ঢাকা, মঙ্গলবার, ১০ বৈশাখ ১৪৩১, ২৩ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

'২০৪০ সালের মধ্যেই তামাকমুক্ত হবে বাংলাদেশ'

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮৪৬ ঘণ্টা, মে ২২, ২০২২
'২০৪০ সালের মধ্যেই তামাকমুক্ত হবে বাংলাদেশ'

ঢাকা: ২০৪০ সালের মধ্যেই বাংলাদেশ তামাকমুক্ত হবে বলে জানিয়েছেন মুক্তিযুদ্ধ বিষয়কমন্ত্রী আ.ক.ম মোজাম্মেল হক। রোববার (২২ মে) রাজধানীর সিরডাপ মিলনায়তনে বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা ডেভেলপমেন্ট অরগানাইজেশন অব দ্য রুরাল পুওর (ডরপ) আয়োজিত এক মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ মন্তব্য করেন।

'তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন সময়োপযোগীকরণে নীতি-নির্ধারকদের কাছে প্রত্যাশা' শীর্ষক এ মতবিনিময় সভায় মন্ত্রী আরও জানান, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার ফ্রেমওয়ার্ক কনভেনশন ফর টোব্যাকো কন্ট্রোলের সঙে্গ সামঞ্জস্য করে তামাক নিয়ন্ত্রণ আইনকে সংশোধনের অঙ্গীকার করেছেন প্রধানমন্ত্রী।

তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আমরা ২০৪০ সালের মধ্যে তামাকমুক্ত বাংলাদেশ পাব। এ সময় মন্ত্রী মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ, পরিকল্পনা, বাণিজ্য, অর্থ এবং আইন মন্ত্রণালয়কে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অঙ্গীকার বাস্তবায়নে তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন শক্তিশালী ও সময়োপযোগী করার যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া জন্য অনুরোধ জানান।

আলোচনা সভায় তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন সময়োপযোগী করণে ৬টি প্রস্তাব উপস্থাপন করেন ডরপের উপ-নির্বাহী পরিচালক মোহাম্মদ যোবায়ের হাসান।

উত্থাপিত প্রস্তাবগুলো হচ্ছে- সব ধরনের পাবলিক প্লেস এবং গণ পরিবহনে ধূমপানের জন্য নির্ধারিত স্থান বিলুপ্ত করা; তামাক কোম্পানির সামাজিক দায়বদ্ধতা কার্যক্রম নিষিদ্ধ করা; বিক্রয় কেন্দ্রে তামাক দ্রব্যের প্রদর্শনী নিষিদ্ধ করা; ই-সিগারেট বা ইমার্জিং হিটেড টোব্যাকো আমদানি, উৎপাদন, ব্যবহার ও বাজারজাতকরণ নিষিদ্ধ করা; সব ধরনের তামাক পণ্য খুচরা ও খোলা বিক্রি বন্ধ করা; সচিত্র স্বাস্থ্য সতর্কবার্তার আকার প্যাকেটের ৫০ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ৯০ শতাংশ করা এবং তামাকজাত দ্রব্য প্যাকেট বা কৌটায় করা।

তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের মকবুল হোসেন  বলেন, খুচরা শলাকা বিক্রি বন্ধসহ আরও যে দাবিগুলোর কথা উঠেছে তা অত্যন্ত যৌক্তিক এবং সময়োপযোগী। তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে আমরা জনগণকে সচেতন করার জন্য বিভিন্ন গণমাধ্যম, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ও প্রচার মাধ্যমে তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন বিষয়ক বার্তাগুলো পৌঁছে দেওয়ার ব্যবস্থা করব।

জাতীয় তামাক নিয়ন্ত্রণ সেলের সমন্বয়কারী হোসেন আলী খোন্দকার বলেন, 'স্বস্থ্য মন্ত্রণালয় এ আলোচনা সভায় প্রস্তাবিত ৬টি দাবির সঙ্গে একমত। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের নতুন যে খসড়া তৈরি হয়েছে তাতে ডরপের দাবির সবগুলো বিষয়ই অন্তর্ভুক্ত হয়েছে। এটি সফল হয়েছে সম্মিলিত তামাক বিরোধী ক্যাম্পেইনের কারণে।

ক্যাম্পেইন ফর টোব্যাকো ফ্রি কিডস (সিটিএফকে), বাংলাদেশের লিড পলিসি অ্যাডভাইজার মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়কে আন্তরিক ধন্যবাদ জানাই বিদ্যমান আইনটি সংশোধন ও সময়োপযোগী করতে উদ্যোগ নেওয়ার জন্য।

আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন ডরপের চেয়ারম্যান আজহার আলী তালুকদার, অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন ডরপের উপ-নির্বাহী পরিচালক মোহাম্মদ যোবায়ের হাসান।

অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণকারী সাংবাদিক, সুশীল সমাজের সদস্যবৃন্দ, বিড়ি শ্রমিক-নেতা এবং যুব ফোরামের সদস্যরা তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন শক্তিশালীকরণে ৬টি সংশোধনী প্রস্তাবের ওপর আলোচনায় অংশ নেন।

বাংলাদেশ সময়: ১৮৪৬ ঘণ্টা, ২২ মে, ২০২২
এনবি/এমএমজেড

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।