ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ২০ আষাঢ় ১৪৩১, ০৪ জুলাই ২০২৪, ২৬ জিলহজ ১৪৪৫

জাতীয়

পদ্মা সেতু হয়ে ঢাকামুখী যাত্রীদের ব্যাপক চাপ বরিশালে

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬৩৩ ঘণ্টা, জুন ২৬, ২০২২
পদ্মা সেতু হয়ে ঢাকামুখী যাত্রীদের ব্যাপক চাপ বরিশালে

বরিশাল : উদ্বোধনের পর রোববার (২৬ জুন) সকাল থেকে পদ্মা সেতু দিয়ে যানবাহন চলাচল শুরু হয়েছে। নিয়মিত যাত্রীদের পাশাপাশি প্রথম দিন এ রুটে অনিয়মিত যাত্রীও ছিলেন ব্যাপক।

এখনও টার্মিনালগুলো বেশ চাপ রয়েছে।

নথুল্লাবাদ কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনালের পরিবহণ শ্রমিকরা জানান, পদ্মা সেতু হয়ে ঢাকার যাওয়ার জন্য সকালে অন্যান্য দিনের চেয়ে যাত্রীদের চাপ বেশি ছিল। সকালে যেসব বাস ঢাকার উদ্দেশ্যে ছাড়া হয়, অল্প সময়ের মধ্যেই সেগুলো যাত্রী পূর্ণ হয়ে যায়। অনেক যাত্রী কাউন্টারে টিকিট চেয়েও পাননি।

বরিশাল-মাদারীপুর ও ফরিদপুর মালিক সমিতির আওতায় পরিচালিত বিএমএফ পরিবহনের কাউন্টারের দায়িত্বে থাকা উৎপল বসু নয়ন জানান, রোববার সকালে মাত্র ৪ ঘণ্টার মধ্যে তাদের আওতাধীন ৯টি বাস বরিশাল থেকে সরাসরি যাত্রী নিয়ে ঢাকার যাত্রাবাড়ীর উদ্দেশ্যে রওয়ানা দিয়েছে। তারপরও যাত্রীর চাপ রয়েছে।

একই কথা জানান রাষ্ট্রীয় সংস্থা বিআরটিসির বরিশাল বাস ডিপোর ম্যানেজার মো. জাহাঙ্গীর আলম। তিনি বলেন, সকাল থেকে দুপুর ১২টার মধ্যে তাদের আটটি বাস যাত্রী নিয়ে বরিশাল থেকে ঢাকার গুলিস্তানের উদ্দেশ্যে রওনা করে। এসব বাসের কোনো সিট ফাঁকা ছিল না।

অন্যান্য দিনের চেয়ে রোববারের হিসেব আলাদা। জাহাঙ্গীর জানান, সকালে বরিশাল থেকে ঢাকাগামী মানুষের চাপ সাধারণত বেশি থাকে। তাই দুই-একদিন না গেলে কিছু বোঝা যাবে না। তবে নিয়মিত যাত্রীর পাশাপাশি আজ বাসে এমন যাত্রীও উঠেছেন যারা শুধু পদ্মা সেতু দেখার জন্য ঢাকা যাচ্ছেন।

দুপুরের দিকে কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনাল সংলগ্ন বিআরটিসি বাস কাউন্টারের সামনে গিয়ে দেখা গেছে, যাত্রীরা টিকিট কেটে দাঁড়িয়ে আছেন। কিন্তু ঢাকাগামী কোনো বাস নেই ডিপোয়। বাসগুলো পথে রয়েছে বলে জানান স্টাফরা। জানা গেছে, ফিরতি বাস এলে ডিপোয় ঢোকা মাত্রই ঢাকা যাওয়ার জন্য যাত্রা প্রস্তুত করা হবে। যাত্রীরাও নির্ধারিত সময়ে গন্তব্যের উদ্দেশ্যে রওয়ানা দিতে পারবেন।

একই কর্মসূচি নিয়েছে প্রাইভেট কোম্পানিগুলোও। বেশ কয়েকটি কাউন্টারে দেখা গেছে, ঢাকা থেকে বাস যাওয়া মাত্রই আবারও ঢাকার উদ্দেশ্যে যাত্রী তোলা হচ্ছে।

সোনিয়া নামে ঢাকাগামী এক যাত্রী বলেন, সাধারণত সবসময় লঞ্চে ঢাকায় যাতায়াত করি। তবে পদ্মাসেতু হয়ে রামপুরা পর্যন্ত এক বাসেই যেতে পারবো। তাই মেয়েকে নিয়ে রওয়ানা হয়েছি। টিকিট পেতে বেশ ভোগান্তি পোহাতে হয়েছে বলেও তিনি জানান।

ইলিশ, সাকুরা, গ্রিনলাইন, প্রচেষ্টা, হানিফ, ঈগলসহ অন্যান্য বাস কাউন্টার ম্যানেজারদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, তাদের সকালের এসি-নন এসি বাসের টিকিটগুলো বিক্রি হয়ে গেছে। অনেকে আগেই টিকিট কিনে নিয়েছিলেন। যারা তাৎক্ষণিক কাউন্টারে এসে টিকিট চাচ্ছেন, তাদের দেওয়া সম্ভব হচ্ছে না। দুপুরের পর থেকে কিছু গাড়ির টিকিট রয়েছে বলেও জানিয়েছেন তারা।

এদিকে ঢাকা থেকেও পদ্মা সেতু হয়ে বরিশালে আসা গাড়িগুলোয় যাত্রীদের চাপ রয়েছে বলে জানিয়েছেন সাকুরা পরিবহনের সুপারভাইজার সোহেল। সকালে পদ্মা সেতুর টোল প্লাজা ও সেতুতে দীর্ঘ যানবাহনের সারি দেখেছেন বলে জানিয়েছেন বাস চালক উজ্জ্বল ও মোখলেসুর রহমান।

বাংলাদেশ সময়: ১৬৩৫ ঘণ্টা, জুন ২৬, ২০২২
এমএস/এমজে

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।