ঢাকা, শুক্রবার, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৮ রমজান ১৪৪৫

জাতীয়

দুদকের অভিযানে বিক্রিত টিকিট উদ্ধার, নৌবন্দরের ৩ কর্মচারী সাসপেন্ড

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২১৫১ ঘণ্টা, জুলাই ৩, ২০২২
দুদকের অভিযানে বিক্রিত টিকিট উদ্ধার, নৌবন্দরের ৩ কর্মচারী সাসপেন্ড ফাইল ছবি

বরিশাল: বিক্রি করে দেওয়া টিকিট সংরক্ষণের ঘটনা দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) অভিযানে ধরা পড়ার পর বরিশাল নদীবন্দরের তিন কর্মচারীকে সাসপেন্ড করেছে বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ-পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআইডব্লিউটিএ)।

রোববার (০৩ জুলাই) দুপুরে বিআইডব্লিউটিএ’র বন্দর ও পরিবহন বিভাগের পরিচালক কাজী ওয়াকিল নওয়াজ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

তিনি বলেন,সাসপেন্ড হওয়া তিনজনকে ঢাকায় সংযুক্ত করা হয়েছে। পাশাপাশি বাকি সব টিসি (টোল কালেক্টর/শুল্ক আদায়কারী), টিজিদের (টোল গার্ড/শুল্ক প্রহরী) পর্যায়ক্রমে বরিশাল নদী বন্দর থেকে সরিয়ে অন্যত্র দেওয়া হবে।

এর আগে এ ঘটনায় বরিশাল নদীবন্দর কর্মকর্তা মোহাম্মদ মোস্তাফিজুর রহমানকে ঢাকায় বদলি করা হয়েছে।  আর সাসপেন্ড হওয়া তিন কর্মচারী হলেন- শুল্ক আদায়কারী মো.
ফারুক সর্দার, মাসুদ হোসেন খান ও মো. মনির হোসেন।

উল্লেখ্য,  গত ২৮ জুন বরিশাল নদীবন্দরে অভিযান চালায় দুদকের বরিশালের একটি টিম। ওই অভিযানে বরিশাল নদী বন্দরের ২ নম্বর কাউন্টারে বিক্রি করা ৮৬৩টি টিকিট ড্রয়ার ও ঝুলিয়ে রাখা ব্যাগ থেকে জব্দ করা হয়। অভিযোগ রয়েছে, ওইসব টিকিট আবারও যাত্রীদের কাছে বিক্রি করার জন্য রাখা হয়েছে। অপরদিকে এক নম্বর কাউন্টার থেকে বিক্রি হওয়া টিকিটের তুলনায় বেশি টাকা পেয়েছে। একই টিকিট একাধিকবার বিক্রি করায় বাড়তি টাকা আদায় করা হয়েছে বলে ধারনা করা হয়।  

এ বিষয়ে সদ্য বদলি হওয়া বরিশাল নদীবন্দর কর্মকর্তা মোহাম্মদ মুস্তাফিজুর রহমান জানান,দুদকের টিম নদী বন্দরের টার্মিনাল এলাকায় অভিযান চালিয়ে কিছু বিক্রি করা টিকিট জব্দ করেছে। আর তাই এ ঘটনায় দায়ি তিন কর্মচারীকে বরখাস্তও করা হয়েছে।

আর বরিশাল নদীবন্দরের অন্য কর্মকর্তারা বলছেন, টার্মিনালে আগত যাত্রীদের কাছে বিক্রিত টিকিট পুনরায় বিক্রি বরিশাল নদী বন্দরে দীর্ঘদিন ধরে হয়ে আসছে। সম্প্রতি টিকিট নিয়ে বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীসহ যাত্রীদের সাথে বেশ কয়েকটি সাংঘর্ষিক ঘটনা ঘটে। এছাড়া নদীবন্দর কর্মকর্তার কাছে প্রায় নালিশও আসে কিন্তু কার্যকর কোনো পদক্ষেপ না নেওয়ায় এ ধরনের অপকর্ম রোধ করা যায়নি। বরিশাল নদী বন্দর কর্মকর্তার আস্থাভাজন কর্মচারী মাইনুলের সহযোগিতায় এ অপকর্ম যেমন বৃদ্ধি পাচ্ছে, তেমনি বন্দর এলাকাসহ আশপাশের দোকান বসিয়ে চাঁদা তোলা হচ্ছে।

তবে এবার দুদকের অভিযানের পর বরিশাল নদীবন্দর কর্মকর্তার বদলি এবং তিনি শুল্ক আদায়কারীর বদলির পর টনক নড়েছে সবার। এরইমধ্যে ওই বন্দরের আরও ১৫ কর্মচারীর বদলির বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন রয়েছে বলে জানান বিআইডব্লিউটিএর কর্মকর্তারা।

উল্লেখ্য, বরিশাল নদী বন্দরে প্রবেশ করতে পূর্বের ৫ টাকা থেকে বাড়িয়ে যাত্রীপ্রতি ১০ টাকা হারে শুল্ক নেওয়া হলেও সেবার মানোন্নয়ন না ঘটায় যাত্রীদের মাঝে অসন্তোষ বিরাজ করছে।

বাংলাদেশ সময়: ২১৪৯ ঘন্টা, জুলাই ০৩, ২০২২
ইআর

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।