আশুগঞ্জ (ব্রাহ্মণবাড়িয়া): চালুর মাত্র দুদিন পরেই বৃহস্পতিবার রাত ৩টা থেকে যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে আবারও উৎপাদন বন্ধ হয়ে গেছে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আশুগঞ্জ ইউরিয়া সার কারখানায়।
যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে চলতি মাসে এ সার কারখানা তিনবার বন্ধ হলো।
কারখানার সূত্র জানায়, গভীর রাতে ইউরিয়া প্লান্টের ভেবকপ বয়লার লিকেজ হয়ে হঠাৎ উৎপাদন বন্ধ হয়ে যায়। সর্বশেষ যান্ত্রিক ক্রটির কারণে গত শনিবার ইউরিয়া প্লান্টের হাইপ্রেসার কার্বানেট কনডেনসার টপ অ্যাসেস ডোম লিকেজ হয়ে কারখানায় উৎপাদন বন্ধ হয়।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কারখানার এক প্রকৌশলী বাংলানিউজকে জানান, উৎপাদন বন্ধের পর তাড়াহুড়ো করে কারখানা চালুর করতে গিয়ে সুষ্ঠুভাবে মেরামতকাজ সম্পন্ন না হওয়ায় সমস্যা থেকেই যাচ্ছে। ফলে একই কারণে ঘন ঘন বন্ধ হয়ে কারখানায় উৎপাদন ব্যাহত হচ্ছে।
এদিকে, কারখানার চলতি অর্থবছরে ৩ লাখ ৮০ হাজার মেট্রিক টন উৎপাদন ল্যমাত্রা নির্ধারণ করে বিসিআইসি কর্তৃপ। কিন্তু ঘন ঘন কারখানার উৎপাদন বন্ধ হয়ে যাওয়ায় কাক্সিত ল্যমাত্রা অর্জিত না হওয়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। চলতি অর্থবছরে এ পর্যন্ত মাত্র ৭৫ হাজার ৭শ ১২ মেট্রিক টন ইউরিয়া সার উৎপাদিত হয়েছে।
কারখানা বন্ধের সত্যতা স্বীকার করে কারখানার ব্যবস্থাপনা পরিচালক উসমান গনি বাংলানিউজকে জানান, ‘স্থানীয় প্রকৌশলীরা মেরামতকাজ চালিয়ে যাচ্ছেন। তবে মেরামতকাজ শেষ হতে সাতদিন সময় লাগবে। ’
বর্তমানে কারখানায় প্রায় ১ লাখ ৬০ হাজার মেট্রিক টন ইউরিয়া সার মজুদ রয়েছে বলে জানান তিনি।
বর্তমান মজুদকে পর্যাপ্ত উল্লেখ করে তিনি বলেন, সার সংকটের কোনো আশঙ্কা নেই।
বাংলাদেশ সময়: ১০০৪ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২৩, ২০১০