ঢাকা, বুধবার, ১ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১, ১৫ মে ২০২৪, ০৬ জিলকদ ১৪৪৫

জাতীয়

সিলেটে বন্যার্তদের উদ্ধারে সেনাবাহিনী

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১২৫০ ঘণ্টা, জুন ১৭, ২০২২
সিলেটে বন্যার্তদের উদ্ধারে সেনাবাহিনী

সিলেট: ভারী বর্ষণ ও পাহাড়ি ঢলে তলিয়ে গেছে নগরীসহ সিলেট জেলার বিভিন্ন উপজেলার বিস্তীর্ণ এলাকা।  অতীতের সব রেকর্ড ভেঙে দিয়েছে এবারের বন্যা।

স্থানীয়রা বলছেন, ১৯৮৮ সালের দুর্যোগ ছাড়িয়েছে এবারের বন্যা। দেখা দিয়েছে মানবিক বিপর্যয়। বন্যার পানি বেড়ে যাওয়ায় আশ্রয়হীন হয়ে পড়েছেন লোকজন। বিশেষ করে সিলেট সদর, কোম্পানীগঞ্জ, গোয়াইনঘাট, জৈন্তাপুর, কানাইঘাটসহ বেশ কিছু অঞ্চলের মানুষজনের বাড়িতে এখন গলা সমান পানি। পরিস্থিতি এত ভয়াবহ যে, এখন ত্রাণের চেয়ে প্রাণ বাঁচানো জরুরি হয়ে পড়েছে।

এর মধ্যেই শুক্রবার (১৭ জুন) সকাল থেকে সিলেটের প্রত্যন্ত বন্যাকবলিত এলাকা থেকে মানুষকে উদ্ধার করে আশ্রয়কেন্দ্রে আনতে সেনাবাহিনীর সহযোগিতা চেয়েছে জেলা প্রশাসন।

সিলেটের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) আনোয়ার সাদাত বাংলানিউজকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, বানভাসি মানুষকে উদ্ধারে সেনাবাহিনী সকাল থেকে কাজ শুরু করেছে। পানি যেভাবে বাড়ছে, তাতে দুশ্চিন্তা আরও বেড়ে গেছে। আমাদের প্রথম কাজ হচ্ছে- বানভাসি মানুষকে উদ্ধার করা। বন্যাকবলিত এলাকায় আটকে পড়া মানুষকে উদ্ধার করতে জেলা প্রশাসন সেনাবাহিনীর সহযোগিতা চেয়েছিল। এরই মধ্যে তারা উদ্ধার কাজে নেমে পড়েছেন।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, সিলেটে দ্বিতীয় দফা বন্যায় নগরীসহ ১৩টি উপজেলার সবক’টি এলাকা তলিয়ে গেছে। বাসাবাড়ি, রাস্তাঘাট তলিয়ে মানুষ এখন দিশেহারা। অপরদিকে পানিতে ডুবে আছে কোম্পানীগঞ্জ, লামাকাজী, বিশ্বনাথ, জৈন্তাপুর, জকিগঞ্জ, কানাইঘাট, ওসমানীনগরসহ সব ক’টি এলাকা।  সব নদ-নদীর পানি বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। পাউবো সূত্র জানিয়েছে- সুরমা, কুশিয়ারা, সারি, পিয়াইন নদীর পানি অস্বাভাবিকভাবে বাড়ছে।

কোম্পানীগঞ্জের বাসিন্দা জেলা আওয়ামী লীগ নেতা মজির উদ্দিন বলেন, এত পানি এর আগে দেখিনি। এটা মানবিক বিপর্যয়। মানুষকে খাবার দেওয়ার আগে উদ্ধার করা প্রয়োজন।

বাংলাদেশ সময়: ১২৫০ ঘণ্টা, জুন ১৭, ২০২২
এনইউ/এনএসআর

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।