ঢাকা, রবিবার, ৫ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১, ১৯ মে ২০২৪, ১০ জিলকদ ১৪৪৫

জাতীয়

ডিজিটাল সনদ ও স্মার্ট কার্ড বিতরণ

ডিজিটাল সুবিধা ভোগের পথ খুললো ৪৪৩ বীর মুক্তিযোদ্ধার

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০০৩৬ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ৫, ২০২২
ডিজিটাল সুবিধা ভোগের পথ খুললো ৪৪৩ বীর মুক্তিযোদ্ধার

রাজশাহী: রাজশাহীতে ৪৪৩ জন বীর মুক্তিযোদ্ধা ডিজিটাল সনদ ও স্মার্ট কার্ড পেয়েছেন। রোববার (৪ সেপ্টেম্বর) দুপুরে রাজশাহী জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে বীর মুক্তিযোদ্ধাদের হাতে সনদ ও স্মার্টকার্ড বিতরণ করা হয়।

রাজশাহী জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে মহানগরীর বোয়ালিয়া, রাজপাড়া, মতিহার ও শাহ মখদুম থানা এলাকার ৪৪৩ জন বীর মুক্তিযোদ্ধার মধ্যে ২০৯ জন জীবিত মুক্তিযোদ্ধা পেয়েছেন ডিজিটাল সনদ ও স্মাট আইডি কার্ড এবং মৃত ২২৫ জন মুক্তিযোদ্ধার পরিবার পেয়েছেন ডিজিটাল সার্টিফিকেট।

ডিজিটাল সার্টিফিকেট ও স্মার্ট আইডি কার্ডের আওতায় সুবিধা চালু প্রসঙ্গে রাজশাহী জেলা প্রশাসক আব্দুল জলিল বলেন, একজন বীর মুক্তিযোদ্ধা ডিজিটাল সার্টিফিকেট ও স্মার্ট আইডি কার্ড পাওয়ার মানে হচ্ছে- তিনি একজন প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধা। এটাই তার বড় পরিচয়।

মুক্তিযোদ্ধাদের মধ্যে যারা জীবিত আছেন, তারা সার্টিফিকেট এবং আইডি কার্ড দুটিই পেয়েছেন। কিন্তু যেসব মুক্তিযোদ্ধা মারা গেছেন, তাদের জন্য শুধু ডিজিটাল সার্টিফিকেট দেওয়া হয়েছে। তাদের পক্ষে পরিবারের সদস্যরা তা নিয়েছেন।  

বীর মুক্তিযোদ্ধাদের রাষ্ট্র নির্ধারিত সব সুযোগ-সুবিধা ডিজিটাল পরিচয়পত্র ও সনদের আওতায় নিশ্চিত করা হয়েছে। বীর মুক্তিযোদ্ধাদের ভাতা প্রদান, সরকারি যানবাহনে বিনা ভাড়ায় যাতায়াত, সরকারি হাসপাতালে চিকিৎসা সেবাপ্রাপ্তি, সরকারি-বেসরকারি স্কুলে পোষ্য কোটায় ভর্তি, সরকারি চাকরিতে সন্তান ও পোষ্য কোটায় নিয়োগসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে এই ডিজিটাল সনদ ও পরিচয়পত্রের মাধ্যমে পাওয়া যাবে।

বীর মুক্তিযোদ্ধারা নিজ নিজ উপজেলার উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তাদের (ইউএনও) থেকেও এই ডিজিটাল সনদ ও স্মার্ট আইডি কার্ড সংগ্রহ করতে পেরেছেন।

ডিজিটাল সনদ ও পরিচয়পত্র জাল করার সুযোগ নেই- উল্লেখ করে রাজশাহী জেলা প্রশাসক আব্দুল জলিল বলেন, ডিজিটাল সনদ ও পরিচয়পত্র যাতে কেউ জাল করতে না পারে, সে জন্য সর্বোচ্চ নিরাপত্তামূলক ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। ডিজিটাল সনদে ১৪ ধরনের এবং পরিচয়পত্রে ১২ ধরনের নিরাপত্তামূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। গুগলে গিয়ে 'ফ্রিডম ফাইটার ভেরিফায়ার' অ্যাপের মাধ্যমে এই সনদ ও পরিচয়পত্রে ইউনিক নম্বর আপ করলে প্রথমেই ৩০ সেকেন্ডে বঙ্গবন্ধুর ভাষণ ও জাতীয় সংগীত শোনা যাবে।  

তিনি আরো বলেন, এতে আরও রয়েছে থ্রিডি লোগো, দুটি করে কিউআর কোড, বঙ্গবন্ধু ও জাতীয় ফুল শাপলার অ্যাম্বুশ করা শ্যাডো, বীর মুক্তিযোদ্ধার পৃথক তথ্যকণিকা, ইস্যুকারী মন্ত্রী ও সচিবের স্বাক্ষর, ওয়াটার মার্ক, জয় বাংলা ও জয় বঙ্গবন্ধুসহ নানা ধরনের নির্ধারিত আল্টামার্ক। যার অনেক কিছু খালি চোখে দেখা যাবে না। এই সনদ ও পরিচয়পত্র ফটোকপি করা হলে ওই কপিতে 'অসংখ্যাবার কপি' এই কথাটিও উল্লেখ থাকবে। আর এটিও খালি চোখে দেখা যাবে না বলে জানান রাজশাহী জেলা প্রশাসক।

বাংলাদেশ সময়: ০০৩৬ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ০৫, ২০২২
এসএস/এনএটি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।