ঢাকা, শুক্রবার, ১৪ চৈত্র ১৪৩০, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৮ রমজান ১৪৪৫

জাতীয়

আ’লীগ নেতা হত্যা মামলার আসামি ছাত্রলীগের সভাপতি-সম্পাদক!

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট  | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮২৫ ঘণ্টা, জুন ২৯, ২০২২
আ’লীগ নেতা হত্যা মামলার আসামি ছাত্রলীগের সভাপতি-সম্পাদক!

ময়মনসিংহ: ময়মনসিংহে দীর্ঘ পাঁচ বছর পর নান্দাইল উপজেলা ছাত্রলীগের ৩৫ সদস্য বিশিষ্ট আংশিক পূর্ণাঙ্গ নতুন কমিটি গঠন করেছে জেলা ছাত্রলীগ। কমিটিতে তৌফিকুল ইসলাম মামুনকে সভাপতি এবং শাহ মাহমুদুল হক সৌরভ ওরফে সৌরভ ফকিরকে সাধারণ সম্পাদক করা হয়।

 

মঙ্গলবার (২৮ জুন) রাতে ময়মনসিংহ জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি মো. আল আমিন ও সাধারণ সম্পাদক হুমায়ন কবীর যৌথ স্বাক্ষরে এ কমিটির অনুমোদন দেন।

অভিযোগ উঠেছে, নবগঠিত কমিটির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক দু’জনেই পৌর আওয়ামী লীগের সদস্য প্রয়াত আবুল মনসুর ভূইয়া হত্যা মামলার আসামি।

এর মধ্যে, সভাপতি তৌফিকুল ইসলাম মামুন এজাহারে ৩৪ নম্বর এবং সাধারণ সম্পাদক শাহ মাহমুদুল হক সৌরভ ওরফে সৌরভ ফকির ওই মামলার ২৬ নম্বর আসামি। এনিয়ে স্থানীয়দের মধ্যে মিশ্র প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়েছে।    

মামলার বাদি মো. সিরাজুল ইসলাম ভূঁইয়া এ তথ্য নিশ্চিত করেন। তিনি নান্দাইল উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক এবং উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান।  

তিনি আক্ষেপ করে বলেন, নিহত আওয়ামী লীগ নেতা আবুল মনসুর ভূঁইয়া আমার বড় ভাই। এই হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় আসামিরা প্রত্যক্ষ জড়িত থাকায় মামলায় তাদের আসামি করা হয়েছে। বর্তমানে মামলাটি হাইকোর্টে চলমান আছে। এখন শুনেছি তাদের সভাপতি-সম্পাদক করে উপজেলা ছাত্রলীগের নতুন কমিটি গঠিত হয়েছে। এটা আওয়ামী লীগের জন্য অভিশাপ বলে মনে করি।    

অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে নান্দাইল উপজেলা ছাত্রলীগের নতুন কমিটির সাধারণ সম্পাদক শাহ মাহমুদুল হক সৌরভ ওরফে সৌরভ ফকির খবরের সত্যতা স্বীকার করেন। তবে এই ছাত্রনেতা দাবি করেন, আমি এবং সভাপতি মামলার আসামি হলেও আমরা প্রকৃত আসামি না। চার্জশিট থেকে আমাদের নাম বাদ দেওয়া হয়েছে।

সভাপতি তৌফিকুল ইসলাম মামুন দাবি করেন, ওই মামলায় আমরা রাজনৈতিক প্রতিহিংসার শিকার হয়েছি। চার্জশিটে তা প্রমাণ হয়েছে।  

জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক হুমায়ন কবীর বলেন, বিষয়টি আমার জানা ছিল না। কোন ব্যক্তির দায় সংগঠন নিবে না। তারা আদালতে অপরাধী হলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তবে স্থানীয় সংসদ সদস্যের সঙ্গে কথা বলে যোগ্য বিবেচনা করেই তাদের দিয়ে কমিটি করা হয়েছে।  

অভিন্ন বক্তব্য জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি মো. আল আমিনের। তিনি বলেন, মামলার বিষয়টি আমারও জানা ছিল না।  

এ বিষয়ে জানতে চাইলে নান্দাইল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মিজানুর রহমান আকন্দ বলেন, ওই হত্যা মামলার সময় আমি এখানে ছিলাম না। বিষয়টি জেনে এবং দেখে বলতে হবে।  

প্রসঙ্গত, ২০১৪ সালের ২০ নভেম্বর নান্দাইল উপজেলা সাব-রেজিস্ট্রিট অফিসের সামনে স্থানীয় আওয়ামী লীগের কর্মী সম্মেলনে নৃশংসভাবে খুন হন পৌর আওয়ামী লীগের সদস্য আবুল মনসুর ভূঁইয়া।

বাংলাদেশ সময়: ১৮০৮ ঘণ্টা, জুন ২৯, ২০২২
এনটি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।