ঢাকা, রবিবার, ১৫ বৈশাখ ১৪৩১, ২৮ এপ্রিল ২০২৪, ১৮ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

১০ মিনিটে পদ্মা পার, এক ঘণ্টায় ঢাকা

ইসমাইল হোসেন, স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫৪২ ঘণ্টা, জুন ২, ২০২২
১০ মিনিটে পদ্মা পার, এক ঘণ্টায় ঢাকা ছবি: ডিএইচ বাদল

পদ্মা সেতু এলাকা থেকে ফিরে: ‘নিজের জমির উপর সেতু হচ্ছে। সেতু হলে ১০ মিনিটে পদ্মা পার হয়ে এক-দুই ঘণ্টায় ঢাকা যাব।

এটা আমাদের জন্য উপকার, উপকার না হলে কী আর জায়গা-জমি দেই। ’

পদ্মা সেতু হলে কী পাবেন- এমন প্রশ্ন ছুড়তেই প্রায় এক নিশ্বাসেই কথাগুলো বলছিলেন পদ্মার ওপারের ষাটোর্ধ্ব ইসহাক মোল্লা।

আগামী ২৫ জুন দেশের সবচেয়ে বৃহৎ স্বপ্নের পদ্মা সেতু উদ্বোধনের দিনক্ষণ ঠিক হওয়ার আগে বুধবার (১ জুন) পদ্মা নদীর ওপারে জাজিরা পয়েন্টে মাঝিরঘাট এলাকায় কথা হয় ইসহাক মোল্লার সঙ্গে। এ সেতু ওপারে শরিয়তপুরের জাজিরা এবং এপারে মুন্সিগঞ্জের মাওয়ার মধ্যে সংযোগ করে ছয় কিলোমিটারের বেশি এ প্রকল্প পুরো দক্ষিণবঙ্গকে ঢাকার সঙ্গে যুক্ত করেছে।  

ঢাকা থেকে এক ঘণ্টার মধ্যে পৌঁছানো যায় পদ্মা সেতু এলাকায়। পদ্মা সেতুর জন্য প্রশস্ত ও চোখ ধাঁধানো সড়কও তৈরি করা প্রায় শেষ হয়েছে।  

প্রকল্প এলাকার কাছে সন্ধ্যার আগে মাঝিরঘাট এলাকায় ফেরিঘাটে ফেরি ধরতে শত মানুষের অপেক্ষা। তখন নদীর ধারে বাজারের পাশ দিয়ে যাওয়া রাস্তায় পায়চারি করছিলেন ইসহাক মোল্লা।

জাজিরা পয়েন্টর পানিপাড়া এলাকার ইসহাক মোল্লার সঙ্গে কথা হচ্ছিল পদ্মা সেতুর লাভ-ক্ষতি নিয়ে। তিনি বলেন, সেতু হলে আমাদের সহজেই ঢাকা চলাচলের সুযোগ হবে। সব দিক দিয়ে ভালো। কোনো খারাপ দিক নেই।

‘১০ মিনিটে পদ্মা পার হয়ে গেল গা, এক ঘণ্টায় ঢাকা। আমাদের জন্য উপকার। উপকার না হইলে আমরা জায়গা-জমি দেই!’

পদ্মা সেতু ঘিরে নদীর দুই পাড়ের মানুষের মধ্যে উচ্ছ্বাসেরও শেষ নেই। মাওয়া ও জাজিরার সংযোগের মধ্য দিয়ে পদ্মা সেতুর বাস্তবায়নে নিজেদের ভাগ্য বদল হবে বলেই ধরে নিয়েছেন তারা।

পদ্মার ওপারে নাওডোবা ঘাটে নদীর তীরে আচার বিক্রি করছেন শহীদুল ইসলাম। স্থানীয় মাতবরকান্দি এলাকার এ ফেরিওয়ালা বলেন, পদ্মা সেতু চালু হওয়ার আগেই মানুষ এখানে বেড়াতে আসছে। শুক্রবার ও শনিবার লোকজন বেশি হয়।

তিনি আরও বলেন, আগে এখানে কোনো মানুষই আসতো না। সেতু হওয়ায় এখন বেড়াতে আসে, বেচাবিক্রি হয়। সেতু চালু হলে আরও আয়-ইনকাম ভালো হবে।

বাংলাদেশ সময়: ১৫৩৯ ঘণ্টা, জুন ০২, ২০২২
এমআইএইচ/আরবি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।