ঢাকা, শনিবার, ২১ বৈশাখ ১৪৩১, ০৪ মে ২০২৪, ২৪ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

ডিবিসির প্রযোজক হত্যা: রহস্য উদঘাটনে সময় লাগবে

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৯৩৩ ঘণ্টা, জুন ১১, ২০২২
ডিবিসির প্রযোজক হত্যা: রহস্য উদঘাটনে সময় লাগবে

ঢাকা: রাজধানীর গুলশান লেকপাড় থেকে বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেল ডিবিসি নিউজের প্রযোজক আবদুল বারীর ক্ষত-বিক্ষত মরদেহ উদ্ধারের ঘটনায় এখনো কাউকে গ্রেফতার করা সম্ভব হয়নি।

এ হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে সংশ্লিষ্টতা খুঁজতে পুলিশের বিভিন্ন সংস্থা একযোগে কাজ করছে।

 

এদিকে মামলার তদন্তকারী সংস্থা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি) বলছে, হত্যাকাণ্ডের রহস্য উদঘাটনে কিছুটা সময় লাগবে।

গত বুধবার (৮ জুন) সকালে গুলশান লেকপাড় থেকে আবদুল বারীর ক্ষত-বিক্ষত মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। মরদেহ ও আলামত অনুযায়ী পুলিশ জানায়, ধারালো অস্ত্র দিয়ে তার গলা ও বুকে জখম করা হয়েছে।

বারী সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলার শিয়ালকোল ইউনিয়নের চন্ডিদাসগাঁতি গ্রামের আব্দুল্লাহ শেখের ছেলে। তিনি মহাখালীতে ব্যাচেলর হিসেবে একটি মেসে থাকতেন।

মরদেহের পাশ থেকে রক্তমাখা ছুরি, তার মানিব্যাগ ও মোবাইল ফোন উদ্ধার করা হয়েছে। তাই এটি স্পষ্ট, তাকে খুন করা হয়েছে। পুলিশ প্রাথমিকভাবে ধারণা করছে, পূর্ব শত্রুতার জের ধরে তাকে খুন করে থাকতে পারে।

এ ঘটনায় গুলশান থানায় দায়েরকৃত মামলাটি তদন্ত করছে ডিবি। সংশ্লিষ্ট এক কর্মকর্তা জানান, ইতোমধ্যে বারীর পরিচিতজন ও বন্ধু-বান্ধদের বিষয়ে খোঁজখবর নেওয়া হচ্ছে। তিনি কার সঙ্গে কোথায় কোথায় চলাফেরা করতেন সেসব বিষয়গুলোও খতিয়ে দেখা হচ্ছে। ঘটনাস্থলের কোনো সিসিটিভি ফুটেজ না পাওয়ায় আশপাশের সিসিটিভি ফুটেজ বিশ্লেষণ করে দেখছেন তদন্ত সংশ্লিরা।

তবে বারীর স্বজন ও পরিবারের সদস্যরা জানিয়েছেন, বারী অত্যন্ত শান্ত স্বভাবের ছিলেন। কারো সঙ্গে বাড়তি কোনো কথা বলতেন না। তাদের জানামতে মৃদুভাষী বারীর কোনো শত্রুও নেই। তারা কোনোভাবেই বারীর এ খুন হওয়া মেনে নিতে পারছেন না।

বারীর সহকর্মীরা জানান, ঘটনার আগের দিন মঙ্গলবার (৭ জুন) তার সাপ্তাহিক ছুটি থাকায় তিনি সেদিন অফিসে যাননি। বারী এতটাই শান্ত স্বভাবের ছিলেন তাকে কনোনদিন উচ্চস্বরে একটা কথাও বলতে শোনেননি কেউ। ভদ্র ও নম্র বারীর কেউ শত্রু থাকতে পারে মনেই হচ্ছে না সহকর্মীদের।

মামলাটি তদন্তের বিষয়ে ডিবির অতিরিক্ত কমিশনার এ কে এম হাফিজ আক্তার বলেন, ডিবিসি নিউজের প্রযোজক আবদুল বারীর হত্যাকাণ্ডের রহস্য উদঘাটন করতে ডিবি, পিবিআই ও সিআইডিসহ অনেকগুলো সংস্থা একসঙ্গে কাজ করছে। ঘটনাস্থল থেকে ভিকটিমের একটি মোবাইল ফোন পাওয়া গেছে। আমার জানা মতে ফোনটি এখনো ওপেন করা যায়নি।

এ মামলার তদন্তে অনেক বিষয় সামনে রেখে কাজ করা হচ্ছে। ভিকটিমের মরদেহ যে এলাকায় উদ্ধার হয়েছে সেসব বিষয়সহ এখানে অনেক বিষয় মিলাতে হবে। এর রহস্য উদঘাটনে আমাদের আরো সময় লাগবে। এখনই এ বিষয়ে বলার মতো কিছু পাওয়া যায়নি।

ডিবিপ্রধান বলেন, ভিকটিম অত্যন্ত মৃদুভাষী একজন লোক। তিনি যেখানে চাকরি করতেন ও থাকতেন সেখানেও খুবই কম কথা বলতেন বলে আমরা জেনেছি। তার খুব বেশি লোকজন পরিচিত ছিল না।

বাংলাদেশ সময়: ০৯৩১ ঘণ্টা, জুন ১১, ২০২২
পিএম/আরবি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।