ঢাকা, বুধবার, ১২ আষাঢ় ১৪৩১, ২৬ জুন ২০২৪, ১৮ জিলহজ ১৪৪৫

জাতীয়

বই পড়ে হোক বাসের জন্য অপেক্ষা

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫১৭ ঘণ্টা, জুন ৩০, ২০২২
বই পড়ে হোক বাসের জন্য অপেক্ষা

টাঙ্গাইল: টাঙ্গাইল থেকে ঢাকায় যেতে কাউন্টারে বাসের জন্য অপেক্ষা করছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী সুমাইয়া শিকদার। কিন্তু বাস ছাড়তে তখনও এক ঘণ্টা দেরি।

অপেক্ষমান এ সময়টা শুধু শুধু নষ্ট না করে যদি বই পড়ে কাটানো যায়, তাহলে কেমন হয়?

এমন চিন্তা থেকেই অপেক্ষমান যাত্রীদের জন্য উদ্যোগ নিয়েছে বাতিঘর আদর্শ পাঠাগার। শহরের নতুন বাসস্ট্যান্ডে ঢাকাগামী কয়েকটি কাউন্টারে তারা গড়ে তুলেছে অণু-পাঠাগার। সেখান থেকে বই পড়ার মাধ্যমে যাত্রীরা কাটাতে পারবেন তাদের মূল্যবান সময়। এ উদ্যোগে খুশি হয়েছেন কাউন্টার কর্তৃপক্ষ- যাত্রী সবাই।

সরেজমিনে নতুন বাস স্ট্যান্ডের সকাল সন্ধ্যা কাউন্টারে গিয়ে দেখা যায়, দেয়ালে সাটানো ছোট বুক সেলফে বিভিন্ন ধরণের ২০ থেকে ২৫টি বই সাজানো আছে। এগুলো থেকে অপেক্ষমান যাত্রীরা তাদের পছন্দমত বই নিয়ে পড়ে সময় কাটাচ্ছেন। যাত্রার সময় হয়ে গেলে বই রেখে দিয়ে যাচ্ছেন।

অপেক্ষমাণ যাত্রী সুমাইয়া শিকদার বাংলানিউজকে বলেন, অপেক্ষার এ সময়টা খুবই বিরক্তিকর। বই পড়ার সুযোগ পেয়ে খুবই ভালো লাগছে। এভাবে মানুষের মধ্যে বই পড়ার অভ্যাস তৈরি হবে এবং সুন্দরভাবে সময় কাটবে। এটি একটি চমৎকার উদ্যোগ।

আরেক যাত্রী খন্দকার মিজানুর রহমান বলেন, চাকরির সুবাদে টাঙ্গাইল থেকে ঢাকায় প্রায়ই যাতায়াত করতে হয়। অনেক সময় বাসের জন্য অপেক্ষ করি। এই সময়টাতে বই পড়ার সুযোগ করে দেওয়ার বিষয়টি একটা চমৎকার উদ্যোগ। জ্ঞানভিত্তিক সমাজ বিনির্মাণে বই পড়ার বিকল্প নেই।

অপেক্ষমাণ যাত্রী মারুফ জানান, অনেকক্ষণ বসে থাকলেও এখন আর বিরক্ত লাগে না। এ সময়টাতে বসে থেকে বই পড়তে পারি।

কাউন্টারের ম্যানেজার নিলিম জানান, যাত্রীরা বই দেখে অবাক হয়ে যান। যাত্রীরা অযথা খোশগল্প না করে এখন বই পড়েন। আমারও উপকৃত হচ্ছি। সুযোগ পেলে  আমি নিজেও বই পড়ি।

সরকারি এম এম আলী কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ শামছুল হুদা বলেন, বাতিঘর আদর্শ পাঠাগারের এ উদ্যোগটি অসাধারণ। এ কার্যক্রমের মাধ্যমে সমাজের বিভিন্ন স্তরের মানুষ বই পড়ার প্রতি উৎসাহিত হবে।

বাতিঘরের প্রতিষ্ঠাতা মো. কামরুজ্জামান জানান, যাতায়াতের পথে বাসের জন্য অনেক সময় অপেক্ষা করতে হয়। এ সময় মানুষ গল্পগুজব করে অলস সময় পার করেন দেন। তখনই বাসস্ট্যান্ডে বই রাখার ভাবনা মাথায় আসে।

তিনি আরও বলেন, এই কার্যক্রমটি আরও সম্প্রসারিত করার পরিকল্পনা আছে। ইতোমধ্যে জেলার বেশ কয়েকটি বাজারের সেলুনে অণু-পাঠাগার চালু করা হয়েছে।

বাংলাদেশ সময়: ১৫১৭ ঘণ্টা, জুন ৩০, ২০২২
এফআর

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।