ঢাকা, শনিবার, ১৫ আষাঢ় ১৪৩১, ২৯ জুন ২০২৪, ২১ জিলহজ ১৪৪৫

জাতীয়

নারীকে হত্যার হুমকি দেওয়ার অভিযোগ ইউপি চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১০১৮ ঘণ্টা, আগস্ট ২, ২০২২
নারীকে হত্যার হুমকি দেওয়ার অভিযোগ ইউপি চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে প্রফেসর আওলাদ হোসেন

সাভার (ঢাকা): ঢাকার ধামরাইয়ে আদালতে বিচারাধীন একটি বিষয়ে বাদী নারীকে ইউনিয়ন পরিষদে ডেকে অকথ্য গালিগালাজ ও হত্যার হুমকি-ধমকি দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে।

সোমবার উপজেলার সোমভাগ ইউনিয়নের চেয়ারম্যান প্রফেসর আওলাদ হোসেনের বিরুদ্ধে ধামরাই থানায় লিখিত অভিযোগ করেছেন ভুক্তভোগী নারী।

এর আগে, ২৯ জুলাই ধামরাইয়ের সোমভাগ ইউনিয়নের ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানের কক্ষে এ ঘটনা ঘটে।

অভিযুক্তরা হলেন- ধামরাইয়ের সোমভাগ ইউনিয়নের গাওয়াইর গ্রামের মৃত আব্দুল গফুরের ছেলে আব্দুল মালেক ও একই এলাকার বাসিন্দা ও সোমভাগ ইউনিয়নের চেয়ারম্যান প্রফেসর আওলাদ হোসেন।

ভুক্তভোগী নারী ধামরাইয়ের সোমভাগ ইউনিয়নের গাওয়াইর গ্রামের আনোয়ার হোসেনের স্ত্রী সুরাইয়া বেগম। তিনি উপজেলা আওয়ামী লীগের সদস্য ও ২০১৪ সালের উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের নৌকা প্রতীকে উপজেলা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী হয়েছিলেন।

অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, ধামরাইয়ের সোমভাগ ইউনিয়নের গাওয়াইর এলাকায় আরএস ১৫৯৬ দাগের ৮ শতাংশ জমির মালিক বিবাদী আব্দুল মালেক, বাদী সুরাইয়াসহ তাদের আরো ২ বোন। তবে চেয়ারম্যানের সহায়তায় বিবাদী ওই জমি দখল করে রেখেছে। এ ঘটনায় পারিবারিকভাবে মীমাংসা না হওয়ায় আদালতে একটি মামলাও চলমান রয়েছে। এরইমধ্যে গত ২৯ তারিখ এ নিয়ে আবারো বাদী-বিবাদীর মধ্যে ঝগড়াঝাটি হয়। ওই সময় স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান প্রফেসর আওলাদ হোসেন ওই নারীকে পরিষদে ডেকে নেন।  পরে ওই কক্ষের দরজা বন্ধ করে ওই নারীকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে ও প্রাণ নাশের হুমকি দেন।

এ বিষয়ে ভুক্তভোগী ওই নারী বলেন, আমাকে ডাকার পর ভেতরে দরজা জানালা বন্ধ করে দিয়েছিল। আমার ছেলে ছিল দেখে ফেলায় রক্ষা পেয়েছি। এর আগেও বলেছেন আমার প্রস্তাবে রাজি হন। সব ঝামেলা ঠিক করে দেব। ওইদিন আমাকে যখন ডেকে নিছে। শনিবার বন্ধের দিন ছিল। আমাকে ফোন করে পরিষদে নিয়েছে। ওর মনে কি ছিল। ওর চাওয়া আমার জায়গা সম্পত্তি নেওয়ার। আমাকে বলে আওয়ামী লীগ করেন দেখে বাটপারি করে জমি নিছেন। সে আমার জায়গা নেওয়ার পায়তারা করেছে।  

অভিযুক্ত সোমভাগ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান প্রফেসর আওলাদ হোসেন বলেন, টোটাল বিষয়টি মিথ্যা ও ভিত্তিহীন। ঘটনা হলো তিনি জোরপূর্বক তার ভাইয়ের জমি দখল করে ভোগ করেন। তাই তার ভাই আমি চেয়ারম্যান হিসেবে আমার কাছে একটি লিখিত অভিযোগ করেছেন। তার ভাইয়ের অভিযোগের ভিত্তিতে আমি তাকে নোটিশ পাঠিয়েছি। এই নোটিশ পেয়ে তিনি আমার কাছে এসে বলেছেন আমি কেনো তাকে নোটিশ করলাম। তাই তিনি আমার বিষয়ে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন।

তবে আদালতে মামলা চলমান থাকলে চেয়ারম্যান সেটায় হস্তক্ষেপ করতে পারেন কিনা এমন প্রশ্নে কোনো জবাব দেননি তিনি।

ধামরাই থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) আশরাফুল ইসলাম বলেন, ভাইয়ের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেছেন। ভেতরে চেয়ারম্যানের নাম আছে। বিষয়টি দেখা হচ্ছে।

বাংলাদেশ সময়: ১০১৬ ঘণ্টা, আগস্ট ০২, ২০২২
এসএফ/এসআইএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।