ঢাকা, শুক্রবার, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

‘গায়েবী পত্রিকা’ বন্ধের প্রক্রিয়া অব্যাহত আছে: তথ্যমন্ত্রী

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট  | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬২৫ ঘণ্টা, জুলাই ৩, ২০২২
‘গায়েবী পত্রিকা’ বন্ধের প্রক্রিয়া অব্যাহত আছে: তথ্যমন্ত্রী ফাইল ছবি

ঢাকা: দেশের অসংখ্য ভূঁইফোর তথা গায়েবী পত্রিকা বন্ধের প্রক্রিয়া অব্যাহত আছে বলে জানিয়েছেন তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ। তিনি বলেছেন, একই সঙ্গে সাংবাদিকদের ডাটাবেইজ তৈরি হচ্ছে।

এর ফলে ভূঁইফোরদের সাংবাদিক পরিচয় দেওয়া কঠিন হয়ে যাবে।  

রোববার (০৩ জুলাই) মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে সম্পাদক ফোরামের সঙ্গে মতবিনিময়কালে তিনি এ কথা বলেন।  

এসময় অন্যদের মধ্যে সংগঠনের প্রধান উপদেষ্টা ইকবাল সোবহান চৌধুরী, আহ্বায়ক রফিকুল ইসলাম রতন, সদস্য সচিব ফারুক আহমেদ তালুকদার, বাংলাদেশের খবরের সম্পাদক আজিজুল ইসলাম ভূঁইয়া, সংবাদ প্রতিদিনের সম্পাদক রিমন মাহফুজ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

ময়মনসিংহে ৯৭টি পত্রিকা প্রকাশের বিষয়ে তিনি বলেন, গায়িবী পত্রিকা যেগুলো হঠাৎ হঠাৎ বের হয় সেগুলো বন্ধের উদ্যোগ নিয়েছি। অনেকগুলোর ডিক্লারেশন বাতিল করা হয়ে, এ প্রক্রিয়া অব্যাহত থাকবে।

ভূঁইফোর সাংবাদিকের বিষয়টি নিয়ে কাজ চলছে জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, সেটি নিয়ে প্রেস কাউন্সিল কাজ করছে। সাংবাদিকদের একটি ডাটাবেইজ তৈরি করা হচ্ছে। কারা সাংবাদিক তাদের ডাটাবেইজ করা হচ্ছে। সাংবাদিকদের ডাটাবেইজ তৈরি হলে কে তালিকায় আছেন আর কে তালিকায় নাই সেটি বের হবে।  

এখন অনলাইন কোনটি নিবন্ধিত, কোনটি অনিবন্ধিত সেটি প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। ডাটাবেইজ হলে ভূঁইফোরদের সাংবাদিক পরিচয় দেওয়া কঠিন হয়ে যাবে। আমার আন্তরিকতার কোনো অভাব নেই। অনেক সমস্যা সমাধান হয়েছে বাকি সমম্যাও সমাধান হবে আশা করি।

তথ্যমন্ত্রী বলেন, আগে প্রকল্পের মূল্যমান কম ছিলো, তখন বিজ্ঞাপনে বেশি ব্যয় করা সম্ভব ছিলো না। এখন প্রকল্পের মূল্যমান বেশি তাই বিজ্ঞাপনের ব্যয় বাড়ানোর সক্ষমতা আছে। আমি ব্যক্তিগত ভাবে সেটি মনে করি। পদ্মা সেতু নিয়ে অনলাইন, প্রিন্ট এবং ইলেক্ট্রনিক মিডিয়া অত্যন্ত পজিটিভ নিউজ করেছেন। সারাদেশের মানুষের উচ্ছাস টেলিভিশনের কিংবা অনলাইনের স্ক্রিনে নিয়ে এসেছেন বলে আপনাদের ধন্যবাদ।  

হাছান মাহমুদ বলেন, আমরা অন্তত ২শ' পত্রিকায় পদ্মা সেতু উদ্বোধনের দিন বিজ্ঞাপন দিতে বলেছিলাম। কিন্তু দেওয়া হয়েছে মাত্র ৩০টি পত্রিকায়। এরমধ্যে ঢাকায় ১৫টি ও ঢাকার বাইরে ১৫টি পত্রিকায় বিজ্ঞাপন দেওয়া হয়েছে। সেজন্য বেশিরভাগ পত্রিকা বিজ্ঞাপন পায়নি। পদ্মা সেতু উদ্বোধনের দিনটি স্বাধীনতা দিবস কিংবা বিজয় দিবসের তুলনায় কম গুরুত্বপূর্ণ ছিলো না।

বাংলাদেশ সময়: ১৬২২ ঘণ্টা, জুলাই ০৩,২০২২
জিসিজি/এসএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।