ঢাকা, শুক্রবার, ২০ বৈশাখ ১৪৩১, ০৩ মে ২০২৪, ২৩ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

ফের আসতে পারে মহামারি, স্বাস্থ্য ব্যবস্থার পরিবর্তন দরকার

রেজাউল করিম রাজা, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০৪৬ ঘণ্টা, জুন ২৭, ২০২২
ফের আসতে পারে মহামারি, স্বাস্থ্য ব্যবস্থার পরিবর্তন দরকার বাংলাদেশ ইন্সটিটিউট অব হেলথ সায়েন্সের সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক ডা. লিয়াকত আলী

ঢাকা : করোনাভাইরাস (কোভিড-১৯) মহামারির মতো এমন দুর্যোগ আরও আসতে পারে বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন বাংলাদেশ ইন্সটিটিউট অব হেলথ সায়েন্সের সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক ডা. লিয়াকত আলী। এ জন্য দেশের স্বাস্থ্য ব্যবস্থার আমূল পরিবর্তন করা দরকার বলেও জানান তিনি।

সোমবার (২৭ জুন) বিকেলে বাংলানিউজকে দেওয়া একান্ত সাক্ষাৎকারে এসব কথা বলেন এ চিকিৎসাবিজ্ঞানী ও শিক্ষাবিদ।

দেশে করোনাভাইরাস সংক্রমণের ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা বর্তমান জানিয়ে অধ্যাপক ডা. লিয়াকত আলী বলেন, আমরা করোনাভাইরাসের আরেকটি ঢেউয়ের দ্বারপ্রান্তে আছি। এবারের ঢেউয়ে সংক্রমণ বেশি হলেও এখনও সহনীয় পর্যায়ে রয়েছে। আমাদের অনেকের মধ্যেই ভ্যাকসিনের প্রভাব ও প্রাকৃতিকভাবে সংক্রমণের বিরুদ্ধে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা রয়েছে। কিছু ব্যক্তির শরীরে এ ক্ষমতা শেষ হয়েছে।

এছাড়া দীর্ঘমেয়াদী শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতার বিষয়ে বৈজ্ঞানিক কিছু ব্যাখ্যা পাওয়া যাচ্ছে। এটা খুব স্পষ্ট; আরেকটি ঢেউ আসছে। সুতরাং যাদের বিভিন্ন ধরনের রোগ রয়েছে তাদের সাবধান হওয়া উচিৎ। বিশেষ করে বয়স্ক ব্যক্তিদের এ ব্যাপারে বেশি সচেতন হতে হবে।

যাদের শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কম বা যারা বিভিন্ন দীর্ঘমেয়াদি রোগে আক্রান্ত এবং বয়স্ক ব্যক্তিদের যথাযথ স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে পরামর্শ দেন তিনি। একই সঙ্গে করোনাভাইরাস প্রতিরোধী টিকা নিতে জোর দেন তিনি। বলেন, যতটা সম্ভব অধিক জনগোষ্ঠীকে ভ্যাকসিনের আওতায় নিয়ে আসা দরকার।

দেশের স্বাস্থ্য ব্যবস্থাকে ঢেলে সাজানো অতি প্রয়োজন উল্লেখ করে এ চিকিৎসাবিজ্ঞানী বলেন, প্রাথমিক স্বাস্থ্য ব্যবস্থাকে গুরুত্ব দিয়ে এর আমূল পরিবর্তন করা দরকার। আশা করা হয়েছিল করোনা পরবর্তী সময় স্বাস্থ্য ব্যবস্থার একটা পরিবর্তন হবে। সেটা ঠিক তেমনিভাবে দেখা যাচ্ছে না। আমাদের মনে রাখা দরকার কোভিড-১৯ ছাড়াও এমন অঘটন আবার ঘটতে পারে।

শিক্ষাবিদ লিয়াকত আরও বলেন, করোনার আরেকটি ঢেউ ফিরে আসার মধ্যে দিয়ে এটা ইঙ্গিত করেছে- যতক্ষণ পর্যন্ত নতুন কোনো ভ্যারিয়েন্ট না আসে, যা মানুষের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাকে ফাঁকি দিতে পারে; ততক্ষণ পর্যন্ত তুলনামূলকভাবে মারাত্মক কোনো বড় সমস্যা হয়তো হবে না। কিন্তু, কোনো অনাকাঙ্ক্ষিত মৃত্যু আমরা আশা করি না; বিশেষ করে বয়স্ক ব্যক্তি বা যাদের বিভিন্ন দীর্ঘমেয়াদী রোগ রয়েছে। সুতরাং আমাদের করোনাকে কোনোভাবেই অবহেলা করা উচিত নয়।

করোনা প্রতিরোধে জন সম্পৃক্ততার ঘাটতি রয়েছে উল্লেখ করে বাংলাদেশ ইন্সটিটিউট অব হেলথ সায়েন্সের সাবেক উপাচার্য বলেন, জনগণকে সম্পৃক্ত করে স্বাস্থ্য ক্ষেত্রে উদ্বুদ্ধ করার যে প্রক্রিয়াগুলো চলমান রাখা প্রয়োজন ছিল, সেগুলো এখন নেই। এ প্রক্রিয়া চলমান থাকলে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার গুরুত্ব জনগণ অনুধাবন করতো, অংশগ্রহণ করতো এবং কিছু নির্দেশনা মেনে চলত।

বাংলাদেশ সময়: ২০৪৫ ঘণ্টা, জুন ২৭, ২০২২
আরকেআর/এমজে

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।