হবিগঞ্জ: হবিগঞ্জ জেলার প্রধান নদীগুলোর পানি কমতে থাকলেও হাওরের পানি না কমায় বন্যাকবলিত মানুষের সংখ্যা আরও বেড়েছে। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত এ জেলার সাতটি উপজেলায় ৫৪টি ইউনিয়ন বন্যাকবলিত হয়েছে।
পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) হবিগঞ্জ কার্যালয় জানায়, সোমবার রাত সাড়ে ১০টা পর্যন্ত খোয়াই নদীর পানি বিপৎসীমার অনেক নিচে ছিল। কালনী এবং কুশিয়ারা নদীর পানি কমলেও সেটি বিপৎসীমার ১২২ সেন্টিমিটার ওপরে ছিল।
এদিন পর্যন্ত আজমিরীগঞ্জ পৌরসভাসহ এ উপজেলার পাঁচটি ইউনিয়ন, নবীগঞ্জে ১২টি, বানিয়াচংয়ে ১৫, লাখাইয়ে ছয়, সদর উপজেলায় ছয়, মাধবপুরে পাঁচ ও বাহুবল উপজেলার চারটি ইউনিয়ন বন্যাকবলিত হয়।
দুর্গতদের জন্য সরকারের পক্ষ থেকে ১৫ লাখ টাকা, ৪১৫ মেট্রিক টন চাল ও তিন হাজার ৪০০ প্যাকেট শুকনো খাবার বরাদ্দ করা হয়েছে। চিকিৎসাসেবার জন্য কাজ করছে ৩০টি মেডিক্যাল টিম।
জেলা প্রশাসনের হিসাবে, বন্যায় কেন্দ্রে আশ্রয় নেওয়া লোকদের মধ্যে আট হাজার ১৯০ জন পুরুষ, আট হাজার ১৪ জন নারী, পাঁচ হাজার ১১ জন শিশু এবং ২০৪ জন প্রতিবন্ধী রয়েছেন। তাদের হিসাবে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের সংখ্যা ২৪ হাজার ২৩০টি এবং ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের সংখ্যা ৮৩ হাজার ৪৯০ জন।
বানের পানিতে ১৬ হাজার ৩৬৮ হেক্টর আউশ, ১৪ হাজার ৬৬০ হেক্টর বোনা আমন, এক হাজার ৯১৫ হেক্টর জমির শাকসবজি এবং ৫০ হেক্টর অন্যান্য জমির ফসল ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। তবে রক্ষা পেয়েছে ৫০০ হেক্টর জমির ধান।
বাংলাদেশ সময়: ১৬০৫ ঘণ্টা, জুন ২৬, ২০২২
এসআরএস