শরীয়তপুর: শরীয়তপুরের ডামুড্যায় এক অন্তঃসত্ত্বার সিজারিয়ান অপারেশন করতে গিয়ে নবজাতকের পা ভেঙে ফেলার অভিযোগ উঠেছে ইসরাত জাহান নামে এক চিকিৎসকের বিরুদ্ধে।
শুক্রবার (২৭ জুলাই) রাত ৮টার দিকে ডামুড্যা উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মোস্তাফা খোকন এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
জানা গেছে, সিজারের মাধ্যমে বাচ্চা প্রসব করতে বৃহস্পতিবার রাতে ডামুড্যা উপজেলার হ্যাপি ক্লিনিকে ভর্তি হন সিড্যা ইউনিয়নের রমজান আলী তালুকদারের স্ত্রী তাসলিমা বেগম। সকাল সাড়ে ৮টার দিকে অপারেশন করেন ডামুড্যা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মা ও শিশু কেন্দ্রের চিকিৎসক ইসরাত জাহান। সিজারে বাচ্চা প্রসব করানোর পরে নবজাতকের পা ভেঙে ফেলার অভিযোগ করেন ভুক্তভোগী পরিবার।
এ ব্যাপারে নবজাতকের বাবা রমজান আলী তালুকদার বলেন, হ্যাপি ক্লিনিকে স্ত্রীকে ভর্তি করি সিজারের জন্য। সিজার হওয়ার পর বাচ্চা নিয়ে আসার পর তার পা ফোলা ও উল্টো অবস্থায় দেখতে পাই। তখন হাসপাতালের নার্সদের কাছে কারণ জানতে চাইলে তারা বলেন, ‘ডাক্তারের তাড়াহুড়োর কারণে এমনটা ঘটেছে। ’ পরে ডাক্তারের সঙ্গে দেখা করে পা কেনো ভেঙেছে- জানতে চাইলে উত্তর না দিয়ে তিনি দরজা বন্ধ করে দেয়।
ভুক্তভোগী নবজাতকের মা তাসলিমা বেগম বলেন, দায়সারা অপারেশন করতে গিয়ে আমার ছেলের পা ভেঙেছেন ডা. ইসরাত জাহান। আমি এর বিচার চাই।
এ ব্যাপারে অভিযুক্ত চিকিৎসক ইসরাত জাহান বলেন, ‘পা ভাঙা কোনো সমস্যা না। ঠিক হয়ে যাবে। ’
ডামুড্যা উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মোস্তাফা খোকন বলেন, এ সংক্রান্ত একটি অভিযোগ পেয়েছি। এ ঘটনায় একটি কমিটি গঠন করে তদন্ত করা হবে।
শরীয়তপুরের সিভিল সার্জন ডা. আবদুল্লা আল মুরাদ বলেন, খোঁজ নিয়ে তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
বাংলাদেশ সময়: ২১২০ ঘণ্টা, জুলাই ২৯, ২০২২
আরএ