ঢাকা, শুক্রবার, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৮ রমজান ১৪৪৫

জাতীয়

উত্তরায় গার্ডার দুর্ঘটনা: ঝর্না ও তার দুই সন্তানের দাফন সম্পন্ন

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২৩২৫ ঘণ্টা, আগস্ট ১৬, ২০২২
উত্তরায় গার্ডার দুর্ঘটনা: ঝর্না ও তার দুই সন্তানের দাফন সম্পন্ন

জামালপুর: রাজধানী উত্তরায় গার্ডার দুর্ঘটনায় নিহত ঝর্না বেগমসহ তার দুই সন্তনের জানাযা ও দাফন কার্য সম্পন্ন হয়েছে। জানাযা নামাজ পড়ান নিহত ফাহিমার বড় ছেলে ঝর্নার ভাগ্নে ফাহাদ হোসেন।

মঙ্গলবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে মেলান্দহ উপজেলার পয়লা গ্রামে নিজ বাড়িতেই জানাযা নামাজ অনুষ্ঠিত হয়। জানাজা নামাজ শেষে পারিবারিক কবরস্থানে মৃতদেহ দাফন করা হয়।

এর আগে মঙ্গলবার রাত ৯টা ৩০ মিনিটে লাশবাহী গাড়িতে ফিরেন তারা। এ সময় শোকে স্তব্ধ হয়ে যায় পুরো গ্রাম।

এর আগে রাজধানীর উত্তরায় বাস র‍্যাপিড ট্রানজিট (বিআরটি) প্রকল্পের ফ্লাইওভারের গার্ডারের চাপায় প্রাইভেট কারের নিহত পাঁচ আরোহীর ময়নাতদন্ত সম্পন্ন হয়। তবে ময়নাতদন্তে নতুন কিছু পাওয়া যায়নি বলে জানিয়েছেন চিকিৎসক।

মঙ্গলবার বেলা পৌনে একটার দিকে শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিক্যাল কলেজের মর্গে ময়নাতদন্ত হয়।

ফরেনসিক বিভাগের চিকিৎসক নাসেদ জামিল জানান, নিহত ব্যক্তিদের বিষয়ে সুরতহাল প্রতিবেদনে যা লেখা আছে, ময়নাতদন্তে তাই পাওয়া গেছে।

নাসেদ জামিল জানান, নিহত প্রত্যেকের একাধিক পর্যবেক্ষণ (মাল্টিপল ফাইন্ডিংস) রয়েছে। প্রতিটার আলাদা করে বর্ণনা (ডেসক্রাইব) দেওয়া সম্ভব নয়। সুরতহাল প্রতিবেদনে যেভাবে বর্ণনা করা আছে, হুবহু তাই পাওয়া গেছে।

পরে তাদের পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়। পাঁচ জনের মধ্যে রুবেলকে মেহেরপুর বাকী ৪জনকে জামালপুরে পাঠানো হয়।

জামালপুরের পাঠানো মৃতদেহের মধ্যে ঝর্না ও দুই সন্তান জান্নাত এবং জাকারিয়াকে মেলান্দহের পয়লা গ্রামে ও ফাহিমাকে ইসলামপুরের ঢেংড়াগড়ে দাফন করার জন্য আনা হয়।

প্রসঙ্গত, শনিবার (১৩ আগস্ট) বিয়ে হয় হৃদয় এবং রিয়া মনির। বিয়ের বৌভাত শেষে হৃদয়ের বাবা রুবেল মিয়া প্রাইভেটকার চালিয়ে আশুলিয়া খেজুর বাগান এলাকায় ছেলের শ্বশুড়বাড়ি যাচ্ছিলেন। এ সময় প্রাইভেটকারে ছিলেন হৃদয়, রিয়া, রিয়ার মা ফাহিমা (৩৭), তার খালা ঝর্ণা (২৮) এবং ঝর্ণার দুই সন্তান জান্নাত (৬) ও জাকারিয়া (২)। পথে উত্তরার জসিমউদ্দিন এলাকায় পৌঁছালে উড়াল সড়কের গার্ডার পড়ে নবদম্পতি হৃদয় ও রিয়া ছাড়া সাবাই মারা যান। তবে তারা মারাত্বকভাবে আহত হয়েছেন নব দম্পত্তি।

হৃদয়ের স্ত্রী রিয়ার বাবার বাড়ি জামালপুর জেলার ইসলামপুর উপজেলার ঢেংগারগড় এলাকায়। তবে তার পরিবার দু’বছর আগে সাভারের আশুলিয়ায় খেজুর বাগান এলাকায় এসে বসবাস শুরু করেন।

এ ঘটনায় ১৫ আগষ্ট রাতে নিহত ফাহিমা আক্তার ও ঝর্ণার ছোট ভাই আফরান মন্ডল বাবু বাদী হয়ে উত্তরা পশ্চিম থানায় একটি মামলা করেছে। মামলা নং-৪২।

বাংলাদেশ সময়: ২৩২৫ ঘণ্টা, আগস্ট ১৬, ২০২২
এনএটি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।