ঢাকা, শনিবার, ৭ বৈশাখ ১৪৩১, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ১০ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

‘পদ্মা সেতুতে হাঁটা বন্ধে কঠোর হওয়ার নির্দেশ’

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫৫১ ঘণ্টা, জুলাই ৩, ২০২২
‘পদ্মা সেতুতে হাঁটা বন্ধে কঠোর হওয়ার নির্দেশ’

ঢাকা: পদ্মা সেতুতে হাঁটার কোনো সুযোগ রাখা হয়নি জানিয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম বলেছেন, এ বিষয়ে আরও কঠোর হওয়ার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে রোববার (০৩ জুলাই) ভার্চ্যুয়াল মন্ত্রিসভা বৈঠক শেষে এক প্রশ্নে তিনি একথা বলেন।

মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, আমাদের একটা জিনিষ বুঝতে হবে, এটা টু টায়ার ডাবল ডেক ব্রিজ। ব্রিজের উপরে মানুষের হাঁটার কোনো স্কোপ নেই। কোনো ফুটপাত রাখা হয়নি। এখানে চলাফেরার কোনো সিস্টেমও নেই। নিচের রেল ব্রিজে একটা ট্র্যাক রাখা হয়েছে। উপরে একটা সার্ভিস লেন আছে, দুই সাইডে। মেইন্টেন্সের কাজ যারা করবেন তারা তাদের গাড়ি সাইডে রেখে ওই সার্ভিস লেনে চলাফেরা করতে হবে। পরশুদিন রাতেও তিন-চারজনকে তারা (আইনশৃঙ্খলা বাহিনী) ধরে নিয়ে গেছেন, গাড়ির ফাইন দিতে পারেনি। এগুলো আরও কঠোরভাবে দেখা হবে।

উদ্বোধনের পরপরই রেলিংয়ের নাট-বল্টু খুলে ভাইরাল হওয়া নিয়ে এক প্রশ্নে মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, স্ক্র খোলার কথাটা আসছে, ইন্টারন্যাশনাল স্ট্যার্ডাডে আমাদের যে ওয়ালটুকু আছে অতটুকু দিয়েই গাড়ি চলে। কিন্তু আমাদের রোডস অ্যান্ড হাইওয়ের স্ট্যার্ডাড চার ফুট। সেজন্য আরও এক ফুট উঁচু করে রেলিং দেওয়া হয়েছে। এটা মানুষের সেফটির জন্য নয়, এটা আমাদের স্ট্যার্ডাডটাকে কাভার করার জন্য।

সেতু বিভাগের সাবেক সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, দুই-তিন মাস আগে আমি এবং পদ্মার কয়েকজন কনসালটেন্ট ও পিডিসহ পৃথিবীর লেটেস্ট সবচেয়ে বড় ব্রিজ যেটা কুয়েতে উদ্বোধন করা হয়েছে সেটা দেখে এলাম। সাগরের মধ্যে ৩৬ কিলোমিটার ব্রিজ। আমাদের যেটুকু ওয়াল ওদের অতটুকু গ্রিল দিয়ে প্রটেকশন দিয়েছে। আমাদের তো ওয়ালের মধ্যে গাড়ি ধাক্কা খেলে ফেরত আসবে। কিন্তু ওরা গ্রিল দিয়ে প্রটেকশন দিয়েছে। ওদের প্রটেকশনটা আমাদের ওয়াল যতটুকু ততটুকুই।

তিনি বলেন, পদ্মা সেতুর উদ্বোধনের দিন বিকেলে কোরিয়ান এক্সপ্রেস করপোরেশন টেকওভার করেছে, পরের দিন থেকে তারা টোল ম্যানেজমেন্ট এবং মেইনটেন্যান্স দেখবে। কুরিয়ান এক্সপ্রেস করপোরেশন হলো ওয়ার্ল্ডের বেস্ট কোম্পানি যারা হাইওয়ে এবং ব্রিজ ম্যানেজমেন্ট করে। ওরা ১৭ কিলোমিটার দীর্ঘ ইনচেন ব্রিজের ডিজাইনার এবং টোল ম্যানেজমেন্ট করে। ওদের ওই ব্রিজে লোকজন হাঁটতে পারে না। এখন তারা অডিট করবে। প্রত্যেকটা জয়েন্ট আছে, নাট আছে। অডিট করে নিজেরা ঠিক করতে পারে, টাইট করে দিবেন। নয়তো এমবিসিকে কল করবেন। সুতরাং বিভিন্ন জায়গায় যে কনফিউশন আছে, এটার সঙ্গে সেফটি-সিকিউরিটির কোনো সম্পর্ক নেই।

বাংলাদেশ সময়: ১৫৫১ ঘণ্টা, জুলাই ০৩, ২০২২
এমআইএইচ/কেএআর

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।