ঢাকা, বুধবার, ৭ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১, ২২ মে ২০২৪, ১৩ জিলকদ ১৪৪৫

জাতীয়

কাজ দেওয়ার কথা বলে অপহরণ-মুক্তিপণ দাবি, আটক ৭

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬২৭ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ৫, ২০২২
কাজ দেওয়ার কথা বলে অপহরণ-মুক্তিপণ দাবি, আটক ৭

টাঙ্গাইল: রাজমিস্ত্রির কাজ করার জন্য টাঙ্গাইল নতুন বাসস্ট্যান্ড এলাকায় আসেন মো. আব্দুল রহিম (৪০) নামে এক ব্যক্তি। সেখান থেকে তাকে কাজ দেওয়ার কথা বলে শহরের একটি বাসায় নিয়ে আটকে রেখে মুক্তিপণ দাবি করেছে একটি অপহরণ চক্র।

এ ঘটনায় ভুক্তভোগীকে উদ্ধার ও সাত অপহরণকারীকে আটক করেছে র‌্যাব।

সোমবার (০৫ সেপ্টেম্বর) সকালে তাদের আটক করা হয়। এদিন দুপুরে এ তথ্য জানিয়েছেন র‌্যাব ১২ এর ৩ নং কোম্পানী কমান্ডার মোহাম্মদ আনিসুজ্জামান।

আটকরা হলেন- কালিহাতীর রতনগঞ্জ গ্রামের আব্দুল মান্নানের ছেলে জামিল হোসেন সাগর (২২), আদি টাঙ্গাইল এলাকার হাবিবুর রহমানের ছেলে শাকিল আহমেদ হৃদয় (২৭), মো. আলমগীর হোসেনের ছেলে লাবিব খান (১৮), ফজলুল হকের ছেলে রাকিবুল ইসলাম (২২), গারাইল এলাকার আবু তাহেরের ছেলে হৃদয় আহমেদ (২২), সখীপুর সদরের এবাদত হোসেনের ছেলে বাধন (১৯), ও মোস্তফা কামালের ছেলে রাব্বি খান (১৮)।

র‌্যাব জানায়, অপহরণের পর রহিমকে মারধর করে তার সঙ্গে থাকা তিন হাজার টাকা ছিনিয়ে নেওয়া হয়। পরে তাকে আটকে রেখে তার পরিবারের কাছে এক লাখ ২০ হাজার টাকা মুক্তিপন দাবি ও টাকা না দিলে প্রাণনাশের হুমকি দেওয়া হয়।

পরে রহিমকে মোটরসাইকেলে করে শহরের অন্য আরেকটি বাসায় নিয়ে যায় অপহরণকারীরা। তারা দুইটি বিকাশ নম্বর দিয়ে টাকার জন্য রহিমের বাড়িতে তাগিদ দিতে থাকেন। রহিমের ছোট ভাই আব্দুর রাজ্জাক বিষয়টি র‌্যাবকে জানালে তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহার করে টাঙ্গাইল শহরের বাজিতপুর সাহাপাড়া থেকে হাত ও চোখ বাঁধা অবস্থায় তাকে উদ্ধার করা হয়। এছাড়া ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে সাতজনকে আটক করা হয়।

ভুক্তভোগী রহিম বলেন, আমি কাজের সন্ধ্যানে টাঙ্গাইল শহরে এসেছিলাম। এখানে এসে যে আমি অপহরণ ও জিম্মি হবো তা কখনও কল্পনাও করিনি। আমাকে যারা মারধর করে মুক্তিপন দাবি করেছেন, তাদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করছি।

কোম্পানী কমান্ডার মোহাম্মদ আনিসুজ্জামান জানান, শহরে কাজের উদ্দেশে এসে রহিম অপহরণের শিকার হন। পরে তার ভাইয়ের অভিযোগের ভিত্তিতে নিজস্ব তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহার করে তাকে উদ্ধার ও আসামিদের আটক করা হয়েছে। আটকদের কাছ থেকে দুইটি সুইচ গিয়ার ও চারটি মোবাইল ফোন জব্দ করা হয়েছে।

তিনি আরও জানান, সোমবার সকালে সদর থানায় আব্দুর রহিম বাদি হয়ে মামলা দায়ের করেন। আটকদের সদর থানা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।

বাংলাদেশ সময়: ১৬২৫ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ০৫, ২০২২
এফআর

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।