ঢাকা, শুক্রবার, ৬ বৈশাখ ১৪৩১, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

মাইগ্রেশন সেক্টরকে সিন্ডিকেট মুক্ত রাখতে হবে

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫৫৪ ঘণ্টা, মে ২১, ২০২২
মাইগ্রেশন সেক্টরকে সিন্ডিকেট মুক্ত রাখতে হবে

ঢাকা: শুধু মালয়েশিয়া নয়, অন্যান্য দেশের মাইগ্রেশন সেক্টরকেও সিন্ডিকেট মুক্ত রাখতে হবে বলে জানিয়েছেন প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় সংক্রান্ত সংসদীয় কমিটির চেয়ারম্যান ব্যারিস্টার আনিসুল ইসলাম মাহমুদ।

মালয়শিয়ায় শ্রমবাজারে মাইগ্রেশনের বিষয়ে প্রধানমন্ত্রীর ওপর যথেষ্ট চাপ এসেছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, কারণ যারা এর মধ্যে আছেন তারা খুব ক্ষমতাবান।

তবে এই সেক্টরে কোনো সিন্ডিকেট থাকুক তা প্রধানমন্ত্রী চান না। প্রধানমন্ত্রী যদি সিন্ডিকেট চাইতেন, তবে অনেক আগেই হয়ে যেত, সেটা হয়নি। এ নিয়ে কারো সন্দেহ থাকলেও আমার নেই। উনি চাননি বলেই এখন পর্যন্ত হয়নি, এটা আমি মনে করি।

শনিবার (২১ মে) দুপুরে রাজধানীর বনানীতে হোটেল শেরাটন ঢাকার বলরুমে আয়োজিত বাংলাদেশের সব বৈধ রিক্রুটিং এজেন্সির জন্য শ্রমবাজার উম্মুক্ত করণ শীর্ষক গোলটেবিল আলোচনায় এসব কথা বলেন তিনি।

বায়রা সিন্ডিকেট বিরোধী মহাজোটের উদ্যোগে এই গোলটেবিল বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।

ব্যারিস্টার আনিসুল ইসলাম মাহমুদ বলেন, একটি কথা আমি বলব, যখন দেশের ওপর কিছু আসে, তিনি (প্রধানমন্ত্রী)  অবশ্যই সেটি প্রটেক্ট করবেন। এটা আমার বিশ্বাস এবং তিনি সেটা করবেন। আজকে সমঝোতা স্বাক্ষর হয়েছে প্রায় পাঁচ মাস। মালয়েশিয়ার রাজনৈতিক ব্যবস্থার মধ্যেই অনেক প্রেসার আছে। আমি জানি মালয়েশিয়ার সবাই কিন্তু সিন্ডিকেটের পক্ষে না। সুতরাং দুই পক্ষকেই বলব বসেন, বসে একটু বের করুন লুপ হোল কোথায় আছে, মালয়েশিয়ায় নাকি বাংলাদেশে?

সাবেক এই মন্ত্রী বলেন, বায়রা নিজেদেরকে সংগঠিত করতে পারেনি। সেজন্য এখানে সবসময় কিছু না কিছু হচ্ছে। আমি বলব আপনারা ঐক্যবদ্ধ হন।

তিনি বলেন, মালয়শিয়াতে তাদের প্লান্টেশন, রাবার ফ্যাক্টরি, ইন্ডাস্ট্রিগুলোতে মালামাল পড়ে আছে। সেগুলো নষ্ট হচ্ছে। তারা শ্রমিক পাচ্ছে না। হয়তো তাদেরও লোক নেওয়ার ক্ষেত্রে বড় একটি চাপ থাকতে পারে। তাদেরও বড় সমস্যা জনশক্তি। তবে মালয়শিয়াতে লোক পাঠানোর ক্ষেত্রে আমরা কোনো সিন্ডিকেট চাই না।

বায়রা মহাসচিব বীর মুক্তিযোদ্ধা আলী হায়দার চৌধুরীর সভাপতিত্বে গোলটেবিল বৈঠকে আরও উপস্থিত ছিলেন, ককার্সের সভাপতি ব্যারিস্টার শামীম হায়দার পাটোয়ারী,  এফবিসিসিআইর সাবেক সভাপতি এ কে আজাদ, বায়রার সাবেক সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. নূর আলী, সাবেক মহাসচিব রিয়াজুল ইসলাম, শামীম আহমেদ চৌধুরী নোমান, বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের (একাংশ) সাবেক সভাপতি মঞ্জুরুল আহসান বুলবুল, ভোরের কাগজের সম্পাদক শ্যামল দত্ত, ফ্রিল্যান্স সাংবাদিক ও অভিবাসন বিশেষজ্ঞ শরিফুল হাসান প্রমুখ।

বাংলাদেশ সময়: ১৫৫৩ ঘণ্টা মে ২১, ২০২২
এসজেএ/এমএমজেড

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।