ঢাকা, সোমবার, ৫ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১, ২০ মে ২০২৪, ১১ জিলকদ ১৪৪৫

জাতীয়

উইং করে শিক্ষা মূল্যায়ন কার্যক্রম পরিচালনার নির্দেশ

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯২৫ ঘণ্টা, মে ৩০, ২০২২
উইং করে শিক্ষা মূল্যায়ন কার্যক্রম পরিচালনার নির্দেশ

ঢাকা: জাতীয় শিক্ষা ব্যবস্থাপনা একাডেমি (নায়েম) বা জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ডের (এনসিটিবি) অধীনে একটি উইং করে জাতীয় শিক্ষা মূল্যায়ন কার্যক্রম পরিচালনার নির্দেশ দিয়েছে মন্ত্রিসভা।  

শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগ জাতীয় শিক্ষা মূল্যায়ন কেন্দ্র আইন, ২০২২ এর খসড়া উপস্থাপন করলে মন্ত্রিসভা তা অনুমোদন না দিয়ে এই নির্দেশনা দেয়।

 

বৃহস্পতিবার (১৯ মে) প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত মন্ত্রিসভা বৈঠকে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগকে এ নির্দেশনা দেওয়া হয়। প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে এই বৈঠক হয়।  

বৈঠক শেষে সচিবালয়ে প্রেস ব্রিফিংয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম সচিবালয়ে ব্রিফিংয়ে এ তথ্য জানান।  

তিনি বলেন, পরীক্ষা ব্যবস্থা ও মূল্যায়ন ব্যবস্থার মধ্যে একটা সমতা নিয়ে আসা, বিভিন্ন ধরনের শিক্ষা পদ্ধতি আছে এরমধ্যে অ্যাসেসমেন্ট পদ্ধতিটা যাতে ট্রান্সপারেন্ট থাকে এবং সিমিলারিটি থাকে যেন উচ্চশিক্ষার ক্ষেত্রে কোনো অসুবিধা না হয়, এজন্য শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগ জাতীয় শিক্ষা মূল্যায়ন কেন্দ্র আইন নিয়ে এসেছে। একটা প্রতিষ্ঠান বা কর্পোরেশনের মতো করবেন, ডিজি টাইপের একজন লোক দিয়ে নতুন একটা কেন্দ্র করতে চাচ্ছেন। মন্ত্রিসভা বৈঠকে বিস্তারিত আলোচনার পর এই বিষয়টা নিয়ে একটু দ্বিমত পোষণ করা হয়েছে। এটার জন্য আলাদা প্রতিষ্ঠান করার দরকার নেই।  

তিনি বলেন, নায়েম বা এনসিটিবি এই দুটি যে আছে, এগুলোর আইন ও কার্যক্রম সুপারভিশন করেন।  ২০০৯ সালে একাডেমিক কাউন্সিল আইন হয়েছে, সেখানেও এই জাতীয় কিছু ইন্ডিকেশন দেওয়া আছে। এ তিনটি প্রতিষ্ঠান দেখে... নতুন করে প্রতিষ্ঠান করার দরকার নেই। যদি ওইসব আইন ও বিধি মডিফিকেশন করে এই প্রতিষ্ঠানগুলোর অধীনে একটি উইং করে কাজকর্ম করা যেতে পারে। প্রয়োজনে একজন পরিচালকের অধীনে ১০-১২ সহায়ক কর্মকর্তা নিয়ে উইং করা যেতে পারে।  

বোর্ডের অধীনে করা হলে ১১টি বোর্ডে আবার ১১টি করতে হবে তাই কেন্দ্রীয়ভাবে করতে বলা হয়েছে।  

এসব পর্যবেক্ষণ দিয়ে খসড়া আইনটি মন্ত্রিসভার ফেরত পাঠিয়েছে। ওনারাও রাজি হয়েছেন বলে জানান মন্ত্রিপরিষদ সচিব।  

নতুন এই আইন করার উদ্দেশ্যে তুলে ধরে খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, শিক্ষার সকল ধারার ও পর্যায়ের মূল্যায়ন সংক্রান্ত নীতিমালা প্রণয়নের জন্য গবেষণা পরিচালনা করা, সঠিকভাবে বাস্তবায়নের জন্য সুপারভিশন ও মনিটরিং করা। গবেষণা কার্যক্রম পরিচালনা করা ও ফলাবর্তন প্রদানের জন্য সব শিক্ষা বোর্ড জাতীয় শিক্ষা কার্যক্রম ও পাঠ্যপুস্তক- এগুলো থেকে উপাত্ত সংগ্রহ করা। জাতীয় ও আন্তর্জাতিক শ্রম বাজারের চাহিদা মোতাবেক পেশাগত দক্ষতা চিহ্নিত করে তা শিক্ষা কার্যক্রমে অন্তর্ভুক্ত করার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ।  

দেশীয় বা আন্তর্জাতিক যেকোনো পেশাদার প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে সক্রিয়ভাবে যোগাযোগ রেখে সেমিনার সিম্পোজিয়াম করে তাদের কাছ থেকে অভিজ্ঞতা নেওয়া।  

মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, এই কাজগুলো অন্য যে ডিপার্টমেন্টের এর কাছাকাছি রিলেটেড কাজগুলো আছে, সেই ডিপার্টমেন্টের একটি উইং হিসেবে প্রতিষ্ঠা করে কাজগুলো করা যেতে পারে। ওনারা (মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগ) এক্সপার্টদের সঙ্গে বসে এটা করবে।  

বাংলাদেশ সময়: ১৯২৪ ঘণ্টা, মে ৩০, ২০২১
এমআইএইচ/এসআইএস 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।