ঢাকা, রবিবার, ২০ আশ্বিন ১৪৩১, ০৬ অক্টোবর ২০২৪, ০২ রবিউস সানি ১৪৪৬

জাতীয়

৬ দফা দাবি আদায়ে রাজশাহী রেলস্টেশনে গণসংযোগ করলেন রনি

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮৩৪ ঘণ্টা, জুলাই ২৯, ২০২২
৬ দফা দাবি আদায়ে রাজশাহী রেলস্টেশনে গণসংযোগ করলেন রনি

রাজশাহী: বাংলাদেশ রেলওয়ের অনিয়ম ও দুর্নীতি বন্ধে রাজশাহী রেলওয়ে স্টেশনে গণসংযোগ করেছেন মহিউদ্দিন রনি।

শুক্রবার (২৯ জুলাই) বেলা ৩টা থেকে ৪টা পর্যন্ত তিনি রাজশাহী রেলওয়ে স্টেশনে অবস্থান করেন।

এরপর লিফলেট বিতরণ ও গণসংযোগ শেষে ট্রেনে করে ঢাকার উদ্দেশে রওনা দেন।

এ সময় পশ্চিমাঞ্চল রেলওয়ের মহাব্যবস্থাপক (জিএম) অসীম কুমার তালুকদারের সঙ্গেও তার দেখা হয়। মহিউদ্দিন রনি তার কাছেও ছয় দফা দাবিগুলো তুলে ধরেন। পরে পশ্চিমাঞ্চাল রেলওয়ের মহাব্যবস্থাপকও তার দাবির প্রতি সম্মান জানান এবং গণসংযোগের সময় তার সঙ্গে রেলওয়ে স্টেশনের প্লাটফর্মেও যান।

পশ্চিমাঞ্চল রেলওয়ের মহাব্যবস্থাপক (জিএম) অসীম কুমার তালুকদার বলেন, হঠাৎ করেই রনির সঙ্গে রাজশাহী রেলস্টেশনে দেখা হয় আজ। রেলওয়ের অব্যবস্থাপনা নিয়ে তার ছয় দফা নিয়ে এ সময় আলোচনাও হয়েছে। সম্মানিত যাত্রীদের স্বার্থে তার এ দাবিগুলো বিবেচনার দাবি রাখে। রেলওয়ে এগুলো নিয়ে আগে থেকেই কাজ করছে। তবে বর্তমান দৃশ্যপটে রনির আবির্ভাবে সেই কাজগুলো আরও গতি পেয়েছে। রেলওয়ের বিভিন্ন সমস্যা তুলে ধরার জন্য তিনি রনিকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন।

এদিকে, রাজশাহী রেলওয়ে স্টেশনে গণসংযোগের উদ্দেশে বৃহস্পতিবার (২৮ জুলাই) রাতে মহিউদ্দিন রনি রাজশাহীতে যান। রেলওয়ের অব্যবস্থাপনা পরিবর্তনে তার ছয় দফা দাবি নিয়ে চলা এই আন্দোলনে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়সহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা রনির সঙ্গে একাত্মতা প্রকাশ করেন। আজ তার সঙ্গে রেলওয়ে স্টেশনে গণসংযোগে যোগ দেন।

বাংলাদেশ রেলওয়ের অনিয়ম ও অব্যবস্থাপনা রোধে এবং সহজ ডট কমে যাত্রী হয়রানির প্রতিবাদে ৬ দফা দাবিতে গত ৭ জুলাই থেকে আন্দোলনে নামেন রনি। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের থিয়েটার অ্যান্ড পারফরম্যান্স স্ট্যাডিজ বিভাগের চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী মহিউদ্দিন হাওলাদার রনি গত ২৫ জুলাই আন্দোলন স্থগিতের ঘোষণা দিয়েছেন।

তার ছয় দফার দাবিগুলো হচ্ছে- টিকেট ব্যবস্থাপনায় হয়রানি অবিলম্বে বন্ধ করতে হবে, হয়রানির ঘটনায় দ্রুত ব্যবস্থা নিতে হবে। যথাযথ পদক্ষেপ গ্রহণের মাধ্যমে টিকেটের কালোবাজারি বন্ধ করতে হবে। অনলাইন কোটায় টিকেট ব্লক করা বা বুক করা বন্ধ করতে হবে। অনলাইন বা অফলাইনে সবার সমান সুযোগ নিশ্চিত করতে হবে। যাত্রী চাহিদার সঙ্গে সঙ্গতি রেখে রেলের সংখ্যা বৃদ্ধিসহ দীর্ঘমেয়াদি উন্নয়ন পরিকল্পনা নিতে হবে। রেলের টিকিট পরীক্ষক ও তত্ত্বাবধায়কসহ দায়িত্বশীলদের সার্বক্ষণিক নজরদারির মধ্যে আনতে হবে এবং রেলের সেবার মান বৃদ্ধি করতে হবে। রেলে ন্যায্য দামে খাবার বিক্রি, বিনামূল্যে পানি সরবরাহ ও স্বাস্থ্য সম্মত স্যানিটারি ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে হবে।

বাংলাদেশ সময়: ১৮৩৩ ঘণ্টা, জুলাই ২৯, ২০২২
এসএস/কেএআর

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।