাখা সরকারের কাজ। চাল-ডাল-সবজির দাম নিয়ে বিপাকে পড়েছেন ফুটপাতের চা-সিগারেট বিক্রেতা সবুজ হোসেন।  

তিনি বলেন,সরকার যদি বাজারই ঠিক না করে, তো করেটা কি? এ অবস্থা চললে সাধারণ মানুষের বেঁচে থাকা দিন দিন আরও কষ্টকর হয়ে যাবে।  

বাংলাদেশ সময়: ০১০২ ঘণ্টা, মে ১৯, ২০২২
এনবি/এসআই

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
welcome-ad