ঢাকা, সোমবার, ৬ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১, ২০ মে ২০২৪, ১১ জিলকদ ১৪৪৫

জাতীয়

সালথার সেই উপজেলা চেয়ারম্যানকে জেলগেটে জিজ্ঞাসাবাদের আদেশ

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮২৬ ঘণ্টা, জুলাই ১৮, ২০২২
সালথার সেই উপজেলা চেয়ারম্যানকে জেলগেটে জিজ্ঞাসাবাদের আদেশ মো. ওয়াদুদ মাতুব্বর।

ফরিদপুর: মুক্তিযোদ্ধার বাড়িতে হামলা-ভাঙচুর ও লুটপাটের মামলায় আদালতের আদেশে কারাগারে পাঠানো ফরিদপুরের সালথার মো. ওয়াদুদ মাতুব্বর নামে সেই উপজেলা চেয়ারম্যানকে একদিনের জন্য জেলহাজতে জিজ্ঞাসাবাদের আদেশ দিয়েছেন আদালত।  

সোমবার (১৮ জুলাই) সকাল ১১টার দিকে ফরিদপুরের অতিরিক্ত চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট কোর্টের ৬ নম্বর আমলি আদালতের বিচারক তরুণ বাছাড় এ আদেশ দেন।

 

এর আগে মুক্তিযোদ্ধার বাড়িতে হামলা-ভাঙচুর ও লুটপাটের মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা উপ-পরিদর্শক (এসআই) পরিমল কুমার ঘোষ উপজেলা চেয়ারম্যান ওয়াদুদ মাতুব্বরের রিমান্ড চেয়ে কোর্টে আবেদন করেন। পরে কোর্ট শুনানি শেষে জেলগেটে একদিনের জিজ্ঞাসাবাদের আদেশ দেন।  

ফরিদপুরের ৬ নম্বর আমলি আদালতে পুলিশের জিআরও শ্যামল মিত্র বাংলানিউজকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

এর আগে গত রোববার (৯ জুলাই) দিনগত রাতে সালথা উপজেলা চেয়ারম্যান ওয়াদুদ মাতুব্বরকে প্রধান আসামি করে ৩৬ জনের নাম উল্লেখ করে বীর মুক্তিযোদ্ধা এলেম শেখের বাড়িতে হামলার ঘটনায় বীর মুক্তিযোদ্ধার স্ত্রী জয়গুন বেগম বাদী হয়ে সালথা থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। সে মামলায় গত বুধবার (১৩ জুলাই) ফরিদপুরের অতিরিক্ত চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট কোর্টের ৬ নম্বর আমলি আদালতে আসামিরা হাজির হয়ে জামিন আবেদন করলে আদালতের বিচারক তরুণ বাছাড় জামিন নামঞ্জুর করে সালথা উপজেলা চেয়ারম্যান মো. ওয়াদুদ মাতুব্বরসহ ১০ জন আসামিকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।  

এ পর্যন্ত সালথা থানায় উপজেলা চেয়ারম্যান ওয়াদুদ মাতুব্বরকে প্রধান আসামি করে মোট তিনটি মামলা দায়ের করা হলো।

জানা যায়, গত ৮ জুলাই সন্ধ্যায় উপ‌জেলার গ‌ট্টি ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি আবু জাফর মোল্ল্যার ওপর দুর্বৃত্তরা হামলা করে বলে অভিযোগ ওঠে। এ সময় তিনি দৌঁড়ে বীর মুক্তিযোদ্ধা এলেম শেখের বাড়িতে আশ্রয় নিলে হামলাকারীরা বীর মুক্তিযোদ্ধা এলেম শেখের বসতবাড়ি ভাঙচুর ও লুটপাট চালায় ব‌লে অভিযোগ স্থানীয়‌দের।  

এছাড়া এলেম শেখ ও তার স্ত্রী জয়গুন বেগমকে মারধর ক‌রে এবং এতে তারা আহত হন ব‌লে অভিযোগ ওই মু‌ক্তি‌যোদ্ধা পরিবারের। পরবর্তীতে ওই ঘটনার বিষয় উল্লেখ করে ৯ জুলাই জয়গুন বেগম সালথা উপজেলা চেয়ারম্যান মো. ওয়াদুদ মাতুব্বরসহ মোট ৩৬ জনকে আসামি করে সালথা থানায় মামলা করেন। সে মামলায় উপজেলা চেয়ারম্যান এখন কারাগারে রয়েছেন।

বাংলাদেশ সময়: ১৮২৪ ঘণ্টা, জুলাই ১৮, ২০২২
আরএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।