ঢাকা, সোমবার, ৩ আষাঢ় ১৪৩১, ১৭ জুন ২০২৪, ০৯ জিলহজ ১৪৪৫

জাতীয়

বরিশালে অত্যাধুনিক নদী বন্দর হবে: প্রতিমন্ত্রী

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮৩১ ঘণ্টা, মে ২৩, ২০২২
বরিশালে অত্যাধুনিক নদী বন্দর হবে: প্রতিমন্ত্রী

বরিশাল: নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, টেন্ডার প্রক্রিয়া হয়ে গেছে, আগামী কিছু দিনের মধ্যে বরিশালে একটি অত্যাধুনিক নদী বন্দর তৈরির কাজ শুরু হবে। শুধু বরিশাল নয়, চাঁদপুর নারায়ণগঞ্জসহ যতগুলো আঞ্চলিক নদী বন্দর রয়েছে, সবগুলোকে আধুনিকায়ন করা হবে।

আগে বলা হতো ‘ওপরে ফিটফাট ভেতরে সদরঘাট’, এখন বলা হয় ‘দেখতে হলে ফিটফাট চলে যান সদরঘাট’। আমাদের বিআইডব্লিউটিএ’র পক্ষ থেকে সুন্দর ব্যবস্থাপনা করা হয়েছে।

সোমবার (২৩ মে) দুপুরে বরিশালের কীর্তনখোলা নদীর তীরে বিআইডব্লিউটিএ’র ড্রেজার বেজ উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, নৌ-নিরাপত্তার জন্য আমরা বলেছি, সব সেক্টরে প্রশিক্ষিত জনগোষ্ঠীকে নিয়োগ দিতে হবে। পাশাপাশি বলেছি, ঝুঁকিপূর্ণ কোনো নকশা আমরা নৌপথে চলতে দেব না। ধীরে ধীরে এগুলো আমরা শূন্যের কোঠায় নিয়ে আসব। কারণ ওভার নাইট এটা আমরা করতে গেলে যারা এখানে বিনিয়োগ করেছেন তারা যেমন সংকটে পড়বেন, তেমনি যাত্রীসেবাও সংকটের মধ্যে পড়ে যাবে।

তিনি বলেন, নদী দখল-দূষণ খুবই গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। আমার মনে হয় নদী যে দখল হয়ে যায়, দূষণ হয়ে যায়, এটা নিয়ে দেশের মানুষের কোনো ধারণা ছিল না। দক্ষিণাঞ্চলের মানুষের থাকলেও আমাদের ওখানকার মানুষের ছিল না। এখন দেশের ১৭ কোটি মানুষ নদী দখল-দূষণ নিয়ে ভাবে এবং বলে এটাই হচ্ছে জননেত্রী শেখ হাসিনার বড় সফলতা। যে আমরা জনসচেতনতা সৃষ্টি করতে পেরেছি।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, বিআইডব্লিউটিএ কাজ করছে। অল্প কিছু দিনের মধ্যে নদী রক্ষা কমিশনের চেয়ারম্যান এখানে আসবেন এবং স্থানীয় প্রশাসনের সঙ্গে কথা বলে এ কীর্তনখোলানদীসহ যে নদীগুলোর জায়গা দখল-দূষণ হচ্ছে সেগুলো চিহ্নিত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। ভবিষ্যতে বরিশালে দখল হওয়া নদীর জায়গা অবশ্যই মুক্ত করা হবে। ৭৫ থেকে ৯৬ পর্যন্ত কেউ নদীর পথে তাকায়নি, তাই অনেক দখল-দূষণ হয়ে গেছে। এত বেশি দূষণ হয়েছে, পলিথিন পড়েছে কীর্তনখোলায়। বরিশালে যখন আমরা ড্রেজার দেই তখন ড্রেজারের কাটার সেকশন আটকে যায় পলিথিনে। আমাদের বুড়িগঙ্গা, কর্ণফুলীর একই অবস্থা। এ জায়গা থেকে উত্তরণের জন্য আমরা অত্যাধুনিক ড্রেজার সংগ্রহ করছি। সংগ্রহ হলেই আমরা সেই পলিথিনগুলো উদ্ধার করতে পারবে।  

নদীবেষ্টিত বরিশাল ও এখানকার মানুষের জন্য ভাসমান বিনোদন কেন্দ্রের জন্য বরিশাল সিটি করপোরেশনের মেয়র সেরনিয়াবাত সাদিক আব্দুল্লাহের দাবির কথা তুলে ধরে তিনি বলেন, মেয়র যেটা দাবি করেছেন এটা বরিশালের মানুষের রাইট। প্যাডেলচালিত স্টিমার, অস্ট্রিজ, মাকসুদ, গাজী যেগুলো আছে এগুলো বরিশালের মানুষের হৃদয়ে জায়গা করে আছে। আমি ইতোমধ্যে বিআইডব্লিউটিসির চেয়ারম্যানের সঙ্গে কথা বলেছি, তারাও সিদ্ধান্ত নিয়েছে বরিশালে এ রকম একটি প্যাডেল স্টিমার/রকেট সার্বক্ষণিক থাকবে এবং বরিশালের মানুষের স্মৃতিতে যাতে এটি থেকে যায় সে ধরনের ব্যবস্থা আমরা করব।

বাংলাদেশ সময়: ১৮৩০ ঘণ্টা, মে ২৩, ২০২২
এমএস/আরবি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।