ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ৫ বৈশাখ ১৪৩১, ১৮ এপ্রিল ২০২৪, ০৮ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

কারো ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত করবেন না: প্রধানমন্ত্রী

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৪২৮ ঘণ্টা, জুলাই ৫, ২০২২
কারো ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত করবেন না: প্রধানমন্ত্রী

ঢাকা: ‘বাংলাদেশ অসাম্প্রদায়িক চেতনার দেশ। এখানে কেউ কারো ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত দেবেন না।

সব ধর্মের স্বাধীনতা থাকবে। ’

মঙ্গলবার (৫ জুলাই) কুমিল্লা সিটি করপোরেশনের (কুসিক) নবনির্বাচিত মেয়র ও কাউন্সিলরদের শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানে এ কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।  

এ সময় তিনি নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিদের প্রতিটি মানুষের উন্নয়নে কাজ করার আহ্বান জানান।  

ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে আয়োজিত এ অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তার সরকারি বাসভবন গণভবন থেকে ভার্চ্যুয়ালি যুক্ত হন।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, কুসিক নির্বাচন শান্তিপূর্ণভাবে অনুষ্ঠিত হয়েছে। স্থানীয় সরকার নির্বাচনের ইতিহাসে এটা অত্যন্ত শান্তিপূর্ণ নির্বাচন। এত শান্তিপূর্ণ নির্বাচন অতীতে আর দেখা যায়নি। জনগণের ভোটের অধিকার যেনো নিশ্চিত থাকে সে অনুযায়ী আমরা কাজ করে যাচ্ছি। আওয়ামী লীগ সৃষ্টি হয়েছিল মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে। একদিকে ভোটের অধিকার অপরদিকে বাঙালি জাতির সার্বিক উন্নয়নে আওয়ামী লীগ কাজ করে গেছে। ৭১ সালের জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে সব জনগণকে ঐক্যবদ্ধ করে মহান মুক্তিযুদ্ধে মাধ্যমে বাংলাদেশ স্বাধীন হয়েছে এই লক্ষ্যে দেশের প্রতিটি মানুষ ভোটের অধিকার, ভাতের অধিকার, গণতান্ত্রিক অধিকার ভোট করবে সেটা আমাদের একমাত্র লক্ষ্য। সেটাই আমরা করে যাচ্ছি। গণতান্ত্রিক অধিকারের মাধ্যমেই মানুষের আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন হবে। দেশে বিভিন্ন ধর্মালম্বী মানুষের বসবাস। ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সকলের কল্যাণে আওয়ামী লীগ কাজ করে যাচ্ছে। আমরা অসাম্প্রদায়িক চেতনায় বিশ্বাস করি। আমরা চাই দেশ সব সময় অসাম্প্রদায়িক চেতনায় গড়ে উঠবে। সব ধর্মের স্বাধীনতা বাংলাদেশে থাকবে যেটা আমাদের পবিত্র কোরআন শরিফে বলা আছে। কেউ কারো ধর্মের অনুভূতির ওপর আঘাত করবে না বা ধর্ম পালন করায় বাধা দেবে না। বাংলাদেশ সে চেতনায় বিশ্বাস করে। দেশে যে উন্নয়ন পরিকল্পনা প্রণয়ন করি আমরা লক্ষ্য করি একেবারে তৃণমূলের মানুষের ভাগ্যের উন্নয়ন করা।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, স্বচ্ছতার সঙ্গে যারা কুসিক নির্বাচন পরিচলানার দায়িত্বে ছিলেন আমি তাদের ধন্যবাদ জানাই। আপনারা যারা নির্বাচিত হয়েছেন মনে রাখবেন, আপনারা জনগণের প্রতিনিধি। জনগণ ভোট দিয়ে আপনাদের নির্বাচিত করেছে। যারা ভোট দিয়ে আর যারা আপনাদের ভোট দেয়নি আপনারা সবার প্রতিনিধি। কে ভোট দিয়েছে আর কে ভোট দেয়নি সেটা বিষয় না। আপনাদের দায়িত্ব প্রতিটি এলাকায় উন্নয়ন হয়, প্রতিটি মানুষের অধিকার যাতে নিশ্চিত হয় সেলক্ষ্যে কাজ করা। যখন আমি প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হয়েছি তখন আমি দেশের প্রধানমন্ত্রী। কে ভোট দিয়েছে, কে ভোট দেয়নি সেটা আমার বিবেচ্য বিষয় না। প্রতিটি মানুষের উন্নয়ন আমরা লক্ষ্য। আপনার দায়িত্ব হচ্ছে প্রত্যেকটি মানুষের যাতে আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন হয়, প্রতিটি এলাকায় যাতে সমান উন্নয়ন সেট নিশ্চিত করা। আমি মেয়র, কাউন্সিলরদের বলবো উন্নয়ন পরিকল্পনা নিতে গিয়ে ভাববেন না কত কমিশন পাওয়া যাবে। এই চিন্তা যেনো না থাকে, মানুষ কতটুকু উপকৃত হবে রাষ্ট্র কতটুকু লাভবান হবে সেটা মাথায় রাখবেন।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, করোনা এবং ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধে প্রতিনিয়তই খ্যদ্য দ্রব্যসহ প্রতিটি জিনিসের দার প্রতিটি দেশেই বাড়ছে। অর্থনৈতিক মন্দা দেখা দিয়েছে। ভোজ্য, তেল সারের দাম বেড়েছে। প্রত্যেকটি জিনিসের দাম বেড়ে গেছে। বিদ্যুতে মোটা অংকের ভর্তুকি দিচ্ছে, কত দেবো। নিজেদের যেটুকু জমি আছে ব্যবহার করবেন। এক ইঞ্চি জমিও ফেলে রাখবেন না। জমি যেনো পড়ে না থাকে, নিজেরা উৎপাদন করে নিজেরাই খাবো।

এ অনুষ্ঠানে কুসিকের নব নির্বাচিত মেয়র আরফানু হক রিফাতকে শপথ পড়ান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এরপর নব নির্বাচিত ৩৬ জন কাউন্সিলর ও সংরক্ষিত কাউন্সিলরদের শপথ পড়ান স্থানীয় সরকার পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী তাজুল ইসলাম।

বাংলাদেশ সসয়: ১৪২৪ ঘণ্টা, জুলাই ০৫, ২০২২
এসকে/এএটি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
welcome-ad