ঢাকা, শুক্রবার, ১৪ চৈত্র ১৪৩০, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৮ রমজান ১৪৪৫

জাতীয়

টাকার প্রলোভনে ৫ বছরের শিশুকে বলাৎকার!

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২১৫৫ ঘণ্টা, মে ২২, ২০২২
টাকার প্রলোভনে ৫ বছরের শিশুকে বলাৎকার!

চাঁপাইনবাবগঞ্জ: চাঁপাইনবাবগঞ্জের নাচোলে ৫০০ টাকার লোভ দেখিয়ে ৫ বছরের এক শিশুকে বলাৎকারের অভিযোগে উঠেছে। ঘটনার পর থেকে অভিযুক্ত যুবক পলাতক আছেন।

শনিবার (২১ মে) বিকেলে নাচোল উপজেলার ফতেপুর ইউনিয়নের মল্লিকপুর বাজারের একটি ছাদে এ ঘটনা ঘটে। তবে শিশুটির মা-বাবা না থাকায় এ ঘটনা ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা চলছে বলে জানিয়েছেন স্থানীয়রা।

অভিযুক্ত বলাৎকারকারী  রাতুল আলী (১৮) নাচোল উপজেলার ফতেপুর ইউনিয়নের সালালপুর গ্রামের তরিকুল ইসলামের ছেলে। আর ভিকটিম শিশুটির বাড়ি গোমস্তাপুর উপজেলার নয়াদিয়াড়ী গ্রামে।

ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন, স্থানীয় বাসিন্দা, শিশু ও তার পরিবার, অভিযুক্ত রাতুলের বাবা ও ফতেপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সাদির আহম্মেদ ভুলুসহ অনেকেই।

এদিকে ঘটনার পর থেকে গা ঢাকা দিয়েছেন রাতুল আলী। তার মুঠোফোনও বন্ধ রয়েছে। এক বছর আগে বিয়ে করা রাতুল আলী পেশায় ট্রাক্টর চালক।
 
স্থানীয়রা জানায়, শিশুটির বাবা মারা যাবার পর তার মা অন্যত্র বিয়ে করেছেন। শিশুটির সৎ মায়ের সঙ্গে অভিযুক্তরা মীমাংসার মাধ্যমে ঘটনাটি ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা চলছে।

এদিকে শিশুটির মা বলেন, শনিবার (২১ মে) তার ছেলে মল্লিকপুর হাটে ঘুরতে গিয়ে এ ঘটনা ঘটে। পরে সে বাড়ি ফিরে তাকে ক্ষতস্থান দেখিয়ে কাঁদতে থাকে। পরে  রক্তপাত শুরু হলে রাতেই গোমস্তাপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করার পর কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে রেফার্ড করেন।
তিনি আরও জানান, মল্লিকপুর বাজারের মহানন্দা নদীর ধারে পল্লী চিকিৎসক আক্তার উদ্দিনের ছাদে তার সন্তান বলাৎকারের শিকার হয়।
 

শিশুটি জানায়, হাটে যাওয়ার পর রাতুল নদীর ধারের একটি ছাদে তাকে নিয়ে যায়। সেখানে ৫০০ টাকা দেওয়ার কথা বলে প্যান্ট খুলে এ ঘটনা ঘটালে মলদ্বার দিয়ে রক্ত বের হতে থাকে। এ সময় তার চিৎকারে স্থানীয়রা এসে তাকে উদ্ধার করে বাড়ি পৌঁছে দেয়।

অভিযুক্ত রাতুল আলীর বাবা তরিকুল ইসলাম ঘটনার সত্যতা শিকার করে বলেন, পুলিশ এ ব্যাপারে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে। তিনি ছেলেকে পুলিশের হাতে তুলে দেওয়ার মুচলেকা দিয়ে ছাড়া পেয়েছেন।

এ ব্যাপারে নাচোল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মিন্টু রহমান জানান, ভুক্তভোগী শিশু ও তার পরিবার এখন রামেক হাসপাতাল রয়েছে। একটু সুস্থ হলেই সোমবার (২৩ মে) শিশুটির পরীক্ষা-নিরীক্ষা হবে। শিশুটির পরিবার এ ব্যাপারে মামলা দায়েরের প্রস্তুতি নিচ্ছে। অন্যদিকে পুলিশ অভিযুক্ত ব্যক্তিকে গ্রেফতারের চেষ্টা চালাচ্ছে।

বাংলাদেশ সময়: ২১৫৫ ঘণ্টা, ২২মে, ২০২২
এমএমজেড

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।