ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৮ বৈশাখ ১৪৩১, ০২ মে ২০২৪, ২২ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

হাদিসুরের পরিবার পেল ৫ লাখ ৫ হাজার মার্কিন ডলার, ভাই পেল চাকরি 

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট  | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২২১১ ঘণ্টা, জুন ১৬, ২০২২
হাদিসুরের পরিবার পেল ৫ লাখ ৫ হাজার মার্কিন ডলার, ভাই পেল চাকরি 

ঢাকা: ইউক্রেনের বন্দরে ক্ষেপণাস্ত্রের আঘাতে নিহত জাহাজের থার্ড ইঞ্জিনিয়ার হাদিসুর রহমানের পরিবারের হাতে ৫ লাখ ৫ হাজার ডলারের ক্ষতিপূরণের চেক তুলে দেওয়া হয়েছে।

হাদিসুর রহমানের ভাইকে বিএসসিতে চাকরিও দেওয়া হয়েছে।

এছাড়া জাহাজের অন্যান্য কর্মকর্তা-নাবিকদের হাতেও ৭ মাসের বেতনের সমপরিমাণ ক্ষতিপূরণের চেক দেওয়া হয়েছে। বাংলাদেশ শিপিং কর্পোরেশনের (বিএসসি) পক্ষ হতে এ ক্ষতিপূরণ দেওয়া হয়।

বৃহস্পতিবার (১৬ জুন) রাজধানীর দৈনিক বাংলায় বাংলাদেশ শিপিং করপোরেশনের (বিএসসি) আঞ্চলিক কার্যালয় বিএসসি টাওয়ারে এক অনুষ্ঠানে এ ক্ষতিপূরণ দেওয়া হয়।  

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী। তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আমাদের সাহসের আইকন। সাহস থাকলে কি হয়- পদ্মা সেতু এর প্রমাণ; যা ২৫ জুন উদ্বোধন হতে যাচ্ছে। আমরা জাহাজ ‘এমভি সমৃদ্ধি’ হারিয়েছি। আমরা আরও জাহাজ সংগ্রহ করে সমৃদ্ধ হবো। সাহস ও মনোবল হারাবেন না। অফিসার ও নাবিকরা আবার কর্মক্ষেত্রে যোগদান করবেন। বাংলাদেশের অ্যাম্বাসেডর হিসেবে কাজ করবেন। প্রধানমন্ত্রীর প্রতি আস্থা ও বিশ্বাস রাখবেন। বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা বিনির্মাণে শিপিং করপোরেশন ভূমিকা রাখবে।

বিএসসির ব্যবস্থাপনা পরিচালক কমোডর এসএম মনিরুজ্জামানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও মধ্যে বক্তব্য দেন নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. মোস্তফা কামাল, জাহাজের বীমাকারী প্রতিষ্ঠান সাধারণ বীমা কর্পোরেশনের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সৈয়দ শাহরিয়ার আহসান।  

অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন নৌপরিবহন অধিদপ্তরের মহাপরিচালক কমডোর আবু জাফর মো. জালাল উদ্দিন, বীমা ব্রোকার টাইজার অ্যান্ড কোম্পানির বাংলাদেশ প্রতিনিধি এবং বিএসসির কর্মকর্তারা।  

উল্লেখ্য, বাংলার সমৃদ্ধি জাহাজ তুরস্কের ইরেগলী বন্দর হতে কার্গো ডিসচার্জ করে গত ২১ ফেব্রুয়ারি যাত্রা করে। জাহাজটি গত ২৩ ফেব্রুয়ারি কার্গো লোডিং এর নিমিত্ত অলভিয়া বন্দরের ইনার এ্যাংকরেজে প্রবেশ করে। জাহাজ অলভিয়া বন্দরের ইনার এ্যাংকরেজে অবস্থানকালীন ২৪ ফেব্রুয়ারি রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ শুরু হয়ে যায়। বন্দরের প্রবেশমুখে মাইন স্থাপন করে রাখা এবং বন্দরের কার্যক্রম বন্ধ হয়ে যাওয়াতে বন্দরের পাইলট না পাওয়ায় জাহাজ অলভিয়া বন্দরের ইনার এ্যাংকরেজ থেকে বের করে আনা সম্ভব হয়নি এবং পরবর্তীতে ২ মার্চ ইউক্রেনের স্থানীয় সময় আনুমানিক বিকাল ৫.১০ মিনিটে জাহাজে ক্ষেপনাস্ত্র আঘাত হানে। এতে জাহাজের থার্ড ইঞ্জিনিয়ার হাদিসুর রহমান মৃত্যুবরণ করেন। নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, পোল্যান্ড এবং রোমানিয়ায় অবস্থিত বাংলাদেশী দূতাবাসের সহায়তায় এবং বিএসসি'র সার্বিক প্রচেষ্টায় গত ৯ মার্চ জাহাজে অবস্থানরত ২৮ জন নাবিককে সর্বোচ্চ দ্রুততার সাথে দেশে প্রত্যাবর্তন করানো হয়। ১৪ মার্চ তারিখে মরহুম হাদিসুর রহমানের মৃতদেহ দেশে ফিরিয়ে আনা হয় এবং যথাযোগ্য মর্যাদায় তার নিজ বাড়িতে দাফন করা হয়।

বাংলাদেশ সময়: ২২১০ ঘণ্টা, জুন ১৬, ২০২২
এমআইএইচ/আরআইএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।