ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ২৬ বৈশাখ ১৪৩১, ০৯ মে ২০২৪, ০০ জিলকদ ১৪৪৫

জাতীয়

নীলফামারীতে বন্যা পরিস্থিতি অপরিবর্তিত

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট   | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯৩৫ ঘণ্টা, জুন ২১, ২০২২
নীলফামারীতে বন্যা পরিস্থিতি অপরিবর্তিত

নীলফামারী: উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে তিস্তা নদীর পানি মঙ্গলবারও (২১ জুন) বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।  

এদিকে নীলফামারী জেলায় দুইটি উপজেলার প্রায় চার হাজার পরিবার এখনও পানিবন্দী রয়েছে।

 

পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) জেলার ডালিয়া শাখার বন্যা পূর্বাভাস সতর্কীকরণ কেন্দ্র জানায়, মঙ্গলবার দুপুর ১২টার দিকে বিপৎসীমার ১০ সেন্টিমিটার ও বিকেল ৩টার দিকে পানি বেড়ে ২৪ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হয় তিস্তার পানি।  

এদিকে, পানির গতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে তিস্তা ব্যারেজের ৪৪টি জলকপাট খুলে রাখা হয়েছে।

নীলফামারীর ডিমলা ও জলঢাকা উপজেলার ১১টি ইউনিয়নে প্রায় ১০ হাজার পরিবারের ৫০ হাজার মানুষজন ঘরবাড়ি ছেড়ে তিস্তার ডানতীরসহ বিভিন্ন উঁচু স্থানে আশ্রয় নিয়েছেন।  

ক্ষতিগ্রস্ত এলাকাগুলো হলো- পশ্চিম ছাতনাই, পূর্ব ছাতনাই, খগা খড়িবাড়ী, গয়াবাড়ী, টেপা খড়িবাড়ী, খালিশা চাপানী, ঝুনাগাছ চাপানী, ডাউয়াবাড়ী, গোলমুণ্ডা, শৌলমারী ও কৈমারী।  

বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলো ডানতীর বাঁধে আশ্রয় নিয়েছে।

পাউবো ডালিয়া ডিভিশনের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. আসফাউদ দৌলা বাংলানিউজকে বলেন, এ জেলায় দু’দিন ধরে ভারী বৃষ্টিপাত নেই। কিন্তু ভারতের গজলডোবা ব্যারেজের জলকপাট খুলে দেওয়ায় সেখানকার পানি ধেয়ে আসছে তিস্তায়। ফলে বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে তিস্তার পানি।

নীলফামারী ডিসি খন্দকার ইয়াসির আরেফীন বাংলানিউজকে বলেন, আমরা পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছি। বন্যাদুর্গতদের জন্য পর্যাপ্ত ত্রাণ মজুদ রয়েছে।

বাংলাদেশ সময়: ১৯৩৪ ঘণ্টা, জুন ২১, ২০২২
এসআরএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।