ঢাকা, রবিবার, ২৯ বৈশাখ ১৪৩১, ১২ মে ২০২৪, ০৩ জিলকদ ১৪৪৫

জাতীয়

মেট্রোরেলের সুফল পেতে সঠিক ব্যবস্থাপনা প্রয়োজন: মেয়র আতিক

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭২০ ঘণ্টা, জুন ১৫, ২০২২
মেট্রোরেলের সুফল পেতে সঠিক ব্যবস্থাপনা প্রয়োজন: মেয়র আতিক ছবি: জিএম মুজিবুর

ঢাকা: ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম বলেছেন, মেট্রোরেলের সুফল পেতে হলে সংশ্লিষ্ট বিভাগের সমন্বয়ের বিকল্প নেই। মেট্রোরেল চালু হলে এর নিচের রাস্তা, ড্রেন, শাখা রোড, রাস্তার লাইট, পরিবেশ—এগুলো সবই সঠিকভাবে ব্যবস্থাপনা করতে হবে।

তিনি বলেন, ফুটপাত যথেষ্ট প্রশস্ত হতে হবে। তা না হলে সেখানে যাত্রীরা ব্যাগ বা জিনিসপত্র নিয়ে সাচ্ছন্দ্যে চলাচল করতে পারবে না। ল্যান্ডিং স্টেশনে পাবলিক স্পেস খুব জরুরি। এগুলো নিশ্চিত করতে হবে।

বুধবার (১৫ জুন) রাজধানীর আগারগাঁওয়ে বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে এমআরটি লাইন-৬ এর অগ্রগতি ও সম্ভাবনা সংক্রান্ত সেমিনার এবং এমআরটি লাইন-১ এর নিকট লাইসেন্স হস্তান্তর অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন ঢাকা উত্তর সিটির মেয়র।

তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রীর কল্যাণে আর মাত্র ১০দিন পরেই স্বপ্নের পদ্মা সেতু চালু হবে, মাত্র ১৮০ দিন পরেই চালু হবে মেট্রোরেল এবং ৬ হাজার ৯৩৫ দিন পরে বাংলাদেশ হবে উন্নত দেশ। মেট্রোরেল চালু হলে ঢাকার যোগাযোগ ব্যবস্থায় বৈপ্লবিক পরিবর্তন আসবে। আমাদের মনে রাখতে হবে মেট্রোরেল কেন্দ্রিক যে জীবন ব্যবস্থা ঘরে উঠবে তার সঙ্গে খাপ খায়িয়ে আমাদের পরিকল্পনা করতে হবে। স্টেশন কেন্দ্রিক যে অর্থনৈতিক বলয় গড়ে উঠবে তার সঠিক পরিকল্পনা করে জনসাধারণের কাজে লাগাতে হবে।

ডিএনসিসি মেয়র আরও বলেন, জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে ঢাকা শহরে বিপুল সংখ্যক মানুষ চলে আসছে। যত বেশি কানেকশন আমরা করতে পারবো ততই কিন্তু মানুষ ঢাকা শহরে কাজ সেরে আবার নিজেদের বাড়িতে চলে যাবে।

ঢাকায় নৌযান চলাচলে গুরুত্বারোপ করে আতিকুল ইসলাম বলেন, আমাদের চেচার বেসড সলিউশন (প্রাকৃতিক সমাধান) করতে হবে। ঢাকার চারপাশে নদী আছে, শহরের ভেতরে আছে খাল। এগুলোর মাধ্যমে নৌযান চলাচলের ব্যবস্থা করলে যানজট নিরসন হবে।

এমআরটি লাইন-১ বাস্তবায়ন সম্পর্কে ডিএনসিসি মেয়র বলেন, এমআরটি লাইন-৬ এর অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগিয়ে এমআরটি লাইন-১ নির্মাণের পূর্বে যে বিষয়সমূহ বিবেচনায় রাখা জরুরি সেগুলো হলো: ফুটপাতে পথচারীদের অবাধ চলাচল নিশ্চিত কল্পে ফুটপাতের ওপরে কোনো অবস্থাতেই এমআরটি লাইন এর ল্যান্ডিং নির্মাণ করা যাবে না, মেট্রোরেল লাইন নির্মাণ কাজ চলাকালীন সময়ে যানবাহনের স্বাভাবিক চলাচল নিশ্চিত করার লক্ষ্যে বিকল্প রাস্তা নির্মাণ করতে হবে এবং ফুটপাতের প্রয়োজনীয় রক্ষণাবেক্ষণ নিশ্চিত করতে হবে, মেট্রোরেল লাইন নির্মাণ কার্যক্রম শুরু করার পূর্বেই উক্ত এলাকার পানি নিস্কাশনের বিকল্প ব্যবস্থা চালু করতে হবে, ইন্টিগ্রেটেড করিডোর ব্যবস্থাপনা (আইসিএম) এর সংস্থান রাখতে হবে, সকল শাখা সেকেন্ডারি ও টারসিয়ারি সড়ক থেকে এমআরটি স্টেশনের একটি কার্যকরি সংযোগ নিশ্চিত করতে হবে, আলোচ্য প্রকল্পের সাথে শুরুতেই ট্রানজি অরিয়েন্টেড ডেভেলপমেন্টের সংস্থান রাখতে হবে, এমআরটি প্রকল্পের নির্মাণ কাজ চলাকালীন সময়ে সড়কে চলাচলকারী যানবাহন ও পথচারীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে, জনসাধারণের স্বাভাবিক চলাচল নিশ্চিত করার নিমিত্তে প্রকল্পের নির্মাণ কাজ চলাকালীন সময়ে সড়ক বাতি সমূহ অবশ্যই সচল রাখার ব্যবস্থা নিতে হবে।

বিশেষ অতিথির বক্তব্যে ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের মেয়র ব্যারিস্টার ফজলে নূর তাপস বলেন, ঢাকাবাসীর জন্য এমআরটি প্রধানমন্ত্রীর উপহার। এই এমআরটি চালু হলে যানজট অনেকাংশেই কমে যাবে, তবে পুরোপুরি কমবে না। ট্রানজিট ওরিয়েন্টেড ডেভেলপমেন্ট করেই আমদের এই যানজট নিরসন করতে হবে। পরিকল্পনা প্রণয়নের সময়েই অংশীজনদের সমন্বয় হলে আরু বেশি সুফল পাওয়া যাবে।

অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে সংসদ সদস্য রওশন আরা মান্নান বলেন, আশা করি মেট্রোরেল চালু হলে ঢাকা শহরের যানজট অনেকটা কমে যাবে, দেশবাসীর এর সুফল ভোগ করবে। ঢাকায় ক্রমাগত জনসংখ্যা বেড়েই যাচ্ছে এর ফলে ঢাকায় ব্যাপক যানজটের সৃষ্টি হয়। ঢাকার দুই মেয়রকে যানজট নিরসনে কার্যকরী পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান জানাই।

বাংলাদেশ সময়: ১৭১৬ ঘণ্টা, জুন ১৫, ২০২২
এইচএমএস/এমজেএফ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।