ঢাকা, শুক্রবার, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৮ রমজান ১৪৪৫

জাতীয়

এসডিজি অর্জনে বাংলাদেশ সাফল্যের স্বাক্ষর রাখছে: স্পিকার

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৪০৮ ঘণ্টা, আগস্ট ১২, ২০২২
এসডিজি অর্জনে বাংলাদেশ সাফল্যের স্বাক্ষর রাখছে: স্পিকার

ঢাকা: এমডিজি অর্জনে সাফল্যের ধারাবাহিকতায় এসডিজির ক্ষেত্রেও বাংলাদেশ সাফল্যের স্বাক্ষর রাখছে বলে জানিয়েছেন জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী।

শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেছেন, টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা-এসডিজি অর্জনে সংসদসদস্যদের ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ।

এমডিজি অর্জনে সাফল্যের ধারাবাহিকতায় এসডিজি’র ক্ষেত্রেও বাংলাদেশ সাফল্যের স্বাক্ষর রাখছে। এই সাফল্যের ধারাবাহিকতা ধরে রাখতে সরকারের গৃহীত পরিকল্পনা ও নীতি বাস্তবায়নে সহযোগী হিসেবে পার্লামেন্টারিয়ানরাও সক্রিয় অংশগ্রহণ করছেন।

জাতিসংঘে বাংলাদেশের স্থায়ী মিশনে ইউএনএফপিএ এর ডেপুটি এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর এম্বাসেডর ইব পেটারসেনসহ ইউএনএফপিএ এর সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠককালে স্পিকার এসব কথা বলেন।

শুক্রবার (১২ আগস্ট) সংসদ সচিবালয়ের এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেন, জনগণের প্রত্যক্ষ ভোটে নির্বাচিত জনপ্রতিনিধি হিসেবে তাদের জনগণের প্রতি দায়বদ্ধতা রয়েছে। সেই দায়বদ্ধতা থেকেই বাংলাদেশে পার্লামেন্টারিয়ানগণ জনগণের কল্যাণে অধিক মাত্রায় আত্মনিয়োগ করছেন।

স্পিকার বলেন, সমকালীন বিশ্বে নতুন নতুন সম্ভাবনা যেমন সৃষ্টি হচ্ছে, তেমনি নতুন নতুন সমস্যারও উদ্ভব হচ্ছে। জলবায়ু পরিবর্তনজনিত সমস্যা, নদী দূষণ, বায়ু দূষণ, কার্বন নিঃসরণসহ নানাবিধ সমস্যা মানুষকে মোকাবেলা করতে হচ্ছে। এসব সমস্যা নিরসনের জন্য পার্লামেন্টারিয়ানদেরও সচেতন ও সচেষ্ট হতে হবে। এই লক্ষ্যে তাদেরকে জনসম্পৃক্ততা আরও জোরালো করতে হবে। এক্ষেত্রে প্রয়োজনে তারা তথ্য যোগাযোগ প্রযুক্তিও ব্যবহার করতে পারেন।

স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেন, কোভিড অতিমারীর সময়েও বিএপিপিডি ভার্চ্যুয়াল ও সরেজমিন- এই দুই পদ্ধতির সমন্বয় করে এসব আলোচনা পরিচালনা করেছেন। কোভিডকালীন ভুক্তভোগীগণ, বিশেষ করে নারী ও কন্যাশিশুগণ যে যে ধরণের সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছেন তা সংসদ সদস্যগণ জানার সুযোগ পেয়েছেন। বিশেষ করে কন্যাশিশু ও নারীদের সঙ্গে আলোচনায় তাদের মূল সমস্যাগুলো উঠে এসেছে।  

এসব আলোচনায় ভার্চ্যুয়ালি অংশগ্রহণের অভিজ্ঞতা তুলে ধরে স্পিকার বলেন, স্কুল কলেজের ছাত্রীদের দাবীর পরিপ্রেক্ষিতে তাদের প্রজনন সমস্যাগুলোর বিষয়ে সংসদ সদস্যরা সম্যক অবহিত হতে পেরেছেন। এসব সমস্যা বিষয়ে প্রয়োজনীয় পরামর্শ দেওয়ার জন্য যাতে সংশ্লিষ্ট ডাক্তার কিংবা স্বাস্থ্যকর্মী মাসে মাসে সেইসব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পাঠানো হয় সে বিষয়ে স্থানীয় প্রশাসনকে অনুরোধ করা হয়েছে।

স্পীকার বলেন, বিএপিপিডির কার্যক্রমকে সফল করার জন্য ইউএনএফপিএ প্রয়োজনীয় কারিগরি সহযোগিতা দিয়েছে। তিনি এ সহযোগিতার জন্য ইউএনএফপিএর প্রতি কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করেন।  

তিনি জানান, স্কুল পর্যায়ে বিশেষ করে ছাত্রীদের প্রজনন সমস্যাগুলো চিহ্নিত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের লক্ষ্যে কার্যক্রম হাতে নেওয়া হয়েছে। এ লক্ষ্যে বিভিন্ন নির্বাচনী এলাকায় কিছু শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পাইলট ভিত্তিতে কার্যক্রম পরিচালনা করা হবে। সেসব প্রতিষ্ঠানে বাল্য বিবাহ প্রতিরোধেও প্রয়োজনীয় কর্মসূচি পরিচালনা করা হবে। এসব কার্যক্রমে আরও অধিক মাত্রায় কারিগরি সহযোগিতার প্রয়োজন হবে বলে স্পিকার উল্লেখ করেন।

এ ধরণের সহযোগিতা দিতে ইউএনএফপিএ প্রস্তুত বলে মি. ইব পেটারসেন জানান।  

পেটারসেন আরও জানান, ইউএনএফপিএ সংসদ সদস্যগণের মাধ্যমে যুব জনগোষ্ঠীর উন্নয়নে আরও জোরালো কার্যক্রম পরিচালনায় আগ্রহী।

মি. পিটারসেন জানান, বিভিন্ন ক্ষেত্রে জেন্ডার ভিত্তিক সহিংসতার নেতিবাচক প্রভাব পড়ে। তাই তা নিরসনে আরও জোরালো কার্যক্রম পরিচালনা করা জরুরি। স্পীকার তার সঙ্গে একমত পোষণ করে বলেন- জাতীয় অর্থনীতি তথা জিডিপিতেও এর নেতিবাচক প্রভাব পড়ে।

উক্ত বৈঠকে অন্যান্যের মধ্যে জাতিসংঘে বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি মোহাম্মদ আব্দুল মুহিত, জাতীয় সংসদ সচিবালয়ের যুগ্মসচিব এম.এ কামাল বিল্লাহ, বাংলাদেশ স্থায়ী মিশনের কাউন্সিলর শাহানারা মনিকা এবং ইউএনএফপিএ’র পক্ষ থেকে রিজিওনাল স্পেশালিস্ট ইসাবেলা জেরালডিন আদযায়ও উপস্থিত ছিলেন।

বাংলাদেশ সময়: ১৪০৮ ঘণ্টা, আগস্ট ১২, ২০২২
এসকে/এনএইচআর

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।