ঢাকা, বুধবার, ১৮ আষাঢ় ১৪৩১, ০৩ জুলাই ২০২৪, ২৫ জিলহজ ১৪৪৫

জাতীয়

ছয় ঘন্টা অপেক্ষা করে ফিরে গেলেন ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী

রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে নূরদের পাশে বসাতে আপত্তি রনির

মাছুম কামাল, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০১০৩ ঘণ্টা, জুলাই ২৫, ২০২২
রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে নূরদের পাশে বসাতে আপত্তি রনির

ঢাকা: গণঅধিকার পরিষদের সদস্য সচিব ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের (ডাকসু) সাবেক ভিপি নূরুল হক নূর, গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক জোনায়েদ সাকি, বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক আন্দোলনে সমর্থন জানাতে কমলাপুর গিয়েছিলেন। তবে সেখানে তাদের বসতে দিতে আপত্তি করেন আন্দোলনরত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী মহিউদ্দিন রনি।

গণমাধ্যমকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে মহিউদ্দিন রনি বলেন, আজ বিকেলে আমার আন্দোলনে সমর্থন জানাতে কমলাপুর এসেছিলেন অনেকেই। পরবর্তীতে নূরুল হক নূর ও কয়েকজন নেতা সেখানে আসেন। এ সময় তাদের সঙ্গে আসা কিছু লোকজন লাইভে গিয়ে সরকারের বিভিন্ন সমালোচনা করতে শুরু করেন। সেজন্য আমি তাদের কাছে আপত্তি জানিয়েছি।

তিনি বলেন, আমি মূলত যেটা চাচ্ছি, যারাই এ আন্দোলনে অংশগ্রহণ করতে চায়, তারা যেনো জনগণের স্বার্থের চিন্তা করে আসে। আপনারা দেখেছেন শুরু থেকেই আমি এককভাবে আন্দোলন চালিয়ে এসেছি। পরে হয়ত আমার সঙ্গে অনেকেই যুক্ত হয়েছেন। বিষয়টা হচ্ছে, কোনো রাজনৈতিক ফায়দা হাসিল করার জন্য কেউ আমাদের সঙ্গে যোগ দিক, সেটি আমরা চাই না। ইতোমধ্যেই অনেক সাংস্কৃতিক কর্মী ও অনেক সংগঠনের লোকজন আমাদের সমর্থনে এসেছেন। আমরা এটি নিয়ে খুশী। কারণ, আমরা চাচ্ছি ধীরে-ধীরে আমাদের আন্দোলনটা, এই ছয় দফা দাবী মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর কাছে পৌঁছাক।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে নুরুল হক নূর বাংলানিউজকে বলেন, এরকম তো কোনো ঘটনা ঘটেনি, বসতে না দেয়ার মতো। বিষয়টি হচ্ছে, ড. জাফরুল্লাহ চৌধুরীর মতো প্রবীণ একজন লোক সেখানে (কমলাপুর) স্টেশনে গিয়েছিলেন৷ তাকে ভেতরে প্রবেশ করতে দেয়া হয়নি। আত্মিকভাবে আমরা যেহেতু কাছাকাছি, সেজন্য আমরা উনাকে নিয়ে আসতে সেখানে গিয়েছিলাম।

সেখানে কিছু ইউটিউবার, ফেসবুকার লাইভের বিষয়টি ঘটায়। এটি তো আমাদের কোনো কার্যক্রম নয়। কাজেই, রনি যদি এটি বলে থাকে, এটি দুঃখজনক। কেননা, আমরা এই আন্দোলনে উপরন্তু সমর্থন জানিয়েছি। এমনকি রেলওয়ের দুর্নীতি নিয়ে আমরা প্রেসক্লাবে আগামী পরশু প্রোগ্রামও ডেকেছি।

এদিকে, রোববার (২৪ জুলাই) বিকেল ৫টা নাগাদ কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশনে যান গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের ট্রাস্টি ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী। এ সময় রনির সঙ্গে তাকেও কমলাপুরে ঢুকতে দেননি রেলওয়ে নিরাপত্তা বাহিনী (আরএনবি) ও আনসার সদস্যরা। পরে, তিনি স্টেশনের বাইরেই অবস্থানের ঘোষণা দেন।

ওই ঘটনায় আপত্তি জানিয়ে নিরাপত্তা বাহিনীর উদ্দেশে রনি বলেন, আমাদের ঢুকতে দেননি, সমস্যা নেই। অসুস্থ মানুষটাকেও বাইরে দাঁড় করিয়ে রেখেছেন। আমি কথা দিচ্ছি, আমি ঢুকব না, আপনারা উনাকে (জাফরুল্লাহ) ঢুকতে দেন।

এদিকে, সাংবাদিকদের ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলেন, প্রতিটি ভালো কাজের প্রতি আমার সমর্থন থাকে। সে জায়গা থেকেই আমি ব্যক্তিগতভাবে এখানে এসেছি। প্রবেশের অনুমতি না দেওয়া পর্যন্ত আমি বাইরেই অবস্থান থাকবো।

পরে, কমলাপুর রেলওয়ের স্টেশন মাস্টার আনোয়ার হোসেন শুধু ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরীকে ভেতরে প্রবেশ করার আমন্ত্রণ জানান। তবে, পাঁচ সদস্য বিশিষ্ট একটি দল নিয়ে জাফরুল্লাহ প্রবেশ করতে চাওয়ায় সে প্রস্তাবে রাজী হয়নি রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ।

ভেতরে প্রবেশ করতে না পেরে প্রায় ৬ ঘন্টা অবস্থানের পর রাত ১২টা নাগাদ সেখান থেকে ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরীসহ অন্যান্যরা চলে যান।

বাংলাদেশ সময়: ০১০৩ ঘন্টা, জুলাই ২৫, ২০২২
এমকে/এমএইচএম

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।