ঢাকা, শুক্রবার, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৮ রমজান ১৪৪৫

জাতীয়

খালেদাকে নিয়ে পূর্ণিমা রাতে জাফরুল্লাহর পদ্মা সেতু দেখার ইচ্ছা কেন: তথ্যমন্ত্রী 

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫২৫ ঘণ্টা, জুলাই ৪, ২০২২
খালেদাকে নিয়ে পূর্ণিমা রাতে জাফরুল্লাহর পদ্মা সেতু দেখার ইচ্ছা কেন: তথ্যমন্ত্রী  তথ্যমন্ত্রী হাছান মাহমুদ

ঢাকা: বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়াকে নিয়ে পূর্ণিমা রাতে পদ্মা সেতু দেখতে যাওয়ার গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা জাফরুল্লাহ চৌধুরীর ইচ্ছা কেন হলো তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন তথ্যমন্ত্রী হাছান মাহমুদ।

সোমবার (০৪ জুলাই) সচিবালয়ে তথ্য অধিদফতরের সম্মেলন কক্ষে মুজিববর্ষে বঙ্গবন্ধু বইয়ের মোড়ক উন্মোচন অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ মন্তব্য করেন।

প্রধান তথ্য কর্মকর্তা মো. শাহেনুর মিয়ার সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি ছিলেন তথ্য ও সম্প্রচার সচিব মো. মকবুল হোসেন, বাংলাদেশ ফিল্ম আর্কাইভের মহাপরিচালক মো. নিজামূল কবীর।

জাতীয় প্রেসক্লাবে রোববার এক আলোচনা সভায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়াকে নিয়ে পূর্ণিমা রাতে পদ্মা সেতু দেখতে যাওয়ার ইচ্ছা প্রকাশ করেন জাফরুল্লাহ চৌধুরী। তিনি বলেন, ‘চিন্তা করেন, আপনার (প্রধানমন্ত্রী) গাড়ি সামনে, পরে খালেদা জিয়ার গাড়ি, আর তার পেছনে তিনজন মুক্তিযোদ্ধা দাঁড়ায়া থাকবে। আস্তে আস্তে যাব। এখনও সময় আছে, অন্যদিকে পয়সা খরচ না করে এক পূর্ণিমার রাতে চলেন না যাই! এইটাই হবে বাংলাদেশ। তার আগে মুক্তি দিতে হবে... এনাদেরও (আলেম) নিয়ে যাই। ’

এর জবাবে তথ্যমন্ত্রী বলেন, শেখ হাসিনা পদ্মা সেতু উদ্বোধন করেছেন। পদ্মা সেতুর ওপর দিয়ে আজ টুঙ্গিপাড়ায় জাতির পিতার সমাধিতে শ্রদ্ধা নিবেদনে গিয়েছেন তিনি। তাঁর পূর্ণিমা রাতে যাওয়ার দরকার নাই। যদি খালেদা জিয়া রাজি হন তাহলে জাফরুল্লাহ সাহেব পূর্ণিমা রাতে যেতে পারেন।  

তিনি বলেন, খালেদা জিয়া রাজি হবেন কিনা জানি না। যদি খালেদা জিয়া রাজি হন তাহলে তিনি যেতে পারেন। কিন্তু হঠাৎ পূর্ণিমা রাতে কেন যেতে চান সেটা একটা প্রশ্ন। অন্য সময় নয় হঠাৎ পূর্ণিমা রাতে খালেদা জিয়াকে সেখানে নিয়ে যাওয়ার ইচ্ছা হলো কেন সেটি একটি প্রশ্ন।

১০ হাজার মানুষকে নিয়ে হাইকোর্ট ঘেরাও করার যে ঘোষণা জাফরুল্লাহ চৌধুরী দিয়েছেন তাকে আদালতকে হুমকি দেওয়ার শামিল বলে মন্তব্য করেন তথ্যমন্ত্রী হাছান মাহমুদ। তিনি বলেন, আদালত ঘেরাওয়ের যে বক্তব্য, সেটি সরাসরি আদালতের প্রতি হুমকিস্বরূপ। আমি জানি না, আদালত সেটিকে কীভাবে বিবেচনা করবেন।  

এর আগে ২০২১ সালের ২৬ মার্চ থেকে চলতি ২০২২ সালের ২৬ মার্চ পর্যন্ত রাষ্ট্রীয় বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ দিবসের ক্রোড়পত্রে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে প্রকাশিত প্রবন্ধ-নিবন্ধ ও কবিতার সংকলন-মুজিববর্ষে বঙ্গবন্ধু। প্রধান তথ্য অফিসারের তত্ত্বাবধানে সিনিয়র উপ-প্রধান তথ্য অফিসার ইয়াকুব আলী সম্পাদিত ২৪০ পৃষ্ঠার বইটিতে ৩৬টি নিবন্ধ ও ১৮টি কবিতা রয়েছে।

এছাড়া বাংলাদেশ ফিল্ম আর্কাইভের বাৎসরিক গবেষণা প্রকল্পের ফসল শ্যামল দত্তের চলচ্চিত্র সংরক্ষণ ও পুণরুদ্ধার, মুহাম্মদ উল্লাহর স্টেট, আইডেনটিটি অ্যান্ড ডায়াসপোরা ইন, তানভীর মোকাম্মেলস ফিল্মস,কাজী এম. আমিছুর ইসলাম ও মাহমুদুল হাসানের প্রেক্ষাগৃহে ছবি দেখা-পাঁচ দশকের বিবর্তন, ফারজানা তাসনিম পিংকি ও মো. রাগীব রহমানের বিদেশি চলচ্চিত্রে- বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের উপস্থাপন এবং মনিরা বেগম ও শাওলিন শাওনের সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে চলচ্চিত্র সমালোচনার স্বরূপ এই ৬টি বইয়ের মোড়ক উন্মোচন করা হয়।  

বাংলাদেশ সময়: ১৫১৮ ঘণ্টা, জুলাই ০৪, ২০২২
জিসিজি/এসআইএস 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।