ঢাকা, সোমবার, ৩০ বৈশাখ ১৪৩১, ১৩ মে ২০২৪, ০৪ জিলকদ ১৪৪৫

জাতীয়

টাঙ্গাইলের গণপরিবহনে ভাড়ার নৈরাজ্য

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, টাঙ্গাইল | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬৪৩ ঘণ্টা, জুলাই ১২, ২০২২
টাঙ্গাইলের গণপরিবহনে ভাড়ার নৈরাজ্য

টাঙ্গাইল : টাঙ্গাইলের গণপরিবহনগুলোয় আদায় করা হচ্ছে গলাকাটা ভাড়া। উপায় না পেয়ে এসব পরিবহনেই ঢাকা ফিরতে বাধ্য হচ্ছেন কর্মজীবী মানুষেরা।

ঢাকা থেকে খালি আসবে, এমন অজুহাতে বাসে বেশি ভাড়া নেওয়া হচ্ছে বলে জানিয়েছেন মালিক-শ্রমিকরা।

মঙ্গলবার (২১ জুলাই) দুপুরে সরেজমিন টাঙ্গাইল নতুন বাস স্ট্যান্ডে গিয়ে দেখা যায়, নিরালা সুপার সার্ভিস ও সকাল-সন্ধ্যা বাস কাউন্টারের সামনে সাধারণ যাত্রীদের দীর্ঘ লাইন। ঈদের ছুটিতে এসব যাত্রী বাড়ি এসেছিলেন। দ্বিগুণ ভাড়া দিয়ে বাড়ি আসার পর আবার বাড়তি ভাড়া দিয়ে ঢাকা ফেরার বিষয়টি নিয়ে বেশ বিরক্ত তারা।

তাদের অভিযোগ, ঈদ এলেই গণ পরিবহনের মালিক ও শ্রমিকরা ইচ্ছামতো বাড়তি ভাড়া আদায় করেন। তাদের নৈরাজ্য চলছে দীর্ঘদিন ধরে। যা দেখার কেউ নেই। ভাড়ার এ নৈরাজ্য কোনো দিন বন্ধ হবে না বলে মনে করেন টিকিট কাউন্টারে অপেক্ষমাণ যাত্রীরা।

ঢাকায় একটি ওষুধ কোম্পানিতে চাকরি করেন টাঙ্গাইল সদর উপজেলার ধুলেরচর এলাকার এবিএম মহিউদ্দিন খান। তিনি জানান, ঈদের ছুটিতে বাড়ি আসার সময় তার কাছ থেকে মূল ভাড়া থেকে বেশি রাখা হয়। ৫৫০ টাকা ভাড়া দিয়ে বাড়ি আসেন। ঢাকার ফেরার সময়ও তার কাছে বাড়তি ভাড়া নেওয়া হচ্ছে। নিরালা সুপার সার্ভিসের সাধারণ ভাড়া যেখানে ২০০, তাকে দিতে হচ্ছে ৩০০ টাকা।

আব্দুল্লাহ আল মাসুদেরও একই অভিযোগ। তিনি বলেন, প্রশাসনের পক্ষ থেকে কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে না। যে কারণে বাস মালিক-শ্রমিকরা নিজেদের দৌরাত্ব দেখান।

এ নারী যাত্রী অভিযোগ করেন, ১০০ টাকা বেশি ভাড়া রাখায় তিনি প্রতিবাদ করেন। কিন্তু কাউন্টার থেকে তাকে বলা হয়, ‘বাড়তি ভাড়া দিয়ে গেলে যান, না গেলে না যান। ’ কিন্তু ঢাকা ফিরতেই হবে, তাই বাধ্য হয়ে ২০০ টাকার টিকিট ৩০০ টাকা দিয়ে নিতে হয়েছে।

অনেকে জানান, ২০০ টাকার টিকিট কোনো সময় ৩৫০ টাকা আবার কোনো সময় ৪০০ টাকা দিয়েও কিনতে হচ্ছে। আসাদুজ্জামান মিয়া নামে এক যাত্রী সকাল-সন্ধ্যা বাসের টিকিট ৪০০ টাকা দিয়ে কিনেছেন।

এসব অভিযোগের বিষয়ে পাত্তা দিচ্ছেন না টাঙ্গাইল বাস-মিনিবাস মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক শফিউল আলম তুষার। তিনি বলেন, যে ভাড়া আদায় করা হচ্ছে, তাকে বাড়তি বলা যাবে না। বাসগুলো ঢাকা থেকে খালি আসবে। এতে আমাদের ব্যাপক ক্ষতি হবে। তাই তেলের খরচ ওঠাতে কিছু টাকা বেশি নেওয়া হচ্ছে।

এসব ব্যাপারে টাঙ্গাইলের জেলা প্রশাসক ড. মো. আতাউল গনি বাংলানিউজকে বলেন, গণ পরিবহনগুলোর বাড়তি ভাড়া নেওয়ার কোনো সুযোগ নেই। যদি কেউ বাড়তি ভাড়া নিয়ে থাকে তাহলে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

বাংলাদেশ সময় : ১৬৪২ ঘণ্টা, ১২ জুলাই, ২০২২
এমজে

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।