ঢাকা, শনিবার, ৭ বৈশাখ ১৪৩১, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ১০ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

কেউ নির্বাচনে না এলেও ভোট ঠেকে থাকবে না

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬০৬ ঘণ্টা, মে ২২, ২০২২
কেউ নির্বাচনে না এলেও ভোট ঠেকে থাকবে না

সিরাজগঞ্জ: ২০২৪ সালে জাতীয় নির্বাচনে কেউ না এলেও ভোট ঠেকে থাকবে না বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য আব্দুর রহমান।

রোববার (২২ মে) আড়াইটার দিকে সিরাজগঞ্জ শহরের শহীদ এম মনসুর আলী অডিটোরিয়ামে সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলনে তিনি এ মন্তব্য করেন।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের এ জ্যেষ্ঠ নেতা।

আব্দুর রহমান বলেন, ২০২৪ সালের জানুয়ারি মাসে সাংবিধানিক সরকারের অধীনেই জাতীয় নির্বাচন হবে। নির্বাচন কমিশনের হাতে থাকবে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও প্রশাসন এবং নির্বাচন হবে অবাধ ও সুষ্ঠু। সেই নির্বাচনে যদি মনে করেন আপনারা (বিএনপি) নাও আসতে পারেন; ভোট কিন্তু ঠেকে থাকবে না।

তিনি বলেন, আজকে কেউ জাতীয় সরকারের ধারণা দিচ্ছেন, কেউ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের কথা বলছেন, আবার কেউ ঘরে থেকেই বলছেন এই সরকারকে উৎখাত না করা পর্যন্ত আমরা ঘরে ফিরবো না! চারদিকে নানা ষড়যন্ত্র চলছে। কিন্তু ওরা জানে না, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের ইতিহাস।

আব্দুর রহমান বলেন, আওয়ামী লীগ আইয়ুব খানের চোখ রাঙানি দেখেছে, ইয়াহিয়া খানের সামরিক শাসনের অত্যাচার দেখেছে, ৬৯ গণঅভ্যুত্থানের জন্ম দিয়েছে, ৭০’র সাধারণ নির্বাচনে বঙ্গবন্ধুর পক্ষে নিরঙ্কুশ বিজয় ছিনিয়ে তার নেতৃত্বে এদেশ স্বাধীন করেছে। সেই আওয়ামী লীগকে চোখ রাঙিয়ে কোনো লাভ নেই। আমরা আগুনের কাছে জ্বলতে শিখেছি, জ্বালানোর ভয় দেখিয়ে কোনো লাভ নেই।

আওয়ামী লীগের এ প্রেসিডিয়াম সদস্য আরও বলেন, ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী জাতীয় সরকারের ধারণা দিয়েছেন। সেখানে রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী ও মন্ত্রী কে হবে সেটাও বলে দিয়েছেন। তিনি যাদেরকে প্রধানমন্ত্রী-প্রেসিডেন্ট বানিয়েছেন। তাদের একজনও যদি সিরাজগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের বিরুদ্ধে নির্বাচনে জিততে পারবেন না।

তিনি মন্তব্য করেন, নির্বাচন করলে মানুষের সঙ্গে মিশতে হয়, অত্যাচার সহ্য করতে হয়, চা খাওয়াতে হয়। মানুষের সু:খ-দুখে পাশে দাঁড়াতে হয়। কিন্তু ওরা মানুষ তো দূরের কথা একটা কুকুরকেও একমুঠো ভাত দেয় না।

ওরা (বিএনপি) ভোটে যাবে না। কিন্তু ষড়যন্ত্র করে অন্ধকার গলির পথ দিয়ে অসংবিধানিক শক্তির সহায়তায় প্রেসিডেন্ট ও প্রধানমন্ত্রী হওয়ার স্বপ্ন দেখে। কিন্তু বাংলাদেশর মানুষ বেঁচে থাকতে এবং আওয়ামী লীগের একজন নেতাকর্মী বেঁচে থাকতেও তোমাদের এ স্বপ্ন পূরণ হবে না।

দলীয় নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে আব্দুর রহমান বলেন, আমরা কেউ চাই না হাওয়া ভবনের মতো একটি ভবন তৈরি হোক। আমরা চাই না সেদিন যেমন মায়ের কোল খালি হয়েছিল। আবার নতুন কোনো মায়ের কোল খালি হোক। সেদিন যেমন অর্থ সম্পদ লুট হয়েছিল আমরা সেটা চাই না।

২০০১-২০০৬ পর্যন্ত ঘরে ঘরে কান্নার রোল ছিল। মা সন্তান হারিয়েছিল, পুকুরের মাছ, বাগানের গাছ, গোয়ালের গরু, কৃষকের ধান লুট হয়েছিল। নেতাকর্মীদের হাত-পা ভেঙে চুরমার করা হয়েছিল। আমরা সেই দিনটায় ফিরে যেতে চাই না। তাই আগামী নির্বাচনে শেখ হাসিনার মনোনীত প্রার্থীকে বিজয়ী করার জন্য ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করতে হবে।

এর আগে সকালে সম্মেলনের উদ্বোধন করেন জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি অ্যাডভোকেট কে এম হোসেন আলী হাসান। প্রথম অধিবেশনে সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের আহ্বায়ক উপজেলা চেয়ারম্যান রিয়াজ উদ্দিনের সভাপতিত্বে ও যুগ্ন আহ্বায়াক সাত্তার শিকদারের সঞ্চালনায় বক্তব্য দেন আওয়ামী লীগের রাজশাহী বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক এস এম কামাল হোসেন, স্বাস্থ্য ও জনসংখ্যা বিষয়ক সম্পাদক ডা. রোকেয়া সুলতানা, কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য মেরিনা জাহান কবিতা, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আব্দুস সামাদ তালুকদার, হাবিবে মিল্লাত, তানভীর শাকিল জয়, জেলা আওয়ামী লীগ নেতা আবু ইউসুফ সূর্য, পৌর আব্দুর রউফ মুক্তা, কেন্দ্রীয় মহিলা আওয়ামী লীগের যুগ্ন সম্পাদক জান্নাত আরা তালুকদার হেনরী প্রমূখ।

বাংলাদেশ সময়: ১৬০৮, ২২ মে, ২০২২
এমজে

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
welcome-ad