ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৯ বৈশাখ ১৪৩১, ০২ মে ২০২৪, ২২ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

যবিপ্রবিতে নির্বাহী প্রকৌশলীকে পেটানোর অভিযোগ

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫১৮ ঘণ্টা, জুন ২৬, ২০২২
যবিপ্রবিতে নির্বাহী প্রকৌশলীকে পেটানোর অভিযোগ

যশোর: যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (যবিপ্রবি) মাইক্রোবায়োলজি বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. ইকবাল কবীর জাহিদের বিরুদ্ধে নির্বাহী প্রকৌশলী (বিদ্যুৎ) মিজানুর রহমানকে মারধরের অভিযোগ উঠেছে।  

শনিবার (২৫ জুন) বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে এ ঘটনা ঘটে।

আহত মিজানুর রহমান যশোর জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।  

এ ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয় রেজিস্ট্রার বরাবর লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন ভুক্তভোগী। তবে অভিযোগ অস্বীকার করেছেন অধ্যাপক ড. ইকবাল কবীর জাহিদ। তার দাবি, প্রকৌশলী মিজানুর রহমান ও আজিজের মধ্যে কথা কাটাকাটি চলছিল। এ সময় তিনি তাদের থামাতে এগিয়ে যান।

শনিবার সন্ধ্যায় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন নির্বাহী প্রকৌশলী মিজানুর রহমান বলেন, আজ আইকিউএসি আয়োজিত কর্মকর্তাদের প্রশিক্ষণ কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ করি। প্রশিক্ষণ চলাকালে দুপুর ২টা ৩০ মিনিটের দিকে আজিজ নামে বিশ্ববিদ্যালয়ের বহিষ্কৃত এক ছাত্র আমাকে বলেন ড. ইকবাল কবীর জাহিদ স্যার আপনাকে ডাকছে। ড. ইকবাল কবীর জাহিদ স্যারের কথা শুনে আমি রুমের বাইরে বের হই। দরজার বাইরে এলে ড. ইকবাল কবীর জাহিদ স্যার একাডেমিক ভবনের পশ্চিম পাশে সিঁড়ির নিচে ডেকে নিয়ে যায়। এ সময় অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে আমার কানে থাপ্পড় মারেন। এরপর আজিজ আমাকে চড় থাপ্পড় মেরে লাঞ্ছিত করেন। এ সময় আমার প্রাণনাশের হুমকিও দেন।

মিজানুর রহমান আরও বলেন, রাজশাহীর একটি ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান বিশ্ববিদ্যালয়ে জেনারেটর সরবরাহ করে। ওই প্রতিষ্ঠানের ১৮ লাখ টাকার (বিল) প্রকল্পের বিপরীতে সিকিউরিট বাবদ এক লাখ ৮০ হাজার টাকা জামানত রাখা হয়। ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানের ওই সিকিউরিটির টাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বহিষ্কৃত ছাত্র আজিজকে দিতে চাপ দিচ্ছিলেন প্রফেসর ড. ইকবাল কবীর জাহিদ। একাধিক দিন তিনি আমাকে সুপারিশ করেছেন। আমি বলেছি, যথাযথ প্রক্রিয়া (কাগজপত্র) ছাড়া টাকা দিতে পারবো না। এজন্য তারা আমার ওপর ক্ষুব্ধ হন।

এ বিষয়ে মাইক্রোবায়োলজি বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. ইকবাল কবীর জাহিদ বলেন, প্রকৌশলী মিজানুর রহমানের অভিযোগ সঠিক নয়। মিজানুর ও আজিজের মধ্যকার কথা কাটাকাটি চলছিল। তাদের থামাতে এগিয়ে গিয়েছিলাম। আমি তাকে মারধর করিনি।  

তিনি আরও বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের গ্যালারির সাউন্ড সিস্টেমের দুর্নীতির বিষয়ে একটি তদন্ত রিপোর্ট দিয়েছিলাম। ওই রিপোর্টে প্রকৌশলী মিজানুর রহমান অভিযুক্ত। কিন্তু বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ এখনো তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়নি। তার বিরুদ্ধে তদন্ত রিপোর্ট দেওয়ায় আমার ওপর ক্ষুব্ধ ছিল। এজন্য আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা নাটক সাজাচ্ছে।  

বাংলাদেশ সময়: ১৫১৭ ঘণ্টা, জুন ২৬, ২০২২
ইউজি/এএটি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।