ঢাকা: চলচ্চিত্র অভিনেতা শান্ত খানের প্রায় ১৫ কোটি টাকার সন্দেহজনক স্থাবর ও অস্থাবর সম্পদের খোঁজ পেয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। এসব সম্পদের সত্যতা নিশ্চিত করতে ৫৮টি দেশি-বিদেশি ব্যাংকের এমডি ও সিইওর কাছে চিঠি পাঠিয়েছে সংস্থাটি।
দুদক সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
জানা গেছে, বুধবার (১৭ আগস্ট) দুদকের সহকারী পরিচালক আতাউর রহমান সরকারের স্বাক্ষরিত এক চিঠির মাধ্যমে বিভিন্ন ব্যাংকের কাছে এ তথ্য চাওয়া হয়েছে।
চিঠিতে বলা হয়, শান্ত খানের বিরুদ্ধে অবৈধ ব্যবসা ও কার্যক্রমের মাধ্যমে আয় বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগ রয়েছে। এ অভিযোগের সুষ্ঠু অনুসন্ধানের স্বার্থে ব্যাংকগুলোতে তার নিজের ও যৌথ নামীয় সঞ্চয়ী, চলতি হিসাব, এফডিআর, ডিপিএস ইত্যাদির হিসাব বিবরণী, হিসাব খোলার ফরম ও কেওয়াইসি পাঠাতে বলা হয়েছে। এছাড়া ঋণ হিসাব সংক্রান্ত বিস্তারিত তথ্য, জামানত ও ঋণ পরিশোধের তথ্য, সঞ্চয়পত্র ও ক্রেডিট কার্ড সংক্রান্ত বিস্তারিত তথ্য চাওয়া হয়েছে।
অভিযোগের সুষ্ঠু অনুসন্ধানের জন্য দুদক আইন-২০০৪ এর ধারা ১৯ ও দুদক বিধিমালা-২০০৭ এর বিধি ২০ অনুযায়ী ব্যাংক থেকে ওইসব তথ্য চাওয়া হয়েছে, যা আগামী ৩১ আগস্টের মধ্যে ওইসব তথ্য ও রেকর্ডপত্রের সত্যায়িত ফটোকপি অভিযোগটির অনুসন্ধান কর্মকর্তার কাছে পাঠানোর জন্য অনুরোধ করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, প্রযোজনা সংস্থা শাপলা মিডিয়ার কর্ণধার সেলিম খানের ছেলে শান্ত খান। ২০১৯ সালে উত্তম আকাশ পরিচালিত ‘প্রেম চোর’ সিনেমার মাধ্যমে বড় পর্দায় অভিষেক ঘটে তার। এরপর তাকে দেখা যায় 'টুঙ্গীপাড়ার মিয়া ভাই' ও ‘বিক্ষোভ’ সিনেমায়।
বাংলাদেশ সময়: ১৩২৬ ঘণ্টা, আগস্ট ১৮, ২০২২
এসএমএকে/ এনএইচআর