পঞ্চগড়: দেশের একমাত্র চতুর্দেশীয় স্থলবন্দর (বাংলাদেশ, ভারত, নেপাল ও ভুটান) পঞ্চগড়ের বাংলাবান্ধা ও ভারতের ফুলবাড়ি ইমিগ্রেশন রুটে ভারতীয় ভিসা চালুর দাবিতে সংবাদ সম্মেলন করেছেন ব্যবসায়ীরা।
রোববার (২৬ জুন) দুপুরে পঞ্চগড় চেম্বার অব কমার্স ভবনে এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে বাংলাবান্ধা স্থলবন্দর আমদানি-রপ্তানিকারক গ্রুপ।
এসময় মিলন বলেন, ২০১৬ সালে বাংলাবান্ধা স্থলবন্দরে ইমিগ্রেশন চেকপোস্ট চালু হয়। ভারতীয় দূতাবাস ফুলবাড়ি রুটে ভিসা দেওয়া শুরু করলে ভারতের সঙ্গে ব্যবসার পাশাপাশি যাতায়াতও শুরু হয়। কিন্তু ২০২০ সালে কোভিট ১৯ সংক্রমণ ঠেকাতে ভারতে বিদেশি নাগরিকদের যাতায়াত বন্ধ করে দেওয়া হয়। করোনা সংক্রমণ কমে গেলে ২০২১ সালের শুরুর দিকে পর্যায়ক্রমে বিভিন্ন রুটে ভিসা দেওয়া শুরু করে ভারতীয় সরকার। গত মার্চ মাস থেকে সবধরনের ভিসা দেওয়া শুরু করে তারা। কিন্তু ভিসায় রুট নিয়ে সমস্যায় পড়েছেন দেশের একমাত্র চতৃর্দেশীয় স্থলবন্দর বাংলাবান্ধা স্থলবন্দর সংশ্লিষ্ট ভারত, নেপাল এবং ভুটানের যাত্রীরা।
বক্তারা বলেন, এই স্থলবন্দরের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ভারতের ফুলবাড়ি স্থলবন্দর রুটে ভারতীয় ভিসা দেওয়া হচ্ছে না। তাই দেশের অন্যান্য স্থলবন্দর দিয়ে ভারতে প্রবেশ করা গেলেও বাংলাবান্ধা দিয়ে যেতে পারছে না বাংলাদেশিরা।
এই ইমিগ্রেশন দিয়েই বাংলাদেশি শিক্ষার্থী, রোগী, ব্যবসায়ীসহ পর্যটকরা ভারত, নেপাল এবং ভুটানে যাতায়াত করেন। এই রুটে ভিসা না দেওয়ায় সমস্যায় পড়েছে স্থানীয়সহ দেশের হাজারো মানুষ। করোনার আগে এই রুটে প্রতিদিন কয়েক হাজার মানুষ ভারত, নেপাল, ভুটান এবং ভারতের দার্জিলিং, সিকিমসহ বিভিন্ন পর্যটন এলাকায় যাতায়াত করতো। অনেকে চিকিৎসা এবং ব্যবসার নানা কাজে ভারতে ভ্রমণ করতো। কিন্তু ভিসা না দেওয়ার কারণে নানা সমস্যায় পড়েছেন বাংলাদেশিরা। বিশেষ করে ব্যবসায়ীরা সংকটে পড়েছেন। তারা অতিদ্রুত ফুলবাড়ি বন্দর দিয়ে ভিসা দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন। এ ব্যাপারে প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করেন তারা।
সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য দেন-পঞ্চগড় চেম্বার অব কমার্সের সভাপতি শরিফ হোসেন, সাবেক সভাপতি আব্দুল হান্নান শেখ, জেলা শিল্পকলা একাডেমির সাধারণ সম্পাদক আবু তোয়বুর রহমান প্রমুখ। এসময় পঞ্চগড় জেলায় কর্মরত বিভিন্ন প্রিন্ট, ইলেক্ট্রনিক ও টেলিভিশন মিডিয়ার সংবাদকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৬৩৮ ঘণ্টা, জুন ২৬, ২০২২
আরএ