বরিশাল: বরিশালের মুলাদীতে খাল থেকে উদ্ধার হওয়া দুই চোখ উপড়ানো ও শরীরে ধারালো অস্ত্রের আঘাত থাকা অজ্ঞাত কিশোরীর মরদেহের পরিচয় মিলেছে। তার নাম আখিনুর বেগম (১৪)।
শুক্রবার (৫ আগস্ট) স্বজনরা তার পরিচয় শনাক্ত করেন বলে জানিয়েছেন মুলাদী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এসএম মাকসুদুর রহমান।
তিনি জানান, উদ্ধার হওয়া মরদেহটি স্কুলছাত্রী আখিনুর বেগমের। সে মুলাদী উপজেলার গাছুয়া ইউনিয়নের পূর্ব হোসনাবাদ গ্রামের মো. শাহে আলম হাওলাদারের মেয়ে। স্থানীয় চরপৈক্ষা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে অষ্টম শ্রেণিতে পড়তো।
তার ভাই আবুল কালাম আজাদ জানান, গত ৩ আগস্ট সকালে পূর্ব হোসনাবাদ এলাকায় খালাতো বোন হালিমা বেগমের বাড়িতে বেড়াতে যায় আখিনুর। বিকেল ৪টায় প্রাইভেট পড়ার কথা বলে খালাতো বোনের বাড়ি থেকে বের হয়। কিন্তু বাড়িতে না ফেরায় ৪ আগস্ট খালাতো বোনকে ফোন করে বাবা তার খবর জানতে চান। তখন খালাতো বোন জানান, আখিনুর ৩ আগস্ট বিকেলে চলে গেছে। এরপর থেকে তার কোন সন্ধান পাচ্ছিলাম না।
তিনি বলেন, তরুণীর মরদেহ উদ্ধারের খবর পেয়ে তারা সেটি আখিনুরের হিসেবে শনাক্ত করেছেন। এ ঘটনায় তার বাবা বাদী হয়ে থানায় মামলা করেছেন।
আজাদ আরও জানান, বাড়িতে মা, বাবা ও ছোট বোন আখিনুর থাকতো। বাবা তাকে জানিয়েছে, এলাকার একটি ছেলে প্রেম নিবেদন করে আখিনুরকে উত্যক্ত করতো। মোবাইল ফোনেও উত্যক্ত করতো। তাই এ হত্যাকাণ্ডে সেই ছেলে জড়িত থাকতে পারে।
মুলাদী থানার ওসি এসএম মাকসুদুর রহমান জানান, আখিনুরের মোবাইল ফোনের কল ট্রাকিং করে একই এলাকার সন্দেহভাজন তিন জনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য থানায় আনা হয়েছে। তাদের জিজ্ঞাসাবাদ চলছে।
তিনি জানান, বৃহস্পতিবার বিকেলে গাছুয়া ইউনিয়নের হোসনাবাদ সিকদার বাড়ির সামনের খালে ব্রিজের নিচ থেকে আখিনুরের মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরিকারী মুলাদী থানার এসআই হাবিব জানান, কিশোরীর দুই চোখ খুচিয়ে বের করে নেওয়া হয়েছে। মাথার সামনের দুই পাশ, ঘাড় ও নাকের উপর ও নিচে ধারালো অস্ত্রের আঘাত রয়েছে।
তিনি বলেন, কিশোরীর পরনে পিত্ত রঙের বোরকা, সবুজ রঙের কামিজ ও কালো রঙের পায়জামা ছিল। এক কানের দুল ও এক হাতে চুরি ছিল না। ধারণা করা হচ্ছে মরদেহ উদ্ধারের ১৮/২০ ঘণ্টা আগে তাকে হত্যার পর খালে ফেলা দেওয়া হয়েছিল।
বাংলাদেশ সময়: ১০০২ ঘণ্টা, আগস্ট ০৬, ২০২২
এমএস/এমএমজেড