ঢাকা, শুক্রবার, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৮ রমজান ১৪৪৫

জাতীয়

দেশব্যাপী চা শ্রমিকদের ধর্মঘট অব্যাহত, বিটিএ বলছে অযৌক্তিক

ডিভিশনাল সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯৩৮ ঘণ্টা, আগস্ট ১৭, ২০২২
দেশব্যাপী চা শ্রমিকদের ধর্মঘট অব্যাহত, বিটিএ বলছে অযৌক্তিক চা শ্রমিকদের ধর্মঘট। ছবি: বাংলানিউজ

মৌলভীবাজার: দৈনিক মজুরি বাড়িয়ে ৩০০ টাকা করার দাবিতে দেশের ১৬৮টি চা বাগানের মতো মৌলভীবাজারের ৯২টি চা বাগানের শ্রমিকরা ধর্মঘট পালন করেছেন।  

বাংলাদেশ চা শ্রমিক ইউনিয়নের নির্বাচিত প্রতিনিধি মনোনীত দেশব্যাপী চা বাগানের সংখ্যা (ফাঁড়ি চা বাগানসহ) ২৩২টি।

সব বাগানেই সকাল ৯টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত অনুষ্ঠিত হয়েছে কর্মবিরতি।

এদিকে, মঙ্গলবার (১৭ আগস্ট) বিকেলে চলমান ধর্মঘট নিরসনে দ্বিতীয় দফা আন্দোলনরত চা শ্রমিক নেতৃবৃন্দদের নিয়ে শ্রীমঙ্গলে বৈঠক হয়েছে। বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন শ্রম অধিদপ্তরের মহাপরিচালক (অতিরিক্ত সচিব) খালেদ মামুন চৌধুরী এনডিসি এবং চা শ্রমিক নেতৃবৃন্দ।

বৈঠকের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ১৭ আগস্ট বুধবার বিকেল ৪টায় বাংলাদেশ শ্রম অধিদপ্তরের ঢাকার কার্যালয়ে আলোচনায় বসবে চা বাগান মালিক পক্ষ ও বাংলাদেশ চা শ্রমিক ইউনিয়ন। এরইমধ্যে চা শ্রমিক নেতৃবৃন্দ মৌলভীবাজার থেকে ঢাকার পথে যাত্রা করেছেন।  

পৃথকভাবে ২৩ আগস্ট ঢাকায় মন্ত্রী ও সচিবের নেতৃত্বে ত্রিপক্ষীয় বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে।

বাংলাদেশ চা শ্রমিক ইউনিয়নের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক নৃপেন পাল বলেন, শ্রমিকদের দৈনিক মজুরি বাড়িয়ে ৩০০ টাকা করার দাবিতে দৈনিক আন্দোলন অব্যাহত থাকবে। শোকের মাস বিষয়টি বিবেচনা করে ২৩ আগস্ট পর্যন্ত চা শ্রমিকরা রাজপথ অবরোধে যাবেন না। বাগানের ভেতর মানববন্ধন, প্রতিবাদ সভা ও বিক্ষোভ মিছিলের মতো কর্মসূচি অব্যাহত থাকবে।

বাংলাদেশ চা শ্রমিক ইউনিয়ন সূত্র জানায়, শ্রমিকদের দৈনিক ১২০ টাকা থেকে মজুরি ৩০০ টাকা করার দাবিতে বাংলাদেশ চা শ্রমিক ইউনিয়নের উদ্যোগে গত মঙ্গলবার (৯ আগস্ট) থেকে সারা দেশে অনির্দিষ্টকালের ধর্মঘট ২ ঘণ্টা করে পালন করা হয়।

এরপর শনিবার (১৩ আগস্ট) অনির্দিষ্টকালের জন্য পূর্ণদিবস ধর্মঘট পালন করা হয়। রোববার (১৪ আগস্ট) চা বাগানের সাপ্তাহিক ছুটি এবং সোমবার (১৫ আগস্ট) জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে ধর্মঘট স্থগিত ছিল। মঙ্গলবার (১৬ আগস্ট) থেকে ফের পূর্ণদিবস ধর্মঘট পালন করা হচ্ছে।  

মালিকপক্ষের সংগঠন বাংলাদেশীয় চা সংসদ (বিটিএ) এর সিলেট ব্রাঞ্চ চেয়ারম্যান জিএম শিবলী বলেন, চায়ের ভরা মৌসুম চলছে এখন। এই সময়ে দৈনিক কাজ বন্ধ রেখে চা শ্রমিকদের আন্দোলন চা উৎপাদনকে মারাত্মকভাবে বাধাগ্রস্ত করছে। তারা অযৌক্তিকভাবে এ আন্দোলনে যুক্ত হয়েছেন। তাদের সঙ্গে দাবির আলোচনা চলমান থাকার সময়ে তারা হঠাৎ করে এ কর্মবিরতির ঘোষণা দিয়েছেন, যা শ্রম আইনের পরিপন্থী।

বাংলাদেশ সময়: ১৯৩১ ঘণ্টা, আগস্ট ১৭, ২০২২
বিবিবি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।