ঢাকা, রবিবার, ২৮ বৈশাখ ১৪৩১, ১২ মে ২০২৪, ০৩ জিলকদ ১৪৪৫

জাতীয়

৩০০ মেহগনি গাছ কেটে দিল দুর্বৃত্তরা

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯১৩ ঘণ্টা, জুন ২১, ২০২২
৩০০ মেহগনি গাছ কেটে দিল দুর্বৃত্তরা

মাগুরা: মাগুরা সদরের মির্জাপুর গ্রামে রবিউল ইসলাম নামে এক কৃষি উদ্যোক্তার প্রায় ৩০০টি মেহগনি গাছ গাছ কেটে ফেলেছে দুর্বৃত্তরা।

মঙ্গলবার (২১ জুন) ভোরে উপজেলার হাজিপুর ইউনিয়নের মিজাপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, সদরের হাজরাপুর গ্রামের শরিফুল ইসলামের ছেলে রবিউল ইসলাম কৃষি বিষয়ে পড়াশোনা শেষ করেছেন। পরে তিনি তার বাবার সঙ্গে নানা রকম ফলজ গাছ লাগিয়ে কৃষিকে পেশা হিসেবে বেছে নেন। বছর খানিক আগে তার স্ত্রীর পৈত্রিক সূত্রে পাওয়া ৫৮ শতাংশ জমিতে তিনি ৩০০টি মেহগনি গাছ লাগান।

কিন্তু তিল তিল করে গড়ে তোলা বনজ বৃক্ষ বাগানের স্বপ্নকে শত্রুতা করে নিমিষেই শেষ করে দিয়েছে দুর্বৃত্তরা। রাতের আঁধারে কেটে ফেলা হয়েছে তার লাগানো সবগুলো গাছ।

রবিউল ইসলাম বাংলানিউজকে জানান, চাকরি না পেয়ে তিনি কৃষি নিয়ে কাজ শুরু করেন। স্ত্রীর পৈত্রিক সূত্রে পাওয়া ৫৮ শতাংশ জমিতে ফলজ গাছের পাশাপাশি লাগান মেহগনি গাছ। আর জমির চারপাশ দিয়ে এসব গাছ লাগালেও ভেতরের জমি বর্গা দিয়েছিলেন এক পেঁপে চাষিকে।

শ্বশুরবাড়ি এলাকা হওয়ায় গাছ লাগানোর পরে সেখানে তার খুব কমই যাতায়াত হয়েছে। আর বর্গা নেওয়া পেঁপে চাষিই তার সেই গাছগুলো দেখাশোনা করতেন। কিন্ত কেউ শত্রুতা করে রাতের আঁধারে সবগুলো গাছ মাঝ বরাবর কেটে দিয়েছে।

তিনি আরও বলেন, আমার সঙ্গে কারও কোনো শত্রুতা নেই। তবে হিংসা করে কেউ এ কাজ করতে পারেন। এতে আমার লক্ষাধিক টাকার ক্ষতি করেছে। মানসিকভাবে আমি অনেক কষ্ট পেয়েছি। এর আগে আমার লক্ষাধিক টাকার গরু চুরি হয়েছে বাড়ি থেকে। কেউ তার হদিস দিতে পারেনি। পুলিশ এখনও সেটির কোনো খোঁজ করতে পারেনি। এরপর বছর খানিক আগেও আমার মাল্টা গাছ কেটে দেয় দুর্বৃত্তরা। এভাবে চলতে থাকলে আমি আর কৃষিতে আগাতে পারবো না।

রবিউলের বাবা শরিফুল ইসলাম জানান, এলাকার কারও সঙ্গে তাদের কোনো ধরণের ঝামেলা নেই। মনে হচ্ছে হিংসা করে কেউ এমন ক্ষতি করেছে। গত বছরেও একইভাবে আলাইপুরের মাল্টা বাগানের গাছ কেটে দিয়েছিল শত্রুতা করে। এ পর্যন্ত তিন থেকে চার লাখ টাকার গরু চুরি হয়েছে। অথচ প্রশাসনের পক্ষ থেকে আমরা কোনো সহযোগিতাই পাইনি।

মাগুরা জেলা কৃষি সম্প্রসারন অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক ড. হায়াত মাহমুদ জানান, কৃষি উদ্যোক্তারা আমাদের দেশের উ্নেয়নে কাজ করছেন। সরকার সবসময় তাদের সহযোগিতা করে যাচ্ছে। কিন্তু রবিউলের মতো যদি এরকম কেউ ক্ষতিগ্রস্থ হয়, তাহলে এটি হতাশার বিষয়। এটা কখনোই আমাদের কাম্য নয়। এ ঘটনায় দোষীদের আইনের আওতায় আনার বিষয়ে জেলা প্রশাসনের সংম্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলা হয়েছে।

মাগুরা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কমকতা (ওসি) নাসির হোসেন জানান, বিষয়টি খুব গুরুত্বের সঙ্গে দেখছে পুলিশ। কে বা কারা এর সঙ্গে জড়িত তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। ভুক্তভোগীদের আইনের আশ্রয় নেওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।

বাংলাদেশ সময়: ১৯১১ ঘণ্টা, জুন ২১, ২০২২
এফআর

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।