ঢাকা, শুক্রবার, ৬ বৈশাখ ১৪৩১, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

নদী ভাঙনে ক্ষতিগ্রস্তদের তালিকা প্রণয়নে অনিয়মের অভিযোগ

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫২৩ ঘণ্টা, মে ২৩, ২০২২
নদী ভাঙনে ক্ষতিগ্রস্তদের তালিকা প্রণয়নে অনিয়মের অভিযোগ

ফরিদপুর: ফরিদপুরের আলফাডাঙ্গা উপজেলায় মধুমতি নদী ভাঙন কবলিত এলাকায় সরকারি সাহায্যের তালিকা প্রণয়নে এক ইউপি সদস্যের বিরুদ্ধে অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। উপজেলার ১ নম্বর বুড়াইচ ইউনিয়ন পরিষদের ৯ নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য জাফর শিকদারের বিরুদ্ধে এ অভিযোগ ওঠে।

এ ঘটনায় সোমবার (২৩ মে) সকাল ১১টার দিকে ওই ইউপি সদস্যের বিরুদ্ধে মো. গফফার মিয়া নামে এক ব্যক্তি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) রফিকুল হকের কাছে একটি লিখিত অভিযোগ করেন। গফফার মিয়া উপজেলার বুড়াইচ ইউনিয়নের খোলাবাড়িয়া গ্রামের মো. আজাহার মিয়ার ছেলে।

জানা গেছে, নদী ভাঙন কবলিত এলাকার অতিদরিদ্র মানুষের জন্য আর্থিক সহায়তা দেবেন প্রধানমন্ত্রী। এ কার্যক্রম বাস্তবায়নে ক্ষতিগ্রস্তদের তালিকা করার নির্দেশনা আসে। পরে নির্দেশনা অনুযায়ী সম্প্রতি ১ নম্বর বুড়াইচ ইউনিয়নের ৯ নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য জাফর শিকদার ৪২ জনের নামের একটি তালিকা করে উপজেলা নির্বাহীর কার্যালয়ে জমা দেন।

কিন্তু এ তালিকায় অতিদরিদ্র ও দুস্থ মানুষের নাম না দিয়ে ধনী, আর্থিক ভাবে সচ্ছল, সরকারি কর্মচারীসহ একই পরিবারের একাধিক ব্যক্তির নাম দেওয়া হয়েছে। এমনকি নদীতে যাদের বাড়ির কোনো ক্ষতি হয়নি এমন ব্যক্তির নামও তালিকাভুক্ত করা হয়েছে। স্বজনপ্রীতি ও রাজনৈতিক প্রতিহিংসার কারণে প্রকৃত অতিদরিদ্র-দুস্থ মানুষের নাম থেকে যাচ্ছে তালিকার আড়ালেই।

নদী ভাঙনে ক্ষতিগ্রস্ত আব্দুল গফফার মিয়া বাংলানিউজকে বলেন, চার বার নদী ভাঙনের স্বীকার হয়েছি। এ পর্যন্ত ভাঙনের কারণে সরকারি কোনো সহায়তা পাইনি। অধিকাংশ ক্ষেত্রেই সরকারি সাহায্যের তালিকায় তারাই থাকেন যাদের গোলায় ধান, গোয়ালে গরু আর নগদ টাকা আছে।

তিনি আরও বলেন, এ পর্যন্ত আমার বাড়িতে একটা ঘরও দিতে পারি নাই। ঋণের ভারে জর্জরিত হয়েছি। আমার মেয়েরা মেধাবী হওয়া সত্ত্বেও তাদের পাড়াশোনা বন্ধ করে দিতে হয়েছে। দুই বছর বিরতির পরে শুধু ছেলেটাকে স্কুলে ভর্তি করিয়েছি। কিন্তু তারপরেও নদী ভাঙনে ক্ষতিগ্রস্তদের তালিকায় আমার নাম নেই।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে অভিযুক্ত জাফর শিকদার বলেন, আমি তালিকায় কোনো অনিয়ম করিনি। আমি তালিকা প্রণয়ন করে উপজেলায় জমা দিয়েছি। উপজেলা প্রশাসন তদন্ত করে যাদের নাম ভালো মনে করবেন তাদেরকে সাহায্য দেবেন। এক্ষেত্রে আমার কোনো অভিযোগ নেই।

আলফাডাঙ্গা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রফিকুল হক বাংলানিউজকে জানান, নদী ভাঙনে ক্ষতিগ্রস্ত ৪২ জনের নামের একটি তালিকা পেয়েছি। তবে এ তালিকায় থাকা সবাই সরকারি সহায়তা পাবেন না। মাঠ পর্যায়ে যাচাই-বাছাই করে প্রকৃত ক্ষতিগ্রস্তদের সহায়তা দেওয়া হবে।

বাংলাদেশ সময়: ১৫২১ ঘণ্টা, মে ২৩, ২০২২
এফআর

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।