আগামী ডিসেম্বরে বিশ্বের অন্যতম বৃহৎ আন্তর্জাতিক গোষ্ঠী জি-২০-র সভাপতিত্বের দায়িত্ব পাচ্ছে ভারত। আগামী বছর ভারতে অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া গোষ্ঠীটির সম্মেলনে বাংলাদেশ আমন্ত্রণ পাবে।
তিনি বলেন, বাংলাদেশ ও ভারত কানেক্টিভিটি বাড়াতে বিশেষ গুরুত্ব দিচ্ছে। কানেক্টিভিটি বাড়ালে উভয় পক্ষই লাভবান হবে। এছাড়া আঞ্চলিক কানেক্টিভিটি বাড়লে এই অঞ্চলের সব দেশেরই অর্থনৈতিক অগ্রগতি হবে।
এর আগে ভারতে জি২০র মূখ্য সমন্বয়ক ও সাবেক পররাষ্ট্র সচিব হর্ষ বর্ধন শ্রিংলা গণমাধ্যমকে বলেছেন, ভারত প্রথমবারের মতো জি২০র সভাপতির দায়িত্ব নিতে যাচ্ছে। জি২০ বিশ্বের প্রভাবশালী দেশগুলোর জোট। জি২০তে সভাপতিত্ব আন্তর্জাতিক মঞ্চে ভারতকে তার ব্যবহারিক এজেন্ডা উপস্থাপনের সুযোগ করে দেবে।
ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বুধবার এক বিজ্ঞপ্তিতে জানায়, জি২০ সভাপতি হিসেবে ভারত আগামী ডিসেম্বর থেকে সারা দেশে ২০০টিরও বেশি বৈঠক আয়োজন করবে। জি২০র রাষ্ট্রপ্রধান বা সরকারপ্রধান পর্যায়ে সম্মেলন আগামী বছরের ৯ ও ১০ সেপ্টেম্বর নয়াদিল্লিতে অনুষ্ঠিত হবে।
ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানায়, জি২০ এর বৈঠক ও শীর্ষ সম্মেলনে কিছু অতিথি দেশ ও আন্তর্জাতিক সংস্থাকে আমন্ত্রণ জানানোর ঐতিহ্য আছে। অতিথি দেশ হিসেবে বাংলাদেশ, মিশর, মরিশাস, নেদারল্যান্ডস, নাইজেরিয়া, ওমান, সিঙ্গাপুর, স্পেন এবং সংযুক্ত আরব আমিরাতকে আমন্ত্রণ জানাবে ভারত।
আর্জেন্টিনা, অস্ট্রেলিয়া, ব্রাজিল, কানাডা, চীন, ফ্রান্স, জার্মানি, ভারত, ইন্দোনেশিয়া, ইতালি, জাপান, কোরিয়া প্রজাতন্ত্র, মেক্সিকো, রাশিয়া, সৌদি আরব, দক্ষিণ আফ্রিকা, তুরস্ক, যুক্তরাজ্য, যুক্তরাষ্ট্র এবং ইউরোপীয় ইউনিয়ন নিয়ে জি২০ গঠিত।
ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলেছে, পরিবেশের জন্য জীবনধারা, নারীর ক্ষমতায়ন, স্বাস্থ্য, কৃষি ও শিক্ষা থেকে শুরু করে বাণিজ্য, দক্ষতা, সংস্কৃতি ও পর্যটন পর্যন্ত ডিজিটাল পাবলিক অবকাঠামো এবং প্রযুক্তি-সক্ষম উন্নয়ন, জলবায়ু অর্থায়ন, বৃত্তাকার অর্থনীতি, বিশ্বব্যাপী খাদ্য নিরাপত্তা, জ্বালানি নিরাপত্তা, সবুজ হাইড্রোজেন, দুর্যোগ ঝুঁকি হ্রাস ও স্থিতিস্থাপকতা উন্নয়নমূলক সহযোগিতা, অর্থনৈতিক অপরাধের বিরুদ্ধে যুদ্ধ এবং বহুপাক্ষিক সংস্কারকে ভারত অগ্রাধিকার দেবে।
বাংলাদেশ সময়: ২১৪৬ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১৪, ২০২২
ইআর